ক্রীড়া ডেস্ক : গত দুই বছর লিভারপুল আর বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বাজেভাবে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। সে দুই ম্যাচে এই চারজনই দলের রক্ষণভাগ সামলেছেন। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে রবের্তোর জায়গায় সের্হিনিও দেস্ত এলেও বাকিরা এখনো খেলে যাচ্ছেন সমানে। এবার নতুন মৌসুম আসার আগে রক্ষণভাগের এই দুর্বলতা ঢাকার জন্য রীতিমতো মরিয়া বার্সেলোনা। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ফ্রি’তে স্প্যানিশ সেন্টারব্যাক এরিক গার্সিয়াকে দুদিন আগেই এনেছে বার্সা। এবার রাইটব্যাক পজিশনের জন্য দেস্তের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে এল দলটা। রিয়াল বেতিস থেকে দলে আসছেন ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক এমারসন রয়্যাল।
তবে এমারসনের সঙ্গে বার্সার নাম জড়িয়ে আলোচনা দুই বছর ধরেই। ব্রাজিলের ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরো থেকে রিয়াল বেতিসের সঙ্গে একরকম ভাগাভাগি করে, যৌথ দলবদলে এই তরুণকে কিনেছিল বার্সেলোনা। যে কারণে এমারসনকে বেতিসের কাছে দুবছর ধারে পাঠিয়েছিল কাতালান ক্লাবটা। এই দুবছরে বেতিসের অন্যতম শক্তির জায়গা হয়ে উঠেছেন এই এমারসন। চুক্তিতে ছিল, দুবছর পর বার্সা চাইলে নব্বই লাখ ইউরো দিয়ে এমারসনকে বেতিসের কাছ থেকে পাকাপাকিভাবে কিনতে পারবে। সে সুযোগটাই নিতে যাচ্ছে বার্সেলোনা।
পিএসজি, ইন্টার মিলান, আর্সেনাল, নাপোলিসহ ইউরোপের আরও অনেক বড় বড় ক্লাব নজর রাখছিল এমারসনের দিকে। কিন্তু হাতের নাগালে এত ভালো একজন রাইটব্যাককে না কেনার সুযোগ বার্সা কীভাবে হেলায় হারাতে পারে, যেখানে নিজেদের রক্ষণের এমন অবস্থা?
শুধু রাইটব্যাক হিসেবেই নয়, রাইট মিডফিল্ডার ও রাইট উইংব্যাক হিসেবেও খেলতে পারেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। কাগজে-কলমে রোনাল্ড কোমানের ৩-৪-৩ ছকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ার সামর্থ্য আছে তাঁর।
অবশ্য বার্সায় যাওয়ার জন্য যে মুখিয়ে আছেন, সেটা গত সপ্তাহেই আকারে-ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছিলেন এই তরুণ। বলেছিলেন, ‘আমার জন্য বার্সেলোনায় খেলা একটা স্বপ্নের মতো। এমন সম্ভাবনা যদি আসে বার্সায় যোগ দেওয়ার, সেটা এসেছে আমার পারফরম্যান্স ও পরিশ্রমের কারণেই। আমি অনেক খুশি।’
তবে বেতিস থেকে বছর দুয়েক আগে লেফটব্যাক জুনিয়র ফিরপোকেও এনেছিল বার্সেলোনা। ফিরপো নিজেকে এখনো মূল একাদশের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি। বার্সা আশা করবে, এমারসনের ক্ষেত্রে যেন তেমনটা না হয় অন্তত!
রক্ষণ সাজাতে মরিয়া বার্সেলোনা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ