ক্রীড়া প্রতিবেদক : নিজেদের ইতিহাসে সেই একবারই সফল ছিল শেখ রাসেল। ২০১২-১৩ মৌসুমে তাদের অর্জন স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। সেবার ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ ও প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ‘ট্রেবল’ জিতেছিল তারা। এরপর আর সাফল্য ধরা দেয়নি, শিরোপা উৎসব করা হয়নি। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে হয়েছে সপ্তম। এবার আগের চেয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে তারা। লক্ষ্য, চূড়ায় জায়গা করে নেওয়া।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লিগে তাই জম্পেস প্রস্তুতি চলছে শেখ রাসেলের। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনি বদল এসেছে কোচিং স্টাফে। পরীক্ষিত সাইফুল বারী টিটুর সঙ্গী হয়েছেন আলোচিত সহকারী জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। এই জুটিতে ভরসা রাখতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মৌসুমের দুটি টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়ে এমনিতে চাপে আছে সবাই। স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড়দের পরিবর্তন করেও যে সাফল্য আসেনি। দলটির মূল শক্তি ফরোয়ার্ড। দুই ব্রাজিলিয়ান ও এক পর্তুগিজকে নিয়ে ধারালো ফরোয়ার্ড বলা হলেও ঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে পারছেন না। ফিটনেস ও চোটের কারণে তাদের সার্ভিস ঠিকমতো পাচ্ছে না দল। তারপরও লিগ নিয়ে আশাবাদী প্রধান কোচ টিটু।
২০১৮ সাল থেকে এই দলটির ডাগ আউটে দাঁড়ানো টিটু বলেছেন, ‘আগের চেয়ে দলের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। রক্ষণের পাশাপাশি ওপরের দিকেও ভালো খেলোয়াড় এসেছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো এক থেকে তিনের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া। আমি মনে করি, এই দল নিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে থাকা সম্ভব।’
তারকাসমৃদ্ধ দল হয়েও আগের দুটি টুর্নামেন্টে শেষ আটের লড়াই থেকে বিদায় নিয়েছে শেখ রাসেল। এর ব্যাখ্যায় টিটু বলেছেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করেছি। দুটি টুর্নামেন্টে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সাফল্য পাইনি। এবার লিগে অন্তত ভালো করতে চাই। বিদেশিদের ফিটনেস নিয়ে কাজ হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে যদি শতভাগ পাওয়া যায়, তাহলে আমি মনে করি সাফল্য আসবে।’ আবাহনী থেকে আসা সাদ উদ্দিনও চাইছেন শিরোপার স্বাদ পেতে। আকাশি-নীল জার্সিধারীদের হয়ে দুটি লিগ জেতা এই উইঙ্গার বলেছেন, ‘নতুন দলে এসেছি নতুন করে সাফল্য পেতে। আমরা যারা আছি, তারা সবাই এক হয়ে খেলতে পারলে ট্রফি জয় করা সম্ভব হবে। আমি আশাবাদী।’
টিটু-মিন্টু জুটিতে শেখ রাসেলে নতুন আশা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ