আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্স এবং আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাতে গঠিত আন্তর্জাতিক জোটে থাকা প্যারিসের মিত্ররা মালি থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
আফ্রিকার দেশটিতে ক্রিয়াশীল ইসলামি জঙ্গিদের দমনে প্রায় এক দশক ধরে সেখানে ফ্রান্স ও অন্যান্য দেশের সেনারা ছিল।
মালি থেকে সরিয়ে নেওয়া এই সেনাদের সাহেলের অন্য দেশগুলোতে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মালির নতুন সামরিক জান্তার সঙ্গে বিরোধের কারণে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়া প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ।
“মালির কর্তৃপক্ষ যাদের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য ও কৌশল ভাগাভাগি করে নিতে পারছি না, তাদের সঙ্গে সামরিকভাবেও জড়াতে পারি না,” বৃহস্পতিবার প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি।
সেনা প্রত্যাহার ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ওই অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ফ্রান্স এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মালি থেকে প্রত্যাহার করা কিছু সেনাকে নাইজার জায়গা দিতে রাজি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“সাহেলের ভালোর জন্য আন্তর্জাতিক সংহতিতে সমন্বয়সাধনের ভূমিকা পালন করছে ফ্রান্স। এই সমন্বয়সাধনের কাজ অব্যাহত রাখবো আমরা,” বলেছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, এলিসি প্রাসাদে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান নেতাদের এক বৈঠকের পর মালি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে কী করে সাহেল অঞ্চলে বিশেষ করে নাইজার এবং গিনি উপসাগরের দেশগুলোতে সেনা উপস্থিতি বহাল রাখা হবে তা নিয়ে জুনের মধ্যে পরিকল্পনায় বসতে ফ্রান্স নেতৃত্বাধীন তাবুকা টাস্কফোর্স সংশ্লিষ্ট দেশগুলো রাজি হয়েছে বলে জানানো হয়।
মালি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে চার থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে; এ সময় সাহেলে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তুলনামূলক কম অভিযান হতে পারে, সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ এমনটা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মালি, শাদ ও বুরকিনা ফাসোতে একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ থাকা দেশগুলোতে প্যারিসের প্রভাব ক্ষুণ্ন করেছে এবং সেই শূন্যস্থান পূরণে রাশিয়ার জন্য দরজা খুলে দিয়েছে।