আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ে একটি অভ্যুত্থানচেষ্টায় নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন উমারো সিসোকো এমবালো; অভ্যুত্থানচেষ্টাকে ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হামলা’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী বিসাউয়ে একটি সরকারি ভবনের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়।
ভবনটিতে সেসময় মন্ত্রিসভার বৈঠক চলছিল এবং প্রেসিডেন্ট সেখানে ছিলেন বলে খবর মেলে। সেনারা প্রেসিডেন্ট ও তার মন্ত্রীদের আটক করেছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদনে পরে জানা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র বন্দুকধারীরা যখন সরকারি প্রাসাদে হামলা চালায়, তখন প্রেসিডেন্ট এমবালো প্রাসাদের ভেতরে প্রধানমন্ত্রী নুনো গোমেস নাবিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা সূত্র বিবিসিকে জানায়, সাদা পোশাকে থাকা বন্দুকধারীরা গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক নেতারা এই ঘটনাকে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার আসলেই গিনি-বিসাউয়ে কী ঘটেছে তা এখনও অস্পষ্ট।
বন্দুকধারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি এবং কতজন নিহত হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যাও প্রেসিডেন্ট দেননি।
বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এ দেশটি একসময় পর্তুগালের উপনিবেশ ছিল। ১৯৮০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটি ৯ বার অভ্যুত্থান বা অভ্যুত্থানচেষ্টা দেখেছে।
বিপুল বৈদেশিক ঋণের চাপে জর্জরিত দেশটির অর্থনীতি বিদেশি সাহায্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল; লাতিন আমেরিকান মাদক চোরাচালানের অন্যতম ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ও গিনি-বিসাউ। অনেকেই একে আফ্রিকার প্রথম ‘মাদক-রাষ্ট্র’ বলেও ডাকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্ট এমবালো জানান, ‘ভালোভাবে প্রস্তুত ও সংগঠিত’ যে হামলাটি হয়েছে তার সঙ্গে ‘মাদক চোরাকারবারে জড়িত ব্যক্তিদের যোগসাজশ’ থাকতে পারে; অবশ্য এ প্রসঙ্গেও বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
গিনি-বিসাউয়ে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা, বহু নিহত’
ট্যাগস :
গিনি-বিসাউয়ে ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা
জনপ্রিয় সংবাদ