ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ঘটনাবহুল লড়াইয়ে ব্রাজিলকে রুখে দিল একুয়েডর

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরুতেই একুয়েডরের জালে বল, অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই লাল কার্ড এবং ফাউলের পর ফাউল-অনেক ঘটনার প্রথমার্ধের পর দেখা মিলল যেন আসল লড়াই। ঘটনার কমতি হয়নি সেখানেও। ‘ভিএআরের আধিপত্যের’ ম্যাচে শেষ ভাগে গোল হজম করে পয়েন্ট হারাল ব্রাজিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ৮৫০ মিটার উঁচুতে একুয়েডরের রাজধানী কিটোয় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ৩২ ফাউলের লড়াইটিতে কাসেমিরোর গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফেলিক্স তরেস।
ম্যাচের ফলে ভিএআরের ভূমিকা হয়ে উঠেছে অনেক বড়। দুই লাল কার্ড এসেছে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে। ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন দুবার বহিষ্কার হলেও ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। একুয়েডরের পক্ষে দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্তও একইভাবে উল্টে যায়। সব মিলিয়ে ম্যাচটি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার উপলক্ষ আছে ঢের।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমেরসন। ২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেক খেলোয়াড় এস্ত্রাদাকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার এমেরসন।
একুয়েডরের জন্য যা হতে পারতো দারুণ কিছু। কিন্তু এমেরসনের দুই হলুদ কার্ডের মাঝেই গোল হজম করার পাশাপাশি নিজেরাও ১০ জনের দলে পরিণত হয় বিশ্বকাপে সবশেষ ২০১৪ আসরে খেলা দলটি।
চোটের কারণে নেইমারকে ছাড়া খেলতে নামা ব্রাজিল এগিয়ে যায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে। ফিলিপে কৌতিনিয়োর কর্নার একুয়েডরের রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল আবারও চলে যায় এই মিডফিল্ডারের পায়ে। বাইলাইন থেকে দূরের পোস্ট উঁচু করে বাড়ান তিনি। মাথেউস কুইয়ার হেড গোলমুখে ডিফেন্ডার পিয়েরো ইনকাপিয়ের গায়ে লেগে বল পড়ে ঠিক গোললাইনের সামনে। কোনোমতে এক টোকায় বাকি কাজ সারেন কাসেমিরো।
এর ছয় মিনিট পরই একুয়েডরের গোলরক্ষকের লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ সামলে এগিয়ে যান কুইয়া। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ক্লিয়ার করতে শট নেন আলেকসান্দের দোমিনগেস। কিন্তু বলে পা লাগাতে পারেননি তিনি; উল্টো ডি-বক্সের মুখে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন দোমিনগেস। ভিএআরের সাহায্যে তাকে বহিষ্কার করেন রেফারি।
২৬তম মিনিটে ৯ জনের দলে পরিণত হতে বসেছিল তিতের দল। প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন আলিসন। কিন্তু পরমুহূর্তে তার পা লাগে এনের ভালেন্সিয়ার মাথায়। প্রথমে রেফারি লাল কার্ড দেখালেও দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে লিভারপুল গোলরক্ষককে হলুদ কার্ড দেন রেফারি।
বিরতির আগের ঘটনাবহুল লড়াইয়ে দুই দল সমান ১০টি করে ফাউল করে। এই সময়ে আক্রমণও হয় অনেক, তবে উল্লেখযোগ্য সুযোগ মেলে কমই। অনেক ফাউল, ভিএআরে সময়ক্ষেপন-সব মিলিয়ে প্রথমার্ধেই ১০ মিনিট যোগ করা সময় দেওয়া হয়। তারই শেষ দিকে দূর থেকে চেষ্টা করেন কুইয়া। তবে তার নিচু শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে আবারও ভিএআর নাটকীয়তা। ব্রাজিলের ডি-বক্সে রাফিনিয়ার চ্যালেঞ্জে একুয়েডরের ডিফেন্ডার পেরভিস এস্তুপিনান পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।
ম্যাচের কোনো সময়ই ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে জমাট দেখা যায়নি। তবে একুয়েডরও আক্রমণে তেমন ভালো করতে পারেনি। প্রথমার্ধে তো আলিসনকে ভাবানোর মতো কিছুই করতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয় ভাগের শুরু থেকে তুলনামূলক পরিকল্পিত ফুটবল খেলে দলটি। ৭৫তম মিনিটে পায় সাফল্যের দেখা। গনসালা প্লাতার কর্নারে হেডে গোলটি করেন ফেলিক্স তরেস। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে দলটির ১০ প্রচেষ্টার এই একটিই লক্ষ্যে ছিল। আর ব্রাজিলের ১২ শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে তেমন কোনো সুযোগ পায়নি আর কেউ। তবে নাটকীয়তার শেষ হতে তখনও যে অনেক বাকি। ইনজুরি টাইম যোগ হয় পাঁচ মিনিট। কিন্তু সেটাই গিয়ে ঠেকে ১২ মিনিটে! কারণ-আলিসন পাঞ্চ করে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে আলিসনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি এবং পেনাল্টি। তবে সফরকারীদের প্রতিবাদের মুখে দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই পাল্টে যায়।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করল ব্রাজিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে নিজেরাই রেকর্ডটি গড়েছিল পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
আর এই প্রতিযোগিতায় টানা দুই জয়ের পর এবার লড়াকু ফুটবলে ড্র করল একুয়েডর। এতে কাতার বিশ্বকাপে ওঠার স্বপ্ন পূরণের পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেল দলটি।
লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে একুয়েডর।
এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘটনাবহুল লড়াইয়ে ব্রাজিলকে রুখে দিল একুয়েডর

আপডেট সময় : ০২:০৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচের শুরুতেই একুয়েডরের জালে বল, অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই লাল কার্ড এবং ফাউলের পর ফাউল-অনেক ঘটনার প্রথমার্ধের পর দেখা মিলল যেন আসল লড়াই। ঘটনার কমতি হয়নি সেখানেও। ‘ভিএআরের আধিপত্যের’ ম্যাচে শেষ ভাগে গোল হজম করে পয়েন্ট হারাল ব্রাজিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ৮৫০ মিটার উঁচুতে একুয়েডরের রাজধানী কিটোয় বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ৩২ ফাউলের লড়াইটিতে কাসেমিরোর গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফেলিক্স তরেস।
ম্যাচের ফলে ভিএআরের ভূমিকা হয়ে উঠেছে অনেক বড়। দুই লাল কার্ড এসেছে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে। ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন দুবার বহিষ্কার হলেও ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। একুয়েডরের পক্ষে দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্তও একইভাবে উল্টে যায়। সব মিলিয়ে ম্যাচটি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার উপলক্ষ আছে ঢের।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমেরসন। ২০তম মিনিটে প্রতিপক্ষের আরেক খেলোয়াড় এস্ত্রাদাকে পেছন থেকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার এমেরসন।
একুয়েডরের জন্য যা হতে পারতো দারুণ কিছু। কিন্তু এমেরসনের দুই হলুদ কার্ডের মাঝেই গোল হজম করার পাশাপাশি নিজেরাও ১০ জনের দলে পরিণত হয় বিশ্বকাপে সবশেষ ২০১৪ আসরে খেলা দলটি।
চোটের কারণে নেইমারকে ছাড়া খেলতে নামা ব্রাজিল এগিয়ে যায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে। ফিলিপে কৌতিনিয়োর কর্নার একুয়েডরের রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল আবারও চলে যায় এই মিডফিল্ডারের পায়ে। বাইলাইন থেকে দূরের পোস্ট উঁচু করে বাড়ান তিনি। মাথেউস কুইয়ার হেড গোলমুখে ডিফেন্ডার পিয়েরো ইনকাপিয়ের গায়ে লেগে বল পড়ে ঠিক গোললাইনের সামনে। কোনোমতে এক টোকায় বাকি কাজ সারেন কাসেমিরো।
এর ছয় মিনিট পরই একুয়েডরের গোলরক্ষকের লাল কার্ড পাওয়ার ঘটনা। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ সামলে এগিয়ে যান কুইয়া। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ক্লিয়ার করতে শট নেন আলেকসান্দের দোমিনগেস। কিন্তু বলে পা লাগাতে পারেননি তিনি; উল্টো ডি-বক্সের মুখে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন দোমিনগেস। ভিএআরের সাহায্যে তাকে বহিষ্কার করেন রেফারি।
২৬তম মিনিটে ৯ জনের দলে পরিণত হতে বসেছিল তিতের দল। প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন আলিসন। কিন্তু পরমুহূর্তে তার পা লাগে এনের ভালেন্সিয়ার মাথায়। প্রথমে রেফারি লাল কার্ড দেখালেও দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টে লিভারপুল গোলরক্ষককে হলুদ কার্ড দেন রেফারি।
বিরতির আগের ঘটনাবহুল লড়াইয়ে দুই দল সমান ১০টি করে ফাউল করে। এই সময়ে আক্রমণও হয় অনেক, তবে উল্লেখযোগ্য সুযোগ মেলে কমই। অনেক ফাউল, ভিএআরে সময়ক্ষেপন-সব মিলিয়ে প্রথমার্ধেই ১০ মিনিট যোগ করা সময় দেওয়া হয়। তারই শেষ দিকে দূর থেকে চেষ্টা করেন কুইয়া। তবে তার নিচু শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে আবারও ভিএআর নাটকীয়তা। ব্রাজিলের ডি-বক্সে রাফিনিয়ার চ্যালেঞ্জে একুয়েডরের ডিফেন্ডার পেরভিস এস্তুপিনান পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরে দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি।
ম্যাচের কোনো সময়ই ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে জমাট দেখা যায়নি। তবে একুয়েডরও আক্রমণে তেমন ভালো করতে পারেনি। প্রথমার্ধে তো আলিসনকে ভাবানোর মতো কিছুই করতে পারেনি তারা।
দ্বিতীয় ভাগের শুরু থেকে তুলনামূলক পরিকল্পিত ফুটবল খেলে দলটি। ৭৫তম মিনিটে পায় সাফল্যের দেখা। গনসালা প্লাতার কর্নারে হেডে গোলটি করেন ফেলিক্স তরেস। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে দলটির ১০ প্রচেষ্টার এই একটিই লক্ষ্যে ছিল। আর ব্রাজিলের ১২ শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে তেমন কোনো সুযোগ পায়নি আর কেউ। তবে নাটকীয়তার শেষ হতে তখনও যে অনেক বাকি। ইনজুরি টাইম যোগ হয় পাঁচ মিনিট। কিন্তু সেটাই গিয়ে ঠেকে ১২ মিনিটে! কারণ-আলিসন পাঞ্চ করে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করে বসেন। সঙ্গে সঙ্গে আলিসনকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি এবং পেনাল্টি। তবে সফরকারীদের প্রতিবাদের মুখে দীর্ঘক্ষণ ভিএআরে দেখে দুটি সিদ্ধান্তই পাল্টে যায়।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করল ব্রাজিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে নিজেরাই রেকর্ডটি গড়েছিল পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
আর এই প্রতিযোগিতায় টানা দুই জয়ের পর এবার লড়াকু ফুটবলে ড্র করল একুয়েডর। এতে কাতার বিশ্বকাপে ওঠার স্বপ্ন পূরণের পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেল দলটি।
লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে কাতারের টিকেট নিশ্চিত করা ব্রাজিল ১৪ ম্যাচে ১১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
১৫ ম্যাচে সাত জয় ও তিন ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে একুয়েডর।
এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ।