ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

দূতাবাস কর্মকর্তাদের জনস্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে: বিএনপি

  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘অপেশাদারি’ কর্মকা-ের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দূতাবাসের দায়িত্ব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ওই দূতাবাসগুলোর ব্যয় বহন করা হয় এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই সব দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বহন করা হয়। অথচ নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব অভিযোগ করেন।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন নেতার উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনেটস্কি আইনের কথা উল্লেখ করেন। যে আইনের অধীনেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিদেশি যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।’
‘কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক এবং ঘৃণিত পদ্ধতিতে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কংগ্রেসেম্যানের বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিল না। স্পষ্টতই একটি দলীয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই বক্তব্যকে বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ফখরুলের দাবি, ‘নিয়মিতভাবে ‘ফ্যাক্টস চেক’ করেন এমন একজন ফ্যাক্টস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যমে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসের পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম দূতাবাসের পাঠানো প্রেস রিলিজটি হুবহু দাঁড়ি-কমাসহ প্রকাশ করেছে। ওই ফ্যাকটস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, তহবিল সংগ্রহের সভায় উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি কংগ্রেসম্যান মিকসকে যে প্রশ্ন করেছেন সেটাই কংগ্রেসম্যান মি. মিকসের বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, ‘বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ওয়াশিংটন দূতাবাস বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে।’
বেলজিয়াম দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ব্রাসেলস দূতাবাসের ওয়েবসাইট প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি এখনো আছে। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মতো বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরের কর্মকর্তারা সরকারি দলের অনুষ্ঠান নিয়মিত উপস্থিত থেকে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেন। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাকেই ধূলিসাৎ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ‘২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার ‘অবৈধ’ শাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নগ্নভাবে দলীয়করণ করে চলছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ভিন্নমত দমন করার কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। গুম, খুন, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে লজ্জাজনকভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এবং তার কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক।’
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ৬০০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী (ঊহভড়ৎপবফ ফরংধঢ়ঢ়বধৎধহপব) গুম হয়েছে। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখনো সময় আছে, এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার ব্যবস্থা নিন। সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিশিরাতের ভোট নয়, জনগণের নির্বিঘœ ভোট প্রদানের জন্য জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার গঠন করার মৌলিক শর্ত পূরণ করুন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দূতাবাস কর্মকর্তাদের জনস্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে: বিএনপি

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘অপেশাদারি’ কর্মকা-ের অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দূতাবাসের দায়িত্ব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ওই দূতাবাসগুলোর ব্যয় বহন করা হয় এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই সব দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বহন করা হয়। অথচ নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে।
গতকাল বুধবার বিকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব অভিযোগ করেন।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন নেতার উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক ‘নিষেধাজ্ঞার’ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনেটস্কি আইনের কথা উল্লেখ করেন। যে আইনের অধীনেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিদেশি যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।’
‘কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক এবং ঘৃণিত পদ্ধতিতে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কংগ্রেসেম্যানের বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিল না। স্পষ্টতই একটি দলীয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই বক্তব্যকে বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ফখরুলের দাবি, ‘নিয়মিতভাবে ‘ফ্যাক্টস চেক’ করেন এমন একজন ফ্যাক্টস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যমে সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসের পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম দূতাবাসের পাঠানো প্রেস রিলিজটি হুবহু দাঁড়ি-কমাসহ প্রকাশ করেছে। ওই ফ্যাকটস চেকার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, তহবিল সংগ্রহের সভায় উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি কংগ্রেসম্যান মিকসকে যে প্রশ্ন করেছেন সেটাই কংগ্রেসম্যান মি. মিকসের বক্তব্য হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, ‘বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ওয়াশিংটন দূতাবাস বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে।’
বেলজিয়াম দূতাবাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইতিপূর্বে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ব্রাসেলস দূতাবাসের ওয়েবসাইট প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি এখনো আছে। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মতো বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
ফখরুল আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন শহরের কর্মকর্তারা সরকারি দলের অনুষ্ঠান নিয়মিত উপস্থিত থেকে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করেন। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাকেই ধূলিসাৎ করেছে।’
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ‘২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকার ‘অবৈধ’ শাসন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নগ্নভাবে দলীয়করণ করে চলছে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ভিন্নমত দমন করার কাজে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। গুম, খুন, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে লজ্জাজনকভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এবং তার কর্মকর্তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে, যা জাতির জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক।’
ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময়ে ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ৬০০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী (ঊহভড়ৎপবফ ফরংধঢ়ঢ়বধৎধহপব) গুম হয়েছে। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’
সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এখনো সময় আছে, এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করার ব্যবস্থা নিন। সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নিশিরাতের ভোট নয়, জনগণের নির্বিঘœ ভোট প্রদানের জন্য জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে জনগণের সরকার গঠন করার মৌলিক শর্ত পূরণ করুন।’