ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাংলা কন্টেন্ট নকল হচ্ছে, উদ্ভাবক হারাচ্ছেন পুঁজি: মোস্তাফা জব্বার

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা ভাষার জন্য মানসম্মত ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে মেধাসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গতকাল শনিবার সকালে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার’।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় মানসম্মত ডিজিটাল কন্টেন্টের অনেক চাহিদা। কিন্তু আমাদের দেশে যারা এসব কন্টেন্ট তৈরি করে তারা খরচই তুলতে পারেন না, মুনাফা অনেক দূরের কথা।
“কারণ আমাদের দেশে খুব সহজেই আরেকজনেরটা নকল করে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এর মূল উদ্ভাবক পুঁজি হারিয়ে ফেলছেন।“
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা মেধা সম্পদকে সেভাবে তুলে ধরতে পারিনি। দেশে ভাল কন্টেন্ট পেতে হলে এ মেধা সম্পদকে সুরক্ষা দিতে হবে।
“এখন রবি একটা কন্টেন্ট তৈরি করে দিল, পরের দিন কেউ এইটা কপি করে ইউটিউবে তুলে দিল। তাহলে রবি যে কন্টেন্টটা তৈরি করল, রবি এখানে যে কন্ট্রিবিউট করল, তার অবস্থাটা কী দাঁড়ালো?”
এতে করে এ থেকে যদি রবি দুই টাকা পেত সেটিও শেষ মন্তব্য করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য দেশে মেধা সম্পদ থেকে অনেক আয় হলেও বাংলাদেশে এখান থেকে সেরকম কোনো আয় হয় না।
এসময় তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের মেধাসম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে দেশে যে বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন সেটা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি বাংলা সফটওয়্যার বানিয়েছি। আমার অপরাধ হইছে কি কারণে আমি আমার কিবোর্ডকে কপিরাইট করেছি। আমার অপরাধ হইছে কি কারণে আমি পেটেন্ট করেছি।
“আমার অপরাধ হয়েছে যে আমি ইচ্ছামত চুরি করতে দেই নাই। আমার অপরাধ হয়েছে কি কারণে আমি বিক্রি করি। আরে ভাই, আমি ব্যবসায়ী মানুষ আমিতো বিক্রি করবই। রবি কী এমন কোনো কাজ করবে যার মাধ্যমে সে কোনো বা কোনভাবে বেনিফিটেড হবে না।”
আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ।

রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রিয়াজ রশিদ ও চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম সভায় বক্তব্য দেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলা কন্টেন্ট নকল হচ্ছে, উদ্ভাবক হারাচ্ছেন পুঁজি: মোস্তাফা জব্বার

আপডেট সময় : ০২:২৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা ভাষার জন্য মানসম্মত ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে মেধাসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গতকাল শনিবার সকালে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার’।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় মানসম্মত ডিজিটাল কন্টেন্টের অনেক চাহিদা। কিন্তু আমাদের দেশে যারা এসব কন্টেন্ট তৈরি করে তারা খরচই তুলতে পারেন না, মুনাফা অনেক দূরের কথা।
“কারণ আমাদের দেশে খুব সহজেই আরেকজনেরটা নকল করে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে এর মূল উদ্ভাবক পুঁজি হারিয়ে ফেলছেন।“
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে আমরা মেধা সম্পদকে সেভাবে তুলে ধরতে পারিনি। দেশে ভাল কন্টেন্ট পেতে হলে এ মেধা সম্পদকে সুরক্ষা দিতে হবে।
“এখন রবি একটা কন্টেন্ট তৈরি করে দিল, পরের দিন কেউ এইটা কপি করে ইউটিউবে তুলে দিল। তাহলে রবি যে কন্টেন্টটা তৈরি করল, রবি এখানে যে কন্ট্রিবিউট করল, তার অবস্থাটা কী দাঁড়ালো?”
এতে করে এ থেকে যদি রবি দুই টাকা পেত সেটিও শেষ মন্তব্য করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, অন্যান্য দেশে মেধা সম্পদ থেকে অনেক আয় হলেও বাংলাদেশে এখান থেকে সেরকম কোনো আয় হয় না।
এসময় তিনি নিজের প্রতিষ্ঠানের মেধাসম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে দেশে যে বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন সেটা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি বাংলা সফটওয়্যার বানিয়েছি। আমার অপরাধ হইছে কি কারণে আমি আমার কিবোর্ডকে কপিরাইট করেছি। আমার অপরাধ হইছে কি কারণে আমি পেটেন্ট করেছি।
“আমার অপরাধ হয়েছে যে আমি ইচ্ছামত চুরি করতে দেই নাই। আমার অপরাধ হয়েছে কি কারণে আমি বিক্রি করি। আরে ভাই, আমি ব্যবসায়ী মানুষ আমিতো বিক্রি করবই। রবি কী এমন কোনো কাজ করবে যার মাধ্যমে সে কোনো বা কোনভাবে বেনিফিটেড হবে না।”
আলোচনাসভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক নাসিম পারভেজ।

রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম রিয়াজ রশিদ ও চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম সভায় বক্তব্য দেন।