নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘সীমানা জটিলতা এবং অবৈধ দখলদারদের কারণে’ কক্সবাজার বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গতকাল রোববার সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় পাখার সঙ্গে দুটি গরুর ধাক্কা লাগে। গরু দুটি মারা গেলেও বিমানটি নিরাপদেই যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা পৌঁছায়।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিসেম্বর মাসে নিরাপত্তা জোরদার করতে সংসদীয় কমিটি দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সুপারিশ করেছিল। রোববারে বৈঠকে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয় সেখানে বলেছে, “কক্সবাজার বিমানবন্দরের অপারেশনাল এলাকার চারিদিকে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর ও লিংক ওয়্যার ফেন্সিং স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা রক্ষা করা হচ্ছে। পারিপার্শ্বিকতার কারণে এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে লিংক ওয়্যার ফেন্সিংয়ের পরিবর্তে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
“পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থায়ী সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তবে রানওয়ের পূর্ব পাশে ঝিনুক মার্কেট এলাকায় ১৩০ মিটার এবং পানিকুয়া পাড়ায় ১৪৭০ মিটারসহ মোট ১৬০০ মিটার এলাকায় সীমানা জটিলতা এবং অবৈধ বসবাসকারী পরিবারগুলোকে স্থানান্তর/উচ্ছেদ না করায় স্থায়ী সীমানা প্রচীর নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।”
ওই এলাকায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং এ কাজে সহযোগিতার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বিমানবন্দরের মত এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সীমানা নিয়ে জটিলতা দুঃখজনক। কমিটি এই সমস্যা নিরসন করে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সুপারিশ করেছে।”
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি কক্সবাজার অঞ্চলকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সমন্বিতভাবে সভা আয়োজনের সুপারিশ করেছে। কক্সবাজার থেকে ঢাকার আসন অনুযায়ী বিমান ভাড়ার বৈষম্য কমিয়ে সমতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে বৈঠকে।
এছাড়া বরিশাল বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে পানি সম্পদ, ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সভার আয়োজনেরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের হয়রানি রোধ, কার্গোর ব্যবস্থাপনা ও ভিআইপি লাউঞ্জের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বৈঠকে সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, কাজী ফিরোজ রশীদ, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের দেড় কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর আটকে জটিলতায়
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ