ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

বেলাল খানের নাম বাদ দিতে আইনি নোটিশ

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন সংগীতশিল্পী বেলাল খান। পুরস্কারের এ তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আরেক সংগীত পরিচালক এম এ রহমান। কয়েক দিন আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে জানানো হয়, ‘হৃদয় জুড়ে’ সিনেমার ‘বিশ্বাস যদি যায়রে’ গানের জন্য বেলাল খান ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’-এর পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর বিরোধিতা করেছেন এম এ রহমান। তিনি নিজেকে গানটির প্রকৃত সংগীত পরিচালক দাবি করে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেজবা উদ্দীন শরীফ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ওরফে এম এ রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তার সংগীত পরিচালনায় প্রায় দুই শতাধিক গান প্রকাশ পেয়েছে। এম এ রহমান বেলাল খানের প্রায় ৩০টি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন। আর সেখান থেকেই তাদের ঘনিষ্ঠতা। তারই ধারাবাহিকতায় এম এ রহমান ২০১৯ সালে নভেম্বরে ‘হৃদয় জুড়ে’ চলচ্চিত্রে বেলাল খানের গাওয়া ‘বিশ্বাস যদি যায়রে ভেঙে’ গানটির সংগীত পরিচালনা করেন। কিন্তু গত ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর প্রজ্ঞাপনের ১৩ নং ক্রমিকে বর্ণিত সংগীত পরিচালক হিসেবে তার নামের পরিবর্তে বেলাল খানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ এই গান সম্পূর্ণ এম এ রহমানের সংগীত পরিচালনায় সৃষ্টি হয়েছে, যা সংশোধন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আইনি নোটিশে আরো দাবি করা হয়েছে, উক্ত গানটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর এম এ রহমান প্রতিবাদ করলে বেলাল খান তাকে মনগড়া (অ্যারেঞ্জার) শব্দের সঙ্গে পরিচিত করান এই বলে যে, ‘সংগীত পরিচালকের আধুনিক অর্থ অ্যারেঞ্জার অর্থাৎ তুমিই তো এই গানের সংগীত পরিচালক’। এছাড়াও ‘পাষাণ’ চলচ্চিত্রে ‘যদি কখনো’ শিরোনামের গানের সংগীত পরিচালক হিসেবে এম এ রহমানের নামের পরিবর্তে বেলাল খান তার নাম ব্যবহার করেন। তখন প্রতিবাদের মুখে বেলাল খান উক্ত গানটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকৃত সংগীত পরিচালক এম এ রহমানের নাম প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

বেলাল খানের নাম বাদ দিতে আইনি নোটিশ

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক : ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন সংগীতশিল্পী বেলাল খান। পুরস্কারের এ তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আরেক সংগীত পরিচালক এম এ রহমান। কয়েক দিন আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে জানানো হয়, ‘হৃদয় জুড়ে’ সিনেমার ‘বিশ্বাস যদি যায়রে’ গানের জন্য বেলাল খান ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’-এর পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর বিরোধিতা করেছেন এম এ রহমান। তিনি নিজেকে গানটির প্রকৃত সংগীত পরিচালক দাবি করে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেজবা উদ্দীন শরীফ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। উকিল নোটিশে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ওরফে এম এ রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত তার সংগীত পরিচালনায় প্রায় দুই শতাধিক গান প্রকাশ পেয়েছে। এম এ রহমান বেলাল খানের প্রায় ৩০টি গানের সংগীত পরিচালনা করেছেন। আর সেখান থেকেই তাদের ঘনিষ্ঠতা। তারই ধারাবাহিকতায় এম এ রহমান ২০১৯ সালে নভেম্বরে ‘হৃদয় জুড়ে’ চলচ্চিত্রে বেলাল খানের গাওয়া ‘বিশ্বাস যদি যায়রে ভেঙে’ গানটির সংগীত পরিচালনা করেন। কিন্তু গত ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর প্রজ্ঞাপনের ১৩ নং ক্রমিকে বর্ণিত সংগীত পরিচালক হিসেবে তার নামের পরিবর্তে বেলাল খানের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ এই গান সম্পূর্ণ এম এ রহমানের সংগীত পরিচালনায় সৃষ্টি হয়েছে, যা সংশোধন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আইনি নোটিশে আরো দাবি করা হয়েছে, উক্ত গানটি ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর এম এ রহমান প্রতিবাদ করলে বেলাল খান তাকে মনগড়া (অ্যারেঞ্জার) শব্দের সঙ্গে পরিচিত করান এই বলে যে, ‘সংগীত পরিচালকের আধুনিক অর্থ অ্যারেঞ্জার অর্থাৎ তুমিই তো এই গানের সংগীত পরিচালক’। এছাড়াও ‘পাষাণ’ চলচ্চিত্রে ‘যদি কখনো’ শিরোনামের গানের সংগীত পরিচালক হিসেবে এম এ রহমানের নামের পরিবর্তে বেলাল খান তার নাম ব্যবহার করেন। তখন প্রতিবাদের মুখে বেলাল খান উক্ত গানটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকৃত সংগীত পরিচালক এম এ রহমানের নাম প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।