ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও জয়ের জন্য বল পরিমাণ রান দরকার ছিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার। তবে গত ম্যাচের ভুল শুধরে এই ম্যাচে ঠিকই দলকে জয় এনে দিয়েছেন শুভাগত হোম। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা মেরে ঢাকার জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিকান্দার রাজার লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। জবাবে মাহমুদউল্লাহ ও জহুরুলের লড়াকু ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায় ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করতে নামা খুলনা শুরুতেই পড়ে বিপর্যয়ে। দলীয় ১২ রানেই ৪ উইকেট হারায় দলটি। ঢাকার বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে দলীয় ৫৮ রানে আরও দুটি উইকেট খোয়ায় তারা। তবে একপাশ আগলে রেখে একাই হাল ধরেন জিম্বাবুয়ের রাজা। সাত নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নামা এই ব্যাটার ইনিংসের শেষ বলে ফজল হক ফারুকীর বলে আউট হন। ৫০ বলে তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। দলের হয়ে আর কেউই ২০ রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। মেহেদী হাসান ১৭ করেন।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, ফারুকী ও কায়েস আহমেদ। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারান গত ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা তামিম ইকবাল। ৬ রানে তার ফেরার পর আরেক ওপেনার ইমরান উজ জামানও উইকেট হারান একই রানে। এরপর ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন জহুরুল ইসলাম। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি জহুরুল। ব্যক্তিগত ৩০ রানে রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হন তিনি। জহুরুলের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দেন শামসুর রহমান। কিন্তু পেরেরার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৩৪ রান করে বিদায় নেন ঢাকার অধিনায়ক। নিজের পরের ওভারে শামসুরকেও বিদায় করেন পেরেরা। শেষদিকে এসে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান শুভাগত হোম। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন এই ব্যাটার। ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। ৯ বলে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শুভাগত।
দুই ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকার জয়ের নায়ক শুভাগত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ