ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

৬ ম্যাচ খেলেই ওয়ানডের বর্ষসেরা বাবর

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : মাত্র ছয়টি ম্যাচই যথেষ্ট হলো বাবর আজমের জন্য। দুটি সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সে জিতে নিলেন আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। পেছনে ফেললেন সাকিব আল হাসান, ইয়ানেমান মালান ও পল স্টার্লিংকে। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে সোমবার ওয়ানডের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নাম জানানো হয়। মেয়েদের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার লিজেল লি। পুরুষ ক্রিকেটে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কারও গেছে পাকিস্তান। আগের দিন এই সংস্করণে সেরা নির্বাচিত হন মোহাম্মদ রিজওয়ান
২০২১ সালে কেবল ছয়টি ওয়ানডে খেললেও দলের দুটি সিরিজেই ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচে ২২৮ রান করে তিনি ছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার দল সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে, দুই জয়ের ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন বাবর। প্রথম ম্যাচে ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাবর খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। শেষ ওয়ানডেতে ৮২ বলে করেন ৯৪ রান, আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তুলেছিল ৩২০ রান। এরপর ইংল্যান্ড সফরে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশড হওয়া সিরিজেও ব্যাট হাতে বারব ছিলেন উজ্জল। তিন ম্যাচে তিনি করেন ১৭৭ রান। পাকিস্তানের আর কেউ ১০০ ছুঁতে পারেননি। তার সেরাটা দেখা যায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে। আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তোলে ৩৩১ রান। দলের প্রায় অর্ধেক রান ছিল বাবরের, ১৩৯ বলে ১৫৮। শুরুতে ফখর জামানের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে তিনি ইমাম উল হকের সঙ্গে গড়েন ৯২ রানের জুটি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৭২ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে কেবল ৩২ বলে। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি শেষ হয় শেষ ওভারে আউট হয়ে। যদিও সঙ্গী হয় হারের বিষাদ। বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ভক্ত-সমর্থক, আইসিসি, পিসিবি, সতীর্থ, কোচ ও মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাবর। ফিরে তাকার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দিকে।
“আমার সেরা ইনিংসের কথা যদি জিজ্ঞেস করেন, সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৫৮। সেটা আমার সর্বোচ্চ এবং ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসও। কারণ, সেখানে আমি ভুগছিলাম, আমার এমন একটা ইনিংস খুব দরকার ছিল। সেটা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারি, যা আমাকে আত্মবিশ্বাস যোগায়।” ওয়ানডেতে আইসিসির বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা লি বছর শুরু করেন শূন্য রানের ইনিংস দিয়ে। এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বছর শেষ করেন চূড়ায় থেকে। ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ৯০.২৮ গড়ে করেন ৬৩২ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রান দিয়ে শুরু করার পর খেলেন দুটি ৪০ ছাড়ানো ইনিংস। এরপর ভারত সফরে যেন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ৪-১ ব্যবধানের সিরিজ জয়ে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান। এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে করেন সর্বোচ্চ ২৮৮ রান, জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ধরে রাখেন ছন্দ। সেখানেও হন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়ে যেন খুশির জোয়ারে ভাসছেন লি। “আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এটা আমার প্রত্যাশিত ছিল না। হ্যাঁ, সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলাম, তবে এটা যে কেউই জিততে পারত। শেষ পর্যন্ত এই অ্যাওয়ার্ড জেতায় আমি গর্বিত।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৬ ম্যাচ খেলেই ওয়ানডের বর্ষসেরা বাবর

আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : মাত্র ছয়টি ম্যাচই যথেষ্ট হলো বাবর আজমের জন্য। দুটি সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সে জিতে নিলেন আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। পেছনে ফেললেন সাকিব আল হাসান, ইয়ানেমান মালান ও পল স্টার্লিংকে। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসির ওয়েবসাইটে সোমবার ওয়ানডের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের নাম জানানো হয়। মেয়েদের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার লিজেল লি। পুরুষ ক্রিকেটে বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কারও গেছে পাকিস্তান। আগের দিন এই সংস্করণে সেরা নির্বাচিত হন মোহাম্মদ রিজওয়ান
২০২১ সালে কেবল ছয়টি ওয়ানডে খেললেও দলের দুটি সিরিজেই ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচে ২২৮ রান করে তিনি ছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার দল সিরিজ জেতে ২-১ ব্যবধানে, দুই জয়ের ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন বাবর। প্রথম ম্যাচে ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাবর খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। শেষ ওয়ানডেতে ৮২ বলে করেন ৯৪ রান, আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তুলেছিল ৩২০ রান। এরপর ইংল্যান্ড সফরে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশড হওয়া সিরিজেও ব্যাট হাতে বারব ছিলেন উজ্জল। তিন ম্যাচে তিনি করেন ১৭৭ রান। পাকিস্তানের আর কেউ ১০০ ছুঁতে পারেননি। তার সেরাটা দেখা যায় সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে। আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান তোলে ৩৩১ রান। দলের প্রায় অর্ধেক রান ছিল বাবরের, ১৩৯ বলে ১৫৮। শুরুতে ফখর জামানের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে তিনি ইমাম উল হকের সঙ্গে গড়েন ৯২ রানের জুটি। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৭২ বলে। পরের পঞ্চাশ করতে লাগে কেবল ৩২ বলে। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি শেষ হয় শেষ ওভারে আউট হয়ে। যদিও সঙ্গী হয় হারের বিষাদ। বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ভক্ত-সমর্থক, আইসিসি, পিসিবি, সতীর্থ, কোচ ও মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বাবর। ফিরে তাকার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দিকে।
“আমার সেরা ইনিংসের কথা যদি জিজ্ঞেস করেন, সেটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ১৫৮। সেটা আমার সর্বোচ্চ এবং ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসও। কারণ, সেখানে আমি ভুগছিলাম, আমার এমন একটা ইনিংস খুব দরকার ছিল। সেটা শেষ পর্যন্ত খেলতে পারি, যা আমাকে আত্মবিশ্বাস যোগায়।” ওয়ানডেতে আইসিসির বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতা লি বছর শুরু করেন শূন্য রানের ইনিংস দিয়ে। এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বছর শেষ করেন চূড়ায় থেকে। ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ৯০.২৮ গড়ে করেন ৬৩২ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে শূন্য রান দিয়ে শুরু করার পর খেলেন দুটি ৪০ ছাড়ানো ইনিংস। এরপর ভারত সফরে যেন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ৪-১ ব্যবধানের সিরিজ জয়ে রাখেন সবচেয়ে বড় অবদান। এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে করেন সর্বোচ্চ ২৮৮ রান, জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ধরে রাখেন ছন্দ। সেখানেও হন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়ে যেন খুশির জোয়ারে ভাসছেন লি। “আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এটা আমার প্রত্যাশিত ছিল না। হ্যাঁ, সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলাম, তবে এটা যে কেউই জিততে পারত। শেষ পর্যন্ত এই অ্যাওয়ার্ড জেতায় আমি গর্বিত।”