ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্কুল-কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আর জনসমাগমে বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব এবং বাংলাদেশে এখনকার সংক্রণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, “আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।”
সংশোধিত শর্ত দুটি হল : ১. উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অব্যশই কোভিড টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার সনদ আনতে হবে। ২. সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
কোভিড মোকাবিলায় এর আগে ২১ জানুয়ারি বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।
ওই প্রজ্ঞাপনে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেসময় ‘উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে’ কথাটি উল্লেখ না করলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে এটি বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এসব অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে তখনও টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগের প্রজ্ঞাপনে দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এবার সব স্কুল-কলেজ বন্ধের পরিবর্তে ‘শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধের’ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হলে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়।
অবশেষে সংক্রমণ কমে এলে ৫৪৩ দিন পর গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। তাতে দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়। এরইমধ্যে গত নভেম্বরে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে। ওমিক্রনের দাপটে মধ্যে নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ১০ জানুয়ারি ১১ দফা নির্দেশনা জানিয়েছে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধে বাস-ট্রেন আবার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা বলা হয়। তবে এর তিনদিন পর বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকের পর সব আসনে যাত্রী বহনের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সংক্রমণের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ২৩ জানুয়ারি সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনের দাপটে এই বছরের শুরু থেকেই ফিরেছে পুরনো বিধি-নিষেধগুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্কুল-কলেজে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আর জনসমাগমে বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল।
গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব এবং বাংলাদেশে এখনকার সংক্রণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, “আগের জারি করা সব বিধিনিষেধ ও নির্দেশনার সঙ্গে দুটি শর্ত সংশোধন করে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হল। এই বিধিনিষেধ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।”
সংশোধিত শর্ত দুটি হল : ১. উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অব্যশই কোভিড টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার সনদ আনতে হবে। ২. সব স্কুল-কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
কোভিড মোকাবিলায় এর আগে ২১ জানুয়ারি বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।
ওই প্রজ্ঞাপনে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেসময় ‘উন্মুক্ত স্থানে ও ভবনের ভেতরে’ কথাটি উল্লেখ না করলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে এটি বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এসব অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে তখনও টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগের প্রজ্ঞাপনে দেশের সব স্কুল, কলেজ ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এবার সব স্কুল-কলেজ বন্ধের পরিবর্তে ‘শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধের’ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি হলে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়।
অবশেষে সংক্রমণ কমে এলে ৫৪৩ দিন পর গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। তাতে দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফেরার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়। এরইমধ্যে গত নভেম্বরে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে। ওমিক্রনের দাপটে মধ্যে নতুন বছরের শুরু থেকেই দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ১০ জানুয়ারি ১১ দফা নির্দেশনা জানিয়েছে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এই বিধি-নিষেধে বাস-ট্রেন আবার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার কথা বলা হয়। তবে এর তিনদিন পর বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠকের পর সব আসনে যাত্রী বহনের সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সংক্রমণের পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ২৩ জানুয়ারি সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি অফিসসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনের দাপটে এই বছরের শুরু থেকেই ফিরেছে পুরনো বিধি-নিষেধগুলো।