ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ব্রহ্মপুত্রের বালু উত্তোলনে জড়িতদের শাস্তি দাবি ৮ সংগঠনের

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মাণাধীন সড়কের কাজের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক আটটি বেসরকারি সংগঠন।
গতকাল শনিবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষায় জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমারদের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে কর্তিমারী নৌ ঘাটে ব্রহ্মপুত্রের ওপর একটি সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা এ সড়ক নির্মাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ও ট্রাক্টর মালিকরা পরিবেশবিনাশী সড়কটি নির্মাণ করছেন।
বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় ব্রহ্মপুত্রের বুক থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে প্রতি বছর বন্যার পরপরই দেখা দেয় ভাঙন। এতে বহু পরিবার বসতি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। এছাড়া নদের ভাঙনে চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজিবপুর বেড়িবাঁধের একাংশ ধসে গেছে। এভাবে গত ১০ বছরে কয়েকটি মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনাসহ শত শত হেক্টর ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্তিমারী নৌ ঘাটে সড়কটি নির্মিত হলে ব্রহ্মপুত্রের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত ও নৌ চলাচল বন্ধ হবে। একই সঙ্গে বেড়ে যাবে বালু উত্তোলনের মাত্রাও। বিবৃতি দাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরি হোয়ার (পিস) মহাসচিব ইফমা হুসেইন, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রহ্মপুত্রের বালু উত্তোলনে জড়িতদের শাস্তি দাবি ৮ সংগঠনের

আপডেট সময় : ০৩:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর নির্মাণাধীন সড়কের কাজের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবেশ ও নাগরিক অধিকারবিষয়ক আটটি বেসরকারি সংগঠন।
গতকাল শনিবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষায় জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমারদের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সরকারের কাছে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে কর্তিমারী নৌ ঘাটে ব্রহ্মপুত্রের ওপর একটি সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা এ সড়ক নির্মাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ব্রহ্মপুত্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ও ট্রাক্টর মালিকরা পরিবেশবিনাশী সড়কটি নির্মাণ করছেন।
বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় ব্রহ্মপুত্রের বুক থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে প্রতি বছর বন্যার পরপরই দেখা দেয় ভাঙন। এতে বহু পরিবার বসতি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। এছাড়া নদের ভাঙনে চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজিবপুর বেড়িবাঁধের একাংশ ধসে গেছে। এভাবে গত ১০ বছরে কয়েকটি মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনাসহ শত শত হেক্টর ফসলি জমি ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্তিমারী নৌ ঘাটে সড়কটি নির্মিত হলে ব্রহ্মপুত্রের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত ও নৌ চলাচল বন্ধ হবে। একই সঙ্গে বেড়ে যাবে বালু উত্তোলনের মাত্রাও। বিবৃতি দাতারা হলেন- নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাস্ট্যিান্স সেন্টার ফর এভরি হোয়ার (পিস) মহাসচিব ইফমা হুসেইন, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ ও যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী।