ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

আড়াল থেকে বেরিয়ে পপি বললেন, ‘জানের ভয়ে’ আছি গুটিয়ে

  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : বছরখানেকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি এক ভিডিও বার্তায় জানালেন, শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারানোর পর ‘জীবনের ভয়ে’ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে অনুপস্থিত পপি বছর খানেক ধরে কোনো গণমাধ্যমেও কথা বলেননি; মাঝে তার বিয়ে ও সন্তান ধারণের খবরও এলেও নীরব ছিলেন তিনি। সিনেমার পরিচালকরাও তার নাগাল পাননি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার বিকালে ফেইসবুকে পপির ভিডিও বার্তাটি ছড়্য়া। তাতে নিজের সিনেমা থেকে গুটিয়ে নেওয়ার কারণ জানানোর পাশাপাশি শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রতি নিজের সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন। কারও নাম না নিয়ে ভিডিও বার্তায় পপি বলেন, “বর্তমান শিল্পী সমিতির একটিমাত্র লোকের কারণে, তার পলিটিক্স এবং তার অনেক রকম অসহযোগিতার কারণে আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণও অপমানিত হয়েছেন।… যার কারণে আজ আমি ভিকটিম। আমার মতো শিল্পীকে সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এত বছর কাজ করার পর এমন আচরণ, একটা শিল্পীর জন্য কতটুকু অপমানের-সেটা বুঝতে পারি। আমার মতো যারা ভিকটিম হয়েছেন, ১৮৪ জন শিল্পীরা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে। “এই নোংরামির কারণে, আমার মান সম্মান নিয়ে থাকার জন্য বা আমার জানের ভয় ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমি চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার সদস্যপদ বাতিলের চিঠিটা আমার কাছে এখনও আছে। চিঠিটা পাওয়ার পর আমি বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, আমি এই নোংরামির মধ্যে আর যাব না। ভেবেছি, কখনো যদি পরিবেশ ভালো হয়, নোংরা মানুষগুলো যদি ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে যায় তখনই আবার কাজে ফিরব।”
একজন শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে তিনি বার্তাটি তুলে আনার কথা জানিয়ে পপি বলেন, “দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামের সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলছি, আজ আমি কোথায়! আমি আছি আপনাদের মাঝেই, হয়তো ভাগ্য থাকলে আবারও ফিরব।” ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে ভোট দিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা যে ভুলটা করেছি, দয়া করে আপনারা সেই ভুলটা করবেন না। চলচ্চিত্র বাঁচলেই আমরা বাঁচব। আমরা পরিবর্তন চাই, কাজ চাই। সে জন্য আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষিত সৈনিক কাঞ্চন ভাই, নিপুণ, রিয়াজদের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। ভালো কাজের জন্য, তারা অন্তত শিল্পীর মূল্যায়ন করবে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

আড়াল থেকে বেরিয়ে পপি বললেন, ‘জানের ভয়ে’ আছি গুটিয়ে

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

বিনোদন ডেস্ক : বছরখানেকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি এক ভিডিও বার্তায় জানালেন, শিল্পী সমিতির সদস্যপদ হারানোর পর ‘জীবনের ভয়ে’ নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। চলচ্চিত্রে অনুপস্থিত পপি বছর খানেক ধরে কোনো গণমাধ্যমেও কথা বলেননি; মাঝে তার বিয়ে ও সন্তান ধারণের খবরও এলেও নীরব ছিলেন তিনি। সিনেমার পরিচালকরাও তার নাগাল পাননি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে বুধবার বিকালে ফেইসবুকে পপির ভিডিও বার্তাটি ছড়্য়া। তাতে নিজের সিনেমা থেকে গুটিয়ে নেওয়ার কারণ জানানোর পাশাপাশি শিল্পী সমিতির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের প্রতি নিজের সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন। কারও নাম না নিয়ে ভিডিও বার্তায় পপি বলেন, “বর্তমান শিল্পী সমিতির একটিমাত্র লোকের কারণে, তার পলিটিক্স এবং তার অনেক রকম অসহযোগিতার কারণে আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমার মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণও অপমানিত হয়েছেন।… যার কারণে আজ আমি ভিকটিম। আমার মতো শিল্পীকে সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এত বছর কাজ করার পর এমন আচরণ, একটা শিল্পীর জন্য কতটুকু অপমানের-সেটা বুঝতে পারি। আমার মতো যারা ভিকটিম হয়েছেন, ১৮৪ জন শিল্পীরা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে। “এই নোংরামির কারণে, আমার মান সম্মান নিয়ে থাকার জন্য বা আমার জানের ভয় ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমি চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। আমার সদস্যপদ বাতিলের চিঠিটা আমার কাছে এখনও আছে। চিঠিটা পাওয়ার পর আমি বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম। তখনই ভেবেছিলাম, আমি এই নোংরামির মধ্যে আর যাব না। ভেবেছি, কখনো যদি পরিবেশ ভালো হয়, নোংরা মানুষগুলো যদি ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে যায় তখনই আবার কাজে ফিরব।”
একজন শিল্পী হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে তিনি বার্তাটি তুলে আনার কথা জানিয়ে পপি বলেন, “দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে সুনামের সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলছি, আজ আমি কোথায়! আমি আছি আপনাদের মাঝেই, হয়তো ভাগ্য থাকলে আবারও ফিরব।” ২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে ভোট দিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা যে ভুলটা করেছি, দয়া করে আপনারা সেই ভুলটা করবেন না। চলচ্চিত্র বাঁচলেই আমরা বাঁচব। আমরা পরিবর্তন চাই, কাজ চাই। সে জন্য আমার কাছে মনে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষিত সৈনিক কাঞ্চন ভাই, নিপুণ, রিয়াজদের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। ভালো কাজের জন্য, তারা অন্তত শিল্পীর মূল্যায়ন করবে।”