ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

পশ্চিমা বিশ্বকে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের

  • আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক না ছড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকায় লাখো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানান তিনি। খবর সংবাদমাধ্যম সিএনএনের। গত বছর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেখানে সামরিক মহড়া জোরদার করা হয়েছে। রাশিয়ার এমন প্রস্তুতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা ইউক্রেন দখল করতেই রাশিয়ার এই সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে রাশিয়া এমন অভিযোগ বারবার নাকচ করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে নানা পক্ষ। ইউক্রেনকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার এমন উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জেলেনস্কি। সেখানে আতঙ্ক না ছড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, ‘আমরা এই আতঙ্ক চাই না। আগ্রাসন অবশ্যম্ভাবী বলে বারবার সতর্ক করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের মধ্যে ফোনালাপের কথা তুলে ধরে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যদিও ক্রেমলিন এর পক্ষ থেকে বারবার আগ্রাসনের হুমকি আসে তবুও ২০১৪ সাল থেকেই কিয়েভ জানে কীভাবে তা মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, তারা বলছে আগামীকালই যুদ্ধ। এটাই আতঙ্ক।’ রাশিয়ার সেনা সমাবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছেন না জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত বছরেও এমন সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। আতঙ্ক সৃষ্টির পেছনে সংবাদমাধ্যমও দায়ী বলে এসময় অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি এক লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কিয়েভকে নিয়ে উভয়পক্ষই উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করছে। তবে, যুদ্ধের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসির নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ আসছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন

পশ্চিমা বিশ্বকে আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের

আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক না ছড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকায় লাখো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আহ্বান জানান তিনি। খবর সংবাদমাধ্যম সিএনএনের। গত বছর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেখানে সামরিক মহড়া জোরদার করা হয়েছে। রাশিয়ার এমন প্রস্তুতিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা ইউক্রেন দখল করতেই রাশিয়ার এই সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে রাশিয়া এমন অভিযোগ বারবার নাকচ করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসছে নানা পক্ষ। ইউক্রেনকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার এমন উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আসেন জেলেনস্কি। সেখানে আতঙ্ক না ছড়াতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ভলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, ‘আমরা এই আতঙ্ক চাই না। আগ্রাসন অবশ্যম্ভাবী বলে বারবার সতর্ক করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের মধ্যে ফোনালাপের কথা তুলে ধরে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যদিও ক্রেমলিন এর পক্ষ থেকে বারবার আগ্রাসনের হুমকি আসে তবুও ২০১৪ সাল থেকেই কিয়েভ জানে কীভাবে তা মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, তারা বলছে আগামীকালই যুদ্ধ। এটাই আতঙ্ক।’ রাশিয়ার সেনা সমাবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছেন না জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত বছরেও এমন সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। আতঙ্ক সৃষ্টির পেছনে সংবাদমাধ্যমও দায়ী বলে এসময় অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি এক লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কিয়েভকে নিয়ে উভয়পক্ষই উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করছে। তবে, যুদ্ধের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।