নিজস্ব প্রতিবেদক খ প্রায় ১২ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি থেকে একজন সহকারী প্রকৌশলীকে অপসারণ করলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস। চাকরিচ্যুত এই কর্মকর্তা হলেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আ হ ম আবদুল্লা হারুন। এখন তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন পাবেন।
গত সোমবার সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে এই প্রকৌশলীকে সোমবার চাকরিচ্যুত করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার অপসারণের বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র বলছে, আবদুল্লা হারুন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ও একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ চালিয়ে নেওয়ার সময় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী কাজ শেষ না করে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত বিল দিয়েছেন। এতে করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ডিপোজিট ওয়ার্কের আওতায় কমলাপুর টিটিপাড়া থেকে কদমতলী পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রেললাইনের দুই পাশে জমানো বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ অপসারণ এবং ডাম্পিং করার কাজেও ২৮ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। এ কাজেও তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
যেমন- দরপত্রে রেললাইনের দুই পাশে মোট বর্জ্য, মাটি ও রাবিশ ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টন, যার মধ্যে বর্জ্যের পরিমাণ হবে ৫ হাজার টন। বাকি ১ লাখ ১৫ হাজার টন মাটি ও রাবিশ, যা বিক্রয়যোগ্য। অথচ মাটি ও রাবিশ সরানো বাবদ ওই দরপত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে মাটি ও রাবিশ বিক্রয়যোগ্য হওয়ায় এ ক্ষেত্রে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা নয়। দপ্তর আদেশে বলা হয়, এ কর্মকর্তার নানা কর্মকা-ে প্রতীয়মান হয়েছে, তিনি বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করপোরেশন ও জনস্বার্থবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন। এতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আর্থিক ক্ষতি ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য তাঁকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারি চাকরি বিধিমালা ২০১৯–এর ৬৪ (২) বিধি অনুসারে জনস্বার্থ ও করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষায় চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি কেবল বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন পাবেন।
দুর্নীতির দায়ে চাকরি গেল প্রকৌশলীর
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ