কুদরত-ই-হুদা : না, এই লেখায় আল মাহমুদের ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে কথা বলছি না। কথা বলছি না তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে। সে আলোচনা তোলা রইল তীক্ষ্ম বিষয়ী আর আদর্শবান সংস্কৃতিসেবীদের জন্য। আপাতত আমাদের বলার বিষয় এই যে, আল মাহমুদ তাঁর প্রজন্মের এবং এমনকি বাংলাদেশের কবিতার ইতিহাসে সম্ভবত প্রধানতম ‘অপাপবিদ্ধ’ কবি। ‘পাপ’ তাঁকে বিদ্ধ করতে পারেনি বললেই হয়।
পাপের ব্যাপারটা খোলাসা করা দরকার। এই পাপ বলতে ধর্মের পাপ-পুণ্যকে বোঝাচ্ছি না। বাংলা কবিতার নিজস্ব পাপ আছে। এই পাপের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এই ইতিহাসের শুরু হয়েছে বাংলা অঞ্চল উপনিবেশিত হওয়ার পর থেকে। সেটা উনিশ শতকের কথা। বাংলা মুলুক উপনিবেশিত হওয়ার পর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যে-সংস্কৃতবহুল কৃত্রিম সাধুগদ্যের আবির্ভাব হয়েছিল তাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন বাংলা গদ্যের ‘আদিপাপ’। রবীন্দ্রনাথের এই জুতসই দৃষ্টিভঙ্গির ধ্বজা ধরেই আমরা বলতে চাইছি, ওই উনিশ শতকেই বাংলা কবিতারও ‘আদিপাপ’ সংঘটিত হয়েছিল; বাংলা কবিতার ভাব-ভাষা-রুচি-চলন-বলন একটা নতুন আরোপিত হম্বি-তম্বির শিকার হয়েছিল। পরবর্তীকালে এই আদিপাপ বাঁশের ঝাড়ের মতো বংশ বিস্তার করেছে। কোনো বাপকেই সে ছাড়েনি। আসলে ছাড়েনি বললে ভুল হবে, প্রায় সবাই ওই আদিপাপের অগ্নিতেই পতঙ্গের মতো ঝাঁপ দিয়েছে। কারণ, এখন আমরা যেটাকে পাপ বলছি সেকালে ইংরেজি শিক্ষিত নব্য-বাঙালির কাছে সেটাই ছিল ‘প্রগতি’। এই ‘প্রগতি’র নাম ‘আধুনিকতা’। এসেছিল ইউরোপ থেকে। এই আধুনিকতায় সবাই সেকালে শামিল হতে চাইতেন। শুরু থেকে অনেকেই ওই আধুনিকতার আগুনে ঝাঁপ দিতে দড়িদড়া ছিঁড়ে দৌড়েছেন। কিন্তু সবার আগে পৌঁছাতে পেরেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি যখন পৌঁছলেন তখন তিনি ভেতরে ও বাইরে পুরোদস্তুর স্যুট-কোট-টাই ইংরেজ। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘রায় দীনবন্ধু মিত্রের জীবনী ও গ্রন্থাবলীর সমালোচনা’ প্রবন্ধে মাইকেলের ‘ফার্স্ট’ হওয়াটা নিশ্চিত করেছেন। বঙ্কিম বলেছেন, ‘পুরাণ দলের শেষ কবি ঈশ্চরচন্দ্র অস্তমিত, নূতনের প্রথম কবি মধুসূদনের নবোদয়। ঈশ্বরচন্দ্র খাঁটি বাঙ্গালী, মধুসূদন ডাহা ইংরেজ।’
ঔপনিবেশিক মনের বড় বৈশিষ্ট্য এই যে, তারা অন্যের মতো হতে চায়। এজন্যে টাকাওয়ালা শ্রেণির প্রায় সবাই ইংরেজের মতো হওয়ার জন্য পড়তেন ‘হিন্দু কালেজে’। এঁরা লিখতে চাইতেন ইংরেজের মতো; নতুন রুচির মতো। অর্থাৎ তারা তাই হতে চাইতেন যা তারা না। এই অন্যের মতো হতে চাওয়ার পাপে বিদ্ধ হয়েছেন মাইকেল থেকে শুরু করে পরবর্তী অধিকাংশ কবি-সাহিত্যিক। আবার কেউ কেউ ছিলেন দোআঁশলা। যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে দেশাল এবং বৈদেশাল এই দুইয়েরই এক দারুণ সমন্বয় ঘটেছিল। আবার কেউ কেউ ছিলেন যারা একেবারেই অন্যের মতো হতে চাননি; নিজের মতোই থাকতে চেয়েছেন। এই ধারায় রবীন্দ্রোত্তর যুগে জসীমউদ্দীন পড়বেন। বাংলা কবিতায় বা বাংলাদেশের কবিতায় আল মাহমুদ খুব গভীরভাবে এই ধারারই একজন। তিনি অন্যের মতো হতে চাওয়ার বা সাজতে চাওয়ার ঔপনিবেশিক হীনম্মন্যতার পাপ থেকে দূরে থাকতে পেরেছিলেন। তিনি নিজের মতোই হতে চেয়েছিলেন। মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর তিতাসকে অর্থাৎ বাংলাদেশকে মাথায় করে ইউরোপ, কলকাতা, পশ্চিম পাকিস্তান, ইরান-তুরানের উপনিবেশ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই বাংলাদেশকেই করোটির মধ্যে নিয়ে ঘুরেছেন উপনিবেশিত ঢাকার ভাষা সাহিত্য আর যাপনের অলিগলিতে। ক্রমে বাংলা কবিতার আগন্তুক আল মাহমুদ প্রভু হয়ে উঠেছেন। বিষয়টা পস্ট করার জন্য তাঁর ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’ এবং ‘সোনালি কাবিন’ কাব্যগন্থের শরণ নেব। এই লেখায় আল মাহমুদের আবির্ভাবের আয়োজনের মধ্যকার অপাপবিদ্ধতার ব্যাপারটা শনাক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। কবিতায় ঢোকা যাক।
আল মাহমুদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। কবিতাগুলো লেখা হয়েছে ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে। তিনি ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৫৩ সালের মার্চেরও পরে। একারণেই বোধ করি ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে ফেব্রুয়ারী সংকলনে তাঁর প্রজন্মের প্রায় সবার লেখা থাকলেও আল মাহমুদের কোনো লেখা নেই। তার মানে ঢাকায় আসার পরে লেখা কবিতাগুলো দিয়েই ‘লোক লোকান্তর’ সাজানো হয়েছে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ পড়ে যতটুকু বুঝি, ঢাকায় এসেই তাঁর অভিব্যক্তি হয়েছে, ‘এ কোন নতুন দেশে এসে পড়লাম। নতুন দেশই বটে! এসেই দেখেন এখানে সবাই বড্ড ‘আধুনিক’। ইংরেজি জানা; কলকাতা হজম করা সব কবি-সাহিত্যিকে গিজগিজ করছে ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়া কবি-সাহিত্যিকই বেশি। পঞ্চাশের দশকের প্রজন্মের শিক্ষিত ও আধুনিক কবিরা অধিকাংশই কবিতা লিখছেন জীবনানন্দ দাশের মতো, নয়তো বুদ্ধদেব বসুর মতো, নয়তো সুভাষ-সুকান্তের মতো। একটা বড় অংশের ওপর ভর করেছে ইংরেজি পড়ার অভিজ্ঞতা। এসবের সাথেই ব্যক্তিগত উপলব্ধি আর যাপনকে মিশেল দিয়েই সবাই মিলে রচনা করে তুলছেন বাংলাদেশের কবিতার নতুন ইতিহাস। তখনো কেউ ‘পরার্থপরতা’র খোলস ফাটিয়ে বেরিয়ে আসেননি। আবার আরেক শ্রেণির কবি আছেন যারা কবিতা লেখেন পাকিস্তান বা আরব-ইরানের দিকে তাকিয়ে। সব মিলিয়ে ওই সময়ের প্রায় সবাই অন্যের অদৃশ্য ছায়ায় বেড়ে উঠছেন। প্রায় সবাই-ই ওই অন্যের মতো হতে চাওয়ার পাপে বিদ্ধ হয়ে চলেছেন। কিন্তু আল মাহমুদ ঢাকার নতুন কবিতার দেশে ঢুকলেন এক প্রতœ চৈতন্য নিয়ে। কবিতার জন্য কোথাও কারো কাছে যাচ্ছেন না। তিনি গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন স্বদেশের পাথর পাহাড় খুঁড়ে বের করা করোটি ও হাড়ের সামনে। ওই আদিম করোটি আর হাড়ের মধ্যে দেখছেন নিজেরই কালোত্তীর্ণ রক্ত। খুঁজে ফিরছেন নিজের ‘রক্তের পিছে ইতিহাস কতটা নিবিড়।’ লক্ষ করা যাক ‘লোক লোকান্তর’ কাব্যের ‘প্রতœ’ কবিতার কিছু অংশ, ‘পাথর পাহাড় খুঁড়ে মিলেছে যে করোটি ও হাড়/বিস্ফারিত চোখে দেখি আত্মীয়ের জংধরা খুলি,/কেমন মমতা বাড়ে, হাতে নিই ঝেড়ে ঝুড়ে ধূলি,/কালোত্তীর্ণ রক্ত যেন কেঁপে ওঠে তোমার আমার।/কখনো বর্শার ফলা কখনোবা পাথরের তীর,/যূথবদ্ধ জীবনের নারীদের অলঙ্কার, আরো—/এখানে দাঁড়িয়ে তুমি যত খুশি ভেবে নিতে পারো/তোমার রক্তের পিছে ইতিহাস কতটা নিবিড়।’
আল মাহমুদ ১৯৫৩ সালের পরে ঢাকায় আসলেন। কিন্তু তিনি ঢাকার মতো হতে পারলেন না। একারণে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ জুড়ে দেখব ব্যক্তিত্ববান বিচ্ছিন্নতা, নৈঃসঙ্গ্য আর অন্ধকারে অবগাহনের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যে, তাঁর এই বিচ্ছন্নতা, নৈঃসঙ্গ্য কিছুতেই আধুনিক জীবনের বমি নয়। এ হচ্ছে খাপ খাওয়াতে না চাওয়ার অহম। নিজের মতো থাকার প্রতিবন্ধকতার খুনসুটির প্রকাশ। ঢাকা শহরের মধ্যে নিজেকে গরহাজির দেখার বিস্ময়জাত নৈঃসঙ্গ্য। প্রথম কাব্যগ্রন্থের ‘তৃষ্ণার ঋতু’ কবিতায় দেখি নিজেকে শহরের সাথে খাপ না খাইয়ে নিজের মধ্যে থিতু থাকার অদম্য অহম। কবিতাটা এরকম, ‘মায়ের দেহের মতো চিরচেনা এই সে শহর!/জলসত্র খুঁজেছি তো পাইনি সে কুম্ভভরা জল/পাইনি মেঘের মূর্তি যার পায়ে বেজে ওঠে মল/বৃষ্টির শব্দের মতো, হাসি যার কাঁপায় প্রহর।/জীবিকাবিজয়ী দেহে কোন ঘরে দাঁড়াবোরে আজ/কাকের ধূর্ততা নিয়ে ফিরেছি তো এখানে ওখানে/খুঁজেছি জলের কণা থর থর ধুলোর তুফানে/এখন বুঝেছি মানে— এও এক নারকী সমাজ;/জলসত্র নেই কারো এই শেষে মেনে নিলো মন, ধুলোকে এড়িয়ে আর কারো ঘরে যাবো না এখন।’ এরপর থেকে তিনি কেবলই ফিরতে চেয়েছেন তিতাসের কাছে, বৃষ্টির নূপুরে বাজতে থাকা ক্ষেতের আইলে, দেহাতি গানের দীর্ঘ টানে, কোমরে নীল শাড়ি পেচানো নারীর কাছে, ফুলের কাছে, পাখির কাছে। কারণ তিনি আবিষ্কার করেছেন, ‘আমাদের দুঃখকে আমরা ফোটাতে পারি না, নদী/ফোটায় যেমন তার ঢেউগুলি ব্যথার তড়িতে,/ফেনার ফোঁফানি যেন ছোঁয় এসে পাড়ের হরিতে,/পারি না তেমন করে আমরা তো স্পষ্ট কিছু, যদি/পারতাম, যেমন রজনীগন্ধা রাত্রির বাতাসে নতুনত্ব দেয় কিছু— প্রত্যহই পারে গন্ধ দিতে’। তিনি প্রাণ আর প্রকৃতিকেই ধরতে চেয়েছেন। কারণ তিনি জানেন, ‘মানুষের শিল্প সে তো নির্বোধের নিত্য কারিগরি/রুমালের আঁকা দাগে রঙিন সুতোয় ফুল তোলা’। তিনি যে কোকিল সেই কোকিল হয়েই থাকতে চেয়েছেন। কাকের (‘নগরের উত্তম নাগরিক’) দলে মিশে গান করা কোকিলের জন্য ‘কেবলি যে অপমান’। (দ্রষ্টব্য, ‘কাকা ও কোকিল’ কবিতা)
আল মাহমুদের কবিতায় ‘ফেরার পিপাসা’, ‘প্রত্যাবর্তন’ অথবা একই জায়গায় উবু হয়ে পড়ে থাকা বারবার লক্ষ করা যায়। (স্মরণীয়, ‘কতদূর এগোলো মানুষ!/কিন্তু আমি ঘোরলাগা বর্ষণের মাঝে আজও উবু হয়ে আছি।’) প্রথম কাব্যে এই নিজের কাছে ফেরার ব্যাপারে একটা আলো-আঁধারি ব্যাপার আছে। কিন্তু সব কবিতায়ই সিদ্ধান্তটি তাঁর বরাবরই স্থির। ‘কালের কলস’ আর ‘সোনালি কাবিন’-এ নিজের বুঝের মধ্যে থাকার ব্যাপারে তিনি বেপরোয়া যেন। কাউকেই খুব একটা পাত্তাটাত্তা দিচ্ছেন না। কারণ, এই দুই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো যখন লেখা হচ্ছে (১৯৬৩-১৯৭৩) তখন ডাক পড়েছে দেশের তরফ থেকে। চারদিকে টগবগ করছে জাতীয়তাবাদী আবেগ। এ যেন আল মাহমুদের জন্য এক মওকা। এই পর্বে তিনি কবিতার পর কবিতায় নিজের চৈতন্যের অনুকূলে থেকে নির্মাণ করে চললেন স্বজাতির ও স্বদেশের প্রতিকৃতি। এক্ষেত্রে তাঁকে অন্য অনেকের মতো খোলস পরিবর্তন করতে হয়নি। তাঁর কবিতা আগেও যেমন খোলা তরবারি ছিল এখনও সেই খোলা তরবারিই রইল। এখন শুধু ধার আর ঝিলিক বাড়ল এই যা।
এই ঘোরলাগা জাতীয়তাবাদী পর্বেই তিনি তাঁর নিজের চেতনার অনুকূলে উচ্চারণ করে উঠলেন যে, বাংলাদেশের বাঙালি কারো মতো নয়। নিজের মতোই। কেমন সে? মাহমুদ বললেন, সে অনার্য। তার যৌনতা, প্রেম, কাম, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ধর্মবোধ তার মতোই। আল মাহমুদের বাঙালি আর্য, আধুনিক, মহৎ, রুচিবান সাজতে চায়নি। বাঙালির অর্থনীতি, প্রেম আর কামকে তিনি নির্মাণ করেন এভাবে, ‘আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বণ্টন,/পরম স্বস্তির মন্ত্রে গেয়ে ওঠো শ্রেণীর উচ্ছেদ,/এমন প্রেমের বাক্য সহাসিনী করো উচ্চারণ/যেন না ঢুকতে পারে লোকধর্মে আর ভেদাভেদ।/তারপর তুলতে চাও কামের প্রসঙ্গ যদি নারী/খেতের আড়ালে এসে নগ্ন করো যৌবন জরদ,/শস্যের সপক্ষে থেকে যতটুকু অনুরাগ পারি/তারো বেশি ঢেলে দেবো আন্তরিক রতির দরদ’। ষাটের দশকের বাঙালির জাগরণকেও রূপায়িত করেন বাঙালির নিজস্ব রূপ ও রীতিতে, ‘মনে হলো, ডাক দিলে জড়ো হয়ে যাবে সব নদীর মানুষ/অসংখ্য নাওয়ের বাদাম, মুহূর্তে গুটিয়ে ফেলে রেখে/জমা হয়ে যাবে এই চরের ওপর।/খেতের আড়াল থেকে কালো/মানুষের ধারা এসে বলে দেবে সরোষে আমাকে/কী ভাবে এগোবে তারা দুর্ভেদ্য নগরের তোরণে প্রথম।’ এইসব কালো ও নদীর মানুষের কবি আল মাহমুদকেই বলেছি অপাপবিদ্ধ কবি।
এই যে নিজের পরিচয় নিজের মতো করে দেওয়া, নিজে নিজের মধ্যে থিতু থাকা, নিজের জনগোষ্ঠীর যা-পরিচয় তাকেই শনাক্ত করে অকপটে উচ্চারণ করার মধ্যেই আসল আল মাহমুদ লুকিয়ে আছেন। এটি পরে অনেকেই হয়ত করেছেন তাদের কবিতায়। কিন্তু আল মাহমুদ বাংলাদেশের কবিতায় নিজের চৈতন্যকে অকপট তুলে ধরার মাস্টার। তাই তিনি অপাপবিদ্ধ, তিনি মাসুম।
অপাপবিদ্ধ কবি আল মাহমুদ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ