ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

শাশুড়ির আত্মহত্যা, সংকটাপন্ন অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : শাশুড়ির পছন্দ এক, বউয়ের আরেক। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যকার সম্পর্কের কথা বললে অনেক সংসারে এমন সব দৃশ্যই চোখে ভাসে। এমন সাপে-নেউলে সম্পর্ক পরিবারে আনে অশান্তি। তেমনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সামান্য নূপুর নিয়ে শ্বাশুড়ি হেনা আক্তারের (৫০) সঙ্গে পুত্রবধূ শিফা আক্তারের মধ্যে ঘটে যায় হাতা-হাতি ও চুলাচুলির লড়াই। লড়াইয়ের একপর্যায়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শিফা আক্তার পড়ে গেলে প্রচ- রক্তপাত হয়। এ অবস্থায় শিফাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিফাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু শিফার পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহে না নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান বলে তার স্বজনরা জানান। এদিকে পুত্রবধূ শিফা মারা গেছেন এমন খবরে আধ ঘণ্টা পরেই ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন শাশুড়ি হেনা আক্তার। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ঘোপাঘাট গ্রামে। নিহত শাশুড়ি হেনা আক্তার ধোপাঘাট গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। আর গৃহবধূ শিফা তফাজ্জল হোসেনের ছেলে আল আমীনের স্ত্রী। শিফার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলায় বলে জানা গেছে। গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, পারিবারিক কলহে শুক্রবার সন্ধ্যায় বউ শাশুড়ির মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি পরে চুলাচুলি হয়। একপর্যায়ে পুত্রবধূ মাটিতে পড়ে গেলে রক্তপাত শুরু হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে গুজব রটে ওই গৃহবধূ মারা গেছেন। এতে লজ্জা ও ক্ষোভে শাশুড়ি হেনা ইদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শাশুড়ির আত্মহত্যা, সংকটাপন্ন অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ

আপডেট সময় : ০২:০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : শাশুড়ির পছন্দ এক, বউয়ের আরেক। শাশুড়ি-বউয়ের মধ্যকার সম্পর্কের কথা বললে অনেক সংসারে এমন সব দৃশ্যই চোখে ভাসে। এমন সাপে-নেউলে সম্পর্ক পরিবারে আনে অশান্তি। তেমনি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সামান্য নূপুর নিয়ে শ্বাশুড়ি হেনা আক্তারের (৫০) সঙ্গে পুত্রবধূ শিফা আক্তারের মধ্যে ঘটে যায় হাতা-হাতি ও চুলাচুলির লড়াই। লড়াইয়ের একপর্যায়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শিফা আক্তার পড়ে গেলে প্রচ- রক্তপাত হয়। এ অবস্থায় শিফাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিফাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু শিফার পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহে না নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান বলে তার স্বজনরা জানান। এদিকে পুত্রবধূ শিফা মারা গেছেন এমন খবরে আধ ঘণ্টা পরেই ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন শাশুড়ি হেনা আক্তার। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ঘোপাঘাট গ্রামে। নিহত শাশুড়ি হেনা আক্তার ধোপাঘাট গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। আর গৃহবধূ শিফা তফাজ্জল হোসেনের ছেলে আল আমীনের স্ত্রী। শিফার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলায় বলে জানা গেছে। গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, পারিবারিক কলহে শুক্রবার সন্ধ্যায় বউ শাশুড়ির মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি পরে চুলাচুলি হয়। একপর্যায়ে পুত্রবধূ মাটিতে পড়ে গেলে রক্তপাত শুরু হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে গুজব রটে ওই গৃহবধূ মারা গেছেন। এতে লজ্জা ও ক্ষোভে শাশুড়ি হেনা ইদুর মারার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।