ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

প্রচলিত আইন বাংলা ভাষায় রূপান্তরে আইনি নোটিশ

  • আপডেট সময় : ১২:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সর্বাধিক প্রচলিত আইনগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করে সর্বসাধারণের পাঠ-উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ১০ আইনজীবী। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শিশির মনির জানান, নোটিশ হাতে পাওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে। নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত আইনসমূহের মধ্যে অনেক আইন রয়েছে যা ইংরেজি ভাষায় প্রণীত। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রণীত আইনগুলো ইংরেজি ভাষায় প্রণীত ও প্রকাশিত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা ও অফিসিয়াল ভাষা বাংলা। এমতাবস্থায় ইংরেজিতে প্রণীত আইনসমূহের অনুমোদিত বাংলাপাঠ প্রকাশ না করা হলে দেশের মানুষ আইন জানা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেননা, ইংরেজি জানার কারণে শুধুমাত্র শিক্ষিত শ্রেণি আইন জানতে পারবেন এবং কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত শ্রেণি আইনের জ্ঞানলাভ থেকে বঞ্চিত হবেন। যা বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও প্রয়োগ করা আইনগুলোর মধ্যে দ-বিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইনের কোনো অনুমোদিত বাংলা পাঠ আজ পর্যন্ত সরকার প্রকাশ করেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়বসাইটেও কোনো বাংলা পাঠ পাওয়া যায়নি। ফলে জনগণ যে আইন পড়ে বুঝতে পারে না সে আইনে জনগণের শাস্তি দেওয়া অযৌক্তিক এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। নোটিশে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ইংরেজিতে প্রণীত দেশের প্রচলিত সব আইনের অনুমোদিত বাংলা পাঠ প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি। মাতৃভাষায় আইন পড়তে পারা জনগণের মৌলিক অধিকার। ইংরেজি আইনগুলোর বাংলা পাঠ প্রচলনে নোটিশগ্রহীতারা কী উদ্যোগ নিয়েছেন- তা সাতদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন ও সংবিধান অনুসারে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন আপদ ‘মব সন্ত্রাস’, আতঙ্কে সারা দেশ

প্রচলিত আইন বাংলা ভাষায় রূপান্তরে আইনি নোটিশ

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সর্বাধিক প্রচলিত আইনগুলো ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করে সর্বসাধারণের পাঠ-উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ১০ আইনজীবী। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলা একাডেমির পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শিশির মনির জানান, নোটিশ হাতে পাওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে। নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত আইনসমূহের মধ্যে অনেক আইন রয়েছে যা ইংরেজি ভাষায় প্রণীত। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রণীত আইনগুলো ইংরেজি ভাষায় প্রণীত ও প্রকাশিত। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা ও অফিসিয়াল ভাষা বাংলা। এমতাবস্থায় ইংরেজিতে প্রণীত আইনসমূহের অনুমোদিত বাংলাপাঠ প্রকাশ না করা হলে দেশের মানুষ আইন জানা থেকে বঞ্চিত হবেন। কেননা, ইংরেজি জানার কারণে শুধুমাত্র শিক্ষিত শ্রেণি আইন জানতে পারবেন এবং কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত শ্রেণি আইনের জ্ঞানলাভ থেকে বঞ্চিত হবেন। যা বৈষম্যমূলক এবং সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও প্রয়োগ করা আইনগুলোর মধ্যে দ-বিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, সাক্ষ্য আইনের কোনো অনুমোদিত বাংলা পাঠ আজ পর্যন্ত সরকার প্রকাশ করেনি। আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়বসাইটেও কোনো বাংলা পাঠ পাওয়া যায়নি। ফলে জনগণ যে আইন পড়ে বুঝতে পারে না সে আইনে জনগণের শাস্তি দেওয়া অযৌক্তিক এবং জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল। নোটিশে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ইংরেজিতে প্রণীত দেশের প্রচলিত সব আইনের অনুমোদিত বাংলা পাঠ প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরি। মাতৃভাষায় আইন পড়তে পারা জনগণের মৌলিক অধিকার। ইংরেজি আইনগুলোর বাংলা পাঠ প্রচলনে নোটিশগ্রহীতারা কী উদ্যোগ নিয়েছেন- তা সাতদিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন ও সংবিধান অনুসারে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।