ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি : গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রাণীদের মৃত্যু কারও ক্রুটির কারণে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “সাফারি পার্কে জ্রেবা, বাঘ ও সিংহীর মৃত্যু কারও ক্রটির কারণে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়। এখন পর‌্যন্ত যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তাতে প্রাণীগুলোর মৃত্যু বিভিন্ন রোগে হয়েছে বলে মনে হয়।”
গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা দুগ্ধ খামার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জানুয়ারি মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। এসব প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তের স্বার্থে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শ ম রেজাউল করিম বলেন, “এই সময়ে মানুষের মত প্রাণীরাও নতুন নতুন রোগে সংক্রমিত হচ্ছে, প্রাণী মারা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রোগ সংক্রমণের বিষয়টি উঠে এসেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যেসব রোগে প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে কি-না।
“যেসব বিদেশি প্রাণী আনা হয়, সে দেশের জলবায়ু কিংবা থাকার জায়গা আমাদের দেশের মতো না। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ ও জীবাণু সংক্রমণও হয়।”
চিড়িয়াখানায় মারা যাওয়া প্রাণীদের নমুনা একাধিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অবহেলায় নয়; বরং সংক্রমণের কারণে এসব প্রাণী মারা গেছে। জেব্রার মৃত্যু জীবাণু সংক্রমণে হয়েছে।”
রেজাউল এদিন আরও জানান, এ ছাড়া সাফারি পার্কের বিড়াল প্রজাতির প্রাণীও বিভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। বেঁচে থাকা প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ড. অমলেন্দু ঘোষ, সিলেট আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুস্তম আলী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সিলেট প্রতিনিধি : গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রাণীদের মৃত্যু কারও ক্রুটির কারণে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “সাফারি পার্কে জ্রেবা, বাঘ ও সিংহীর মৃত্যু কারও ক্রটির কারণে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়। এখন পর‌্যন্ত যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তাতে প্রাণীগুলোর মৃত্যু বিভিন্ন রোগে হয়েছে বলে মনে হয়।”
গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা দুগ্ধ খামার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জানুয়ারি মাসে পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও ৩ ফেব্রুয়ারি একটি সিংহী মারা যায়। এসব প্রাণীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন এবং তদন্তের স্বার্থে পার্কের শীর্ষ পর্যায়ের তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শ ম রেজাউল করিম বলেন, “এই সময়ে মানুষের মত প্রাণীরাও নতুন নতুন রোগে সংক্রমিত হচ্ছে, প্রাণী মারা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রোগ সংক্রমণের বিষয়টি উঠে এসেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যেসব রোগে প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে কি-না।
“যেসব বিদেশি প্রাণী আনা হয়, সে দেশের জলবায়ু কিংবা থাকার জায়গা আমাদের দেশের মতো না। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ ও জীবাণু সংক্রমণও হয়।”
চিড়িয়াখানায় মারা যাওয়া প্রাণীদের নমুনা একাধিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “এতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে অবহেলায় নয়; বরং সংক্রমণের কারণে এসব প্রাণী মারা গেছে। জেব্রার মৃত্যু জীবাণু সংক্রমণে হয়েছে।”
রেজাউল এদিন আরও জানান, এ ছাড়া সাফারি পার্কের বিড়াল প্রজাতির প্রাণীও বিভিন্নভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। বেঁচে থাকা প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ড. অমলেন্দু ঘোষ, সিলেট আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুস্তম আলী।