বিনোদন ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ ট্রেন্ডের সঙ্গে আমরা সবাই এখন পরিচিত। আর এ কারণেই সবাই যেন ছুটছে ভাইরালের পিছনে। কিন্তু এই শব্দটাও যেন মানুষের জীবিকার কারণ হতে পারে তা হয়তো অনেকেই জানা নেই। সম্প্রতি ফেসবুক, টিটটক, লাইকি এর মতো সোশ্যাল ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটা ছেলের ভিডিও প্রায়ই দেখা যায়। যিনি কিনা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখানো কঠিন টিকসগুলো নিজের ভিডিওতে অনেক সহজেই দেখিয়ে থাকেন। কালো অবতারের সেই ছেলের ভিডিওগুলোতে অনেকে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পান। পাশাপাশি তার মিমগুলোতে মুখাভিনয় অনেকেই মেতে উঠেন। সবাই তার ভিডিও দেখলেও হয়তো তাকে চিনেন না অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কালো ছেলেটির নাম খাবি লেইম। দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ সেনেগালের বাসিন্দা খাবি লেইম। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে থাকেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারিতে কারখানায় সামান্য বেতনের চাকরি হারান খাবি। অনেক খুঁজেও নতুন কাজের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। কি করবেন ভেবে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। সেই পরিস্থিতিতে সময় কাটাতে টিকটক ভিডিও বানাতে শুরু করেন। আর এতেই ভাগ্য ফেরে খাবির। তবে অন্য দশজনের মতো নয়, খাবি নিজের ভিডিওতে রাখেন ভিন্নতা। কথা,গান কিংবা বিশেষ এডিটিং নয়, নানা অঙ্গভঙ্গি করে টিকটক দুনিয়া মাতান তিনি। অনেকটা ‘পোকার ফেস’ ইমোজির মতো। অন্তর্জালে সাড়া পেয়ে পর পর বেশ কিছু ভিডিও পোস্ট করেন খাবি। ধীরে ধীরে ভাইরাল হতে শুরু করেন তিনি। লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ার্স। এরপর প্রতিদিন ৩-৪টি করে ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন এই যুবক। শুধু মুখের ভঙ্গিমায় বানানো খাবির এসব ভিডিওর ভাষা বুঝতে বিশ্ববাসীর কোনো অসুবিধা হয়নি। জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী হতেই বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের অফার পান খাবি। এই কাজ করেও যে মোটা টাকা আয় করা যায়, তা বুঝতে পারেন তিনি। পাশাপাশি অন্তর্জালের নামী সেলেব্রিটিদের সঙ্গে কোলাবরেশনের ডাক আসতে থাকে তার। বিভিন্ন দেশে যেতে শুরু করেন চাকরিহীন সেই যুবক। মাত্র দেড় বছরেই টিকটকে ১১৪.৫ মিলিয়ন ফলোয়ার্স ছাড়িয়েছে খাবির। ইনস্টাগ্রামেও তার ফলোয়ার্স কম নয়। ৪৭.৯ মিলিয়ন। প্রসঙ্গত, খ্যাতনামা ব্র্যান্ড ড্রিম ইলেভেন থেকে দুই কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন একজন সাধারণ টিকটকার খাবি। অবশ্য তার পারিশ্রমিক ২ কোটি টাকা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি তিনি হিউগো বসের মত ব্যান্ডের সঙ্গে কোলাবরেশন করেছেন।