আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ওকলাহোমার তুলসা গণহত্যার স্থান পরিদর্শন করলেন জো বাইডেন। গত মঙ্গলবার এই পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে শত বছরের পুরোনো আলোচিত ওই গণহত্যার ঘটনার দায় মোচনের চেষ্টা চালালেন তিনি।
১৯২১ সালে তুলসায় শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদীদের হত্যার শিকার হন শত শত কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জো বাইডেন বলেন, বর্ণবাদী ওই সহিংসতা ও শ্বেত আধিপত্যবাদের উত্তরাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে আজও বিদ্যমান।
তুলসার গ্রিনউড এলাকায় নৃশংস ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের কয়েকজন ও নিহত ব্যক্তিদের সন্তানসন্ততিদের সঙ্গেও দেখা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এ সময় দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমাদের ভালো, মন্দ, সব বিষয়ে জানা দরকার। গণমুখী রাষ্ট্র এগুলো স্বীকার করে নেয়।’
জো বাইডেন বলেন, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে রক্তক্ষয়ী হামলা ও গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকটি রাজ্যে ভোটাভুটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা একই সমস্যার (বর্ণবাদী সহিংসতা) পুনরাবৃত্তি মাত্র। তিনি বলেন, গ্রিনউডে যা ঘটেছে তা ঘৃণাত্মক ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-। এমন কর্মকা- চলছে আজও।
এক শ্বেতাঙ্গ নারীর ওপর একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির হামলার অভিযোগে তুলসায় কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর গণহত্যা চালান স্থানীয় শ্বেতাঙ্গ অধিবাসীরা। ১৯২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন মাত্র দুই দিনে গুলি করে ৩০০ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেন তাঁরা। পাশাপাশি জ্বালিয়ে দেন এবং লুট করেন কৃষ্ণাঙ্গদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
ওই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে সমৃদ্ধ আফ্রিকান-আমেরিকান কমিউনিটিকে একেবারে তছনছ করে দেয়। যদিও যে অভিযোগে ওই হামলা, তা-ব তা কখনো প্রমাণিতই হয়নি। সহিংসতার ঘটনার পর বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোও কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দেয়নি। সহিংসতার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি একজনকেও।
তুলসা গণহত্যার দায় মোচনের উদ্যোগ জো বাইডেনের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ