ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

গোপন কুঠুরিতে সাত দশক আগের প্রেমপত্র

  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি পুরোনো আলমারি, তার ভেতরে গোপন কুঠুরি। সেটা খুলতেই মিলল একগাদা চিঠি। অন্তত সাত দশক আগের। একজন নৌসেনা তাঁর প্রেয়সীকে গভীর আবেগ আর ভালোবাসা মিশিয়ে লিখেছিলেন সেসব পত্র। আর প্রেয়সী সেসব চিঠি সযতেœ তুলে রেখেছিলেন গোপন কুঠুরিতে। এত বছর পর এসে সেসব প্রেমপত্র খুঁজে পেয়েছেন এক নারী। পরে সেগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে এর প্রেরক ও প্রাপকের নাতির হাতে।
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভার্জিনিয়ার হেনরিকো কাউন্টিতে বাস করেন অ্যানা প্রিলামান নামের এক নারী। তিনি শীতের শেষে বাড়ির আলমারি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় আলমারির ওপরের দিকে একটি গোপন কুঠুরি তাঁর নজরে আসে।
অ্যানা বলেন, ‘আমার জন্ম গত শতকের আশির দশকে। গোপন কুঠুরি নিয়ে রূপকথার গল্পগুলো আমার জানা আছে। শুরুতে ভেবেছিলাম, এতে হয়তো ধনদৌলত, পুরোনো মানচিত্র কিংবা স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে। তবে খোলার পর আরও দামি কিছু পেয়েছি।’
সেই গোপন কুঠুরি থেকে দুটি বাক্স নামিয়ে আনেন অ্যানা। এতে ছিল বেশ কয়েকটি প্রেমপত্র। লিখেছিলেন ভেন্স নামের এক ব্যক্তি। প্রাপক ছিলেন তাঁর প্রেয়সী বেটি সু ম্যাকগি। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ভেন্স নৌবাহিনীতে কাজ করতেন। ওই সময় তিনি প্রেয়সীর উদ্দেশে ভালোবাসার এসব বার্তা লিখেছিলেন।
প্রেমপত্রগুলো উদ্ধারের পর সেই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন অ্যানা। পোস্টটি নজরে আসে ডালটন লংয়ের। পোর্টল্যান্ডের বাসিন্দা ডালটন যোগাযোগ করেন অ্যানার সঙ্গে। নিজেকে ভেন্স ও ম্যাকগি দম্পতির নাতি হিসেবে পরিচয় দেন।
সংবাদমাধ্যমকে ৩০ বছর বয়সী ডালটন জানান, এখন অ্যানা যেই বাড়িতে বসবাস করছেন, একসময় সেখানে ভেন্স ও ম্যাকগি দম্পতি বসবাস করতেন। সেই সময় তাঁরা আলমারির গোপন কুঠুরিতে তাঁদের ভালোবাসার নিদর্শনগুলো তুলে রেখেছিলেন। এখন আর তাঁরা বেঁচে নেই। কিন্তু সেগুলো রয়ে গেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গোপন কুঠুরিতে সাত দশক আগের প্রেমপত্র

আপডেট সময় : ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি পুরোনো আলমারি, তার ভেতরে গোপন কুঠুরি। সেটা খুলতেই মিলল একগাদা চিঠি। অন্তত সাত দশক আগের। একজন নৌসেনা তাঁর প্রেয়সীকে গভীর আবেগ আর ভালোবাসা মিশিয়ে লিখেছিলেন সেসব পত্র। আর প্রেয়সী সেসব চিঠি সযতেœ তুলে রেখেছিলেন গোপন কুঠুরিতে। এত বছর পর এসে সেসব প্রেমপত্র খুঁজে পেয়েছেন এক নারী। পরে সেগুলো তুলে দেওয়া হয়েছে এর প্রেরক ও প্রাপকের নাতির হাতে।
ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভার্জিনিয়ার হেনরিকো কাউন্টিতে বাস করেন অ্যানা প্রিলামান নামের এক নারী। তিনি শীতের শেষে বাড়ির আলমারি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় আলমারির ওপরের দিকে একটি গোপন কুঠুরি তাঁর নজরে আসে।
অ্যানা বলেন, ‘আমার জন্ম গত শতকের আশির দশকে। গোপন কুঠুরি নিয়ে রূপকথার গল্পগুলো আমার জানা আছে। শুরুতে ভেবেছিলাম, এতে হয়তো ধনদৌলত, পুরোনো মানচিত্র কিংবা স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে। তবে খোলার পর আরও দামি কিছু পেয়েছি।’
সেই গোপন কুঠুরি থেকে দুটি বাক্স নামিয়ে আনেন অ্যানা। এতে ছিল বেশ কয়েকটি প্রেমপত্র। লিখেছিলেন ভেন্স নামের এক ব্যক্তি। প্রাপক ছিলেন তাঁর প্রেয়সী বেটি সু ম্যাকগি। গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ভেন্স নৌবাহিনীতে কাজ করতেন। ওই সময় তিনি প্রেয়সীর উদ্দেশে ভালোবাসার এসব বার্তা লিখেছিলেন।
প্রেমপত্রগুলো উদ্ধারের পর সেই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন অ্যানা। পোস্টটি নজরে আসে ডালটন লংয়ের। পোর্টল্যান্ডের বাসিন্দা ডালটন যোগাযোগ করেন অ্যানার সঙ্গে। নিজেকে ভেন্স ও ম্যাকগি দম্পতির নাতি হিসেবে পরিচয় দেন।
সংবাদমাধ্যমকে ৩০ বছর বয়সী ডালটন জানান, এখন অ্যানা যেই বাড়িতে বসবাস করছেন, একসময় সেখানে ভেন্স ও ম্যাকগি দম্পতি বসবাস করতেন। সেই সময় তাঁরা আলমারির গোপন কুঠুরিতে তাঁদের ভালোবাসার নিদর্শনগুলো তুলে রেখেছিলেন। এখন আর তাঁরা বেঁচে নেই। কিন্তু সেগুলো রয়ে গেছে।