ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর প্রমাণ চায় ইন্টারপোল

  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী সত্যিই মারা গেছেন কিনা তা জানতে চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে ইন্টারপোল। তার বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তার মৃত্যুর প্রমাণ জানতে চেয়েছে ইন্টারপোল। গতকাল শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করে। কারও বিষয়ে রেড নোটিশ জারি কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তারাই তদারকি করেন। তারা বলছেন, রেড নোটিশ প্রত্যাহারের আগে হারিছের মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রমাণ দরকার। তাই সিআইডিকে এই বিষয়ে দ্রুত লিখিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

মহিউল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষেরতো ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রেখে কোনও লাভ নেই। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কিনা তা জানাতে বলেছি। তাদের অনুরোধেই হারিছ চৌধুরীর ইন্টারপোলে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছিল।’
গত ১১ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হারিছ চৌধুরী চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরীর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মারা যান। এরপর হারিছ চৌধুরীর মেয়ের বরাত দিয়ে কেউ কেউ খবর প্রকাশ করেন তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন। ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।
এনসিবির চিঠির বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদক কামরুজ্জামান জানান, এনসিবি থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। হারিছ চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী সিলেটের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। একই সঙ্গে ঢাকায় তার দুটি অস্থায়ী ঠিকানায় খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার এসব ঠিকানা থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর সিআইডি এনসিবিকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর প্রমাণ চায় ইন্টারপোল

আপডেট সময় : ০২:২৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী সত্যিই মারা গেছেন কিনা তা জানতে চেয়ে সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে ইন্টারপোল। তার বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তার মৃত্যুর প্রমাণ জানতে চেয়েছে ইন্টারপোল। গতকাল শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করে। কারও বিষয়ে রেড নোটিশ জারি কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তারাই তদারকি করেন। তারা বলছেন, রেড নোটিশ প্রত্যাহারের আগে হারিছের মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রমাণ দরকার। তাই সিআইডিকে এই বিষয়ে দ্রুত লিখিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

মহিউল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষেরতো ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রেখে কোনও লাভ নেই। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কিনা তা জানাতে বলেছি। তাদের অনুরোধেই হারিছ চৌধুরীর ইন্টারপোলে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছিল।’
গত ১১ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হারিছ চৌধুরী চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরীর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মারা যান। এরপর হারিছ চৌধুরীর মেয়ের বরাত দিয়ে কেউ কেউ খবর প্রকাশ করেন তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়।
২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন। ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।
এনসিবির চিঠির বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদক কামরুজ্জামান জানান, এনসিবি থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। হারিছ চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী সিলেটের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। একই সঙ্গে ঢাকায় তার দুটি অস্থায়ী ঠিকানায় খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার এসব ঠিকানা থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর সিআইডি এনসিবিকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে।