ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

ফেরিঘাটে ভাজা ইলিশের ঘ্রাণ

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ভোলা সংবাদদাতা : শীতের রাত, ঘাটের খাবারের হোটেলগুলোতে চলছে তাজা ইলিশ ভাজা। বাতাসে ভাসছে সেই ইলিশের ঘ্রাণ। সেখানে ক্রেতাদের ভিড়ও আছে বেশ। চলছে জমজমাট কেনা বেচা। কেউ কেউ ইলিশ ভাজাকে ‘ইলিশ ফ্রাই’ বলে থাকেন। হলুদ, লবন ও তেল দিয়ে বিশেষভাবে ভাজা হচ্ছে সু-স্বাদু টাটাকা ইলিশ মাছ। একপাশে চলছে ইলিশ ভাজা, অন্য পাশে বিক্রি। খাবার হোটেলের কারো যেন বসে থাকার সময় নেই। সবাই ব্যস্ত ইলিশ নিয়ে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমনই চিত্র দেখা যায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে। যেখানে রাতেও চলছে জমজমাট তাজা ইলিশ ভাজা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এমন কেনা বেচা। ছোট সাইজের প্রতি পিস ইলিশ ভাজা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শীতের রাতে গরম ভাতের সঙ্গে গরম ‘ইলিশ ভাজা’ জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। এখানে এসেই ঘাটের শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ইলিশের স্বাদ নেন। ইলিশা ফেরিঘাটের বেশিরভাগ দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তাই খাবারের জন্য কাউকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না।
দোকানগুলোতে ইলিশ ভাজার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের তরতাজা দেশি মাছ, মুরগীর মাংস, হালিম ও রুটি। তবে সবার পছন্দ পছন্দ ইলিশ ভাজা। জানা গেছে, মেঘনা নদী থেকে জেলেদের আহরিত তাজা ইলিশ সরাসরি কিনে নিয়ে আসেন ইলিশা ফেরিঘাটের হোটেল মালিকরা। তারপর সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিশেষ উপায়ে তেলে ভাজেন। এরপর তা সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। দোকানি মো. রুবেল বলেন, অন্য খাবারের তুলনায় ইলিশ ভাজার চাহিদা অনেক বেশি। দৈনিক ৪/৫ হাজার টাকার কেনা-বেচা হয়। এখানকার সব দোকানেই পাওয়া যায় সুস্বাদু ইলিশ ভাজা। ফেরির জন্য অপেক্ষমান যেসব যাত্রী হোটেল খেতে আসেন, তাদের সবারই পছন্দ ইলিশ ভাজা। ঘাটে ঘুরতে আসা বিল্লাল হোসেন জানান, ভোলা ইলিশের জন্য বিখ্যাত। তাই ভোলার মানুষের কাছে প্রিয় ইলিশ ভাজা। আমরা মাঝে মধ্যেই এখানে ইলিশ ভাজা খেতে আসি। স্থানীয় বাসিন্দা অংকুর রায় বলেন, ইলিশা ফেরিঘাটের প্রতিটা দোকানে পাওয়া যায় মেঘনার তাজা ইলিশ। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ইলিশ খেতে ছুটে আসেন এখানে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইলিশ ভাজা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফেরিঘাটে ভাজা ইলিশের ঘ্রাণ

আপডেট সময় : ০১:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভোলা সংবাদদাতা : শীতের রাত, ঘাটের খাবারের হোটেলগুলোতে চলছে তাজা ইলিশ ভাজা। বাতাসে ভাসছে সেই ইলিশের ঘ্রাণ। সেখানে ক্রেতাদের ভিড়ও আছে বেশ। চলছে জমজমাট কেনা বেচা। কেউ কেউ ইলিশ ভাজাকে ‘ইলিশ ফ্রাই’ বলে থাকেন। হলুদ, লবন ও তেল দিয়ে বিশেষভাবে ভাজা হচ্ছে সু-স্বাদু টাটাকা ইলিশ মাছ। একপাশে চলছে ইলিশ ভাজা, অন্য পাশে বিক্রি। খাবার হোটেলের কারো যেন বসে থাকার সময় নেই। সবাই ব্যস্ত ইলিশ নিয়ে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমনই চিত্র দেখা যায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে। যেখানে রাতেও চলছে জমজমাট তাজা ইলিশ ভাজা। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এমন কেনা বেচা। ছোট সাইজের প্রতি পিস ইলিশ ভাজা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শীতের রাতে গরম ভাতের সঙ্গে গরম ‘ইলিশ ভাজা’ জনপ্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে। এখানে এসেই ঘাটের শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ইলিশের স্বাদ নেন। ইলিশা ফেরিঘাটের বেশিরভাগ দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তাই খাবারের জন্য কাউকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না।
দোকানগুলোতে ইলিশ ভাজার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের তরতাজা দেশি মাছ, মুরগীর মাংস, হালিম ও রুটি। তবে সবার পছন্দ পছন্দ ইলিশ ভাজা। জানা গেছে, মেঘনা নদী থেকে জেলেদের আহরিত তাজা ইলিশ সরাসরি কিনে নিয়ে আসেন ইলিশা ফেরিঘাটের হোটেল মালিকরা। তারপর সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বিশেষ উপায়ে তেলে ভাজেন। এরপর তা সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। দোকানি মো. রুবেল বলেন, অন্য খাবারের তুলনায় ইলিশ ভাজার চাহিদা অনেক বেশি। দৈনিক ৪/৫ হাজার টাকার কেনা-বেচা হয়। এখানকার সব দোকানেই পাওয়া যায় সুস্বাদু ইলিশ ভাজা। ফেরির জন্য অপেক্ষমান যেসব যাত্রী হোটেল খেতে আসেন, তাদের সবারই পছন্দ ইলিশ ভাজা। ঘাটে ঘুরতে আসা বিল্লাল হোসেন জানান, ভোলা ইলিশের জন্য বিখ্যাত। তাই ভোলার মানুষের কাছে প্রিয় ইলিশ ভাজা। আমরা মাঝে মধ্যেই এখানে ইলিশ ভাজা খেতে আসি। স্থানীয় বাসিন্দা অংকুর রায় বলেন, ইলিশা ফেরিঘাটের প্রতিটা দোকানে পাওয়া যায় মেঘনার তাজা ইলিশ। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ইলিশ খেতে ছুটে আসেন এখানে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইলিশ ভাজা।