আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটে নারীদের একটি বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ এবং তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকার এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারীর নাম অ্যালিসন ফ্লুকে-একরেন। কানসাসের বাসিন্দা এই নারীর একাধিক সন্তান রয়েছে। অভিযোগ আছে, তিনি সিরিয়ায় নারী ও শিশুদের একে-৪৭ রাইফেল চালানো এবং কিভাবে সুইসাইড ভেস্ট ব্যবহার করতে হয় তা শেখাতেন। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে একটি কলেজ ক্যাম্পাসে হামলার জন্য লোক সংগ্রহ করার অভিযোগও রয়েছে। বিবিসি জানায়, ২০১৯ সালে করা এফবিআই এর একটি হলফনামা থেকে ফ্লুকে-একরনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত সংগ্রহ করা হয়। শনিবার ওই হলফনামা প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারের মুখোমুখি হতে ফ্লুকে-একরন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ফিরেছেন। হলফনামায় বলা হয়, ২০১৬ সালে সিরিয়ায় আইএস এর তথাকথিত রাজধানী রাক্কায় ‘খাতিবা নুসাইবাহ’ নামে শুধু নারীদের একটি বাহিনী গঠন করা হয়। আইএস এর পুরুষ সদস্যদের বিয়ে করেছেন শুধু তেমন নারীদের নিয়ে ওই বাহিনী গড়া হয়েছিল। ওই বাহিনীতের যোগ দেয়ার পর দ্রুত বাহিনীর নেতৃত্ব চলে যান ফ্লুকে-একরন। তিনি বাহিনীর সংগঠকদের এজজনও হয়ে উঠেন। সেখানে তার মূল ভূমিকা ছিল, আইএস এর শত্রুদের বিরুদ্ধে নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো। তিনি আইএস এ যোগ দেওয়া অনেক নারীকে একে-৪৭ রাইফেল, গ্রেনেড এবং সুইসাইড বেল্ট ব্যবহার করা শিখিয়েছেন।
এমনকি, তিনি শিশুদেরও অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করা শিখাতেন। এফবিআইর হলফনামায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলা হয়, ফ্লুকে-একরনের একজন ছেলেকে তিনি একটি মেশিনগান ধরে থাকতে দেখেছেন। ওই সময় শিশুটির বয়স বড়জোর পাঁচ বা ছয় বছর ছিল। ফ্লুকে-একরেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কলেজ ক্যাম্পাসে হামলার পরিকল্পনাও করেছিলেন এবং এ জন্য তিনি কর্মী সংগ্রহ করছিলেন বলে হলফানামায় বলা হয়। আরেক সাক্ষী বলেন, ফ্লুকে-একরেন তাকে নিজের স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, তিনি একটি শপিংমলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে চান যাতে অনেক মানুষ নিহত হয়। তিনি আরো বলেছিলেন, যদি হামলায় অনেক মানুষ মারা না যায় তবে তা সম্পদের অপচয় হবে। ফ্লুকে-একরেনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে যদি আদালতে সেগুলো প্রমাণিত হয় তবে তার ২০ বছরের কারাদ- হতে পারে।
আইএসের নারী দলকে নেতৃত্ব দেয়া মার্কিন নারী গ্রেপ্তার
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ