ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বিশ্বের সেরা ছয় নারী জলবায়ু বিজ্ঞানীর তালিকায় ড. ওয়াহিদুন্নেসা

  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার : অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) এর বিবেচনায় এ বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ুবিষয়ক সেরা ছয় নারী বিজ্ঞানীর একজন নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।
উন্নয়নশীল দেশের আরও পাঁচ নারী বিজ্ঞানীর সঙ্গে তিনি এ বছরের ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পাচ্ছেন। বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি নারী বিজ্ঞানী দিবসে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৪ মার্চ তুরস্কের ইস্তাম্বুল আইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, জলজ পরিবেশবিদ গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিপন্ন জলাশয় ও প্রাণিকুল নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি তিনি প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা ও এর ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
জেলেরা ব্যবহারের অনুপোযোগী নাইলনের জাল নদী বা জলাশয়ে ফেলে দেন, এটি প্লাস্টিকদূষণ। জেলেদের এ দূষণ বন্ধে কাজ করছেন অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা। গবেষণার পরবর্তী ধাপে দরিদ্র জেলেদের ফেলে দেওয়া নাইলন দিয়ে কার্পেট বা কাপড় বানানো শেখানো হবে। এতে দূষণ বন্ধ হবে, বিকল্প আয়ও হবে।
ওডব্লিউএসডি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সংস্থাটি জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এর সদর দপ্তর ইতালিতে। অন্যদিকে এলসিভিয়ার বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকাশনা সংস্থা। ২০১৩ সাল থেকে ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু উন্নয়নশীল দেশের নারী বিজ্ঞানীদেরই দেওয়া হয়।
পুরস্কার পাওয়া অন্য বিজ্ঞানীরা হলেন রুয়ান্ডার ইউনিভার্সিটি অব রুয়ান্ডার মরিওম মোজাওয়ামারিয়া, ইয়েমেনের আল-সাঈদ ইউনিভার্সিটির আবির আহমেদ কায়েদ আহমেদ, নিকারাগুয়ার ইনস্টিটিউটো দ্য জিওলোজিয়া ই জিওফিজিকা–এর হেদ্দি কেলডেরোন, শ্রীলংকার ইউনিভার্সিটি অব মোরাচুয়ার আশানি চাবিন্ডা রানাতুঙ্গা ও গুয়াতেমালার সান কার্লোস ইউনিভার্সিটির ফ্লোর ডে মায়ো গঞ্জালেজ মিরান্ডা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিশ্বের সেরা ছয় নারী জলবায়ু বিজ্ঞানীর তালিকায় ড. ওয়াহিদুন্নেসা

আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যরিয়ার : অর্গানাইজেশন ফর উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (ওডব্লিউএসডি) এর বিবেচনায় এ বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ুবিষয়ক সেরা ছয় নারী বিজ্ঞানীর একজন নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।
উন্নয়নশীল দেশের আরও পাঁচ নারী বিজ্ঞানীর সঙ্গে তিনি এ বছরের ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পাচ্ছেন। বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি নারী বিজ্ঞানী দিবসে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৪ মার্চ তুরস্কের ইস্তাম্বুল আইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, জলজ পরিবেশবিদ গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিপন্ন জলাশয় ও প্রাণিকুল নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি তিনি প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা ও এর ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
জেলেরা ব্যবহারের অনুপোযোগী নাইলনের জাল নদী বা জলাশয়ে ফেলে দেন, এটি প্লাস্টিকদূষণ। জেলেদের এ দূষণ বন্ধে কাজ করছেন অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা। গবেষণার পরবর্তী ধাপে দরিদ্র জেলেদের ফেলে দেওয়া নাইলন দিয়ে কার্পেট বা কাপড় বানানো শেখানো হবে। এতে দূষণ বন্ধ হবে, বিকল্প আয়ও হবে।
ওডব্লিউএসডি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সংস্থাটি জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। এর সদর দপ্তর ইতালিতে। অন্যদিকে এলসিভিয়ার বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রকাশনা সংস্থা। ২০১৩ সাল থেকে ওডব্লিউএসডি-এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু উন্নয়নশীল দেশের নারী বিজ্ঞানীদেরই দেওয়া হয়।
পুরস্কার পাওয়া অন্য বিজ্ঞানীরা হলেন রুয়ান্ডার ইউনিভার্সিটি অব রুয়ান্ডার মরিওম মোজাওয়ামারিয়া, ইয়েমেনের আল-সাঈদ ইউনিভার্সিটির আবির আহমেদ কায়েদ আহমেদ, নিকারাগুয়ার ইনস্টিটিউটো দ্য জিওলোজিয়া ই জিওফিজিকা–এর হেদ্দি কেলডেরোন, শ্রীলংকার ইউনিভার্সিটি অব মোরাচুয়ার আশানি চাবিন্ডা রানাতুঙ্গা ও গুয়াতেমালার সান কার্লোস ইউনিভার্সিটির ফ্লোর ডে মায়ো গঞ্জালেজ মিরান্ডা।