ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

দুই রাজাকারের মৃত্যু: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা অকার্যকর ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ-প্রাপ্ত যশোরের কেশবপুরের রাজাকার কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ও অপর রাজাকার বিল্লাল হোসেনের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তাদের মামলা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শাখাওয়াত হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। ওই মামলার অন্য সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদ- দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল। তারা সকলেই যশোরের কেশবপুরে একাত্তরের রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
আট আসামির মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। বাকি ছয়জন ছিলেন পলাতক। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল করেছিলেন গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি। ওই আপিল আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে শাখাওয়াত মারা যান। শাখাওয়াত হোসেন একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন। তিনি যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। এ মামলার অন্য আসামিরাও রাজাকার ছিলেন। শাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াত থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন তিনি। এরপর ২০০১ সালে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে গিয়ে পরাজিত হন। পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। ২০০৬ সালে বিকল্পধারা, এরপর এলডিপি ও পিডিপি হয়ে আসেন জাতীয় পার্টিতে। সর্বশেষ এরশাদের ওই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন শাখাওয়াত হোসেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দুই রাজাকারের মৃত্যু: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা অকার্যকর ঘোষণা

আপডেট সময় : ০১:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ-প্রাপ্ত যশোরের কেশবপুরের রাজাকার কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ও অপর রাজাকার বিল্লাল হোসেনের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তাদের মামলা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শাখাওয়াত হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মৃত্যুদ- দিয়েছিলেন। ওই মামলার অন্য সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদ- দেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল। তারা সকলেই যশোরের কেশবপুরে একাত্তরের রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
আট আসামির মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। বাকি ছয়জন ছিলেন পলাতক। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল করেছিলেন গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি। ওই আপিল আবেদন বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে শাখাওয়াত মারা যান। শাখাওয়াত হোসেন একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা ছিলেন। তিনি যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। এ মামলার অন্য আসামিরাও রাজাকার ছিলেন। শাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াত থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন তিনি। এরপর ২০০১ সালে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে গিয়ে পরাজিত হন। পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি। ২০০৬ সালে বিকল্পধারা, এরপর এলডিপি ও পিডিপি হয়ে আসেন জাতীয় পার্টিতে। সর্বশেষ এরশাদের ওই পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন শাখাওয়াত হোসেন।