ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলে চুক্তিতে যাত্রীবহন

  • আপডেট সময় : ১১:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি থাকলেও তা করছেন না বেশিরভাগ চালক। চুক্তিতে যাত্রী নিচ্ছেন তারা। এজন্য নগরীর মোড়ে মোড়ে দেখা যায় মোটরসাইকেলের জটলা। যানজটও লেগে যায় অনেক সময়।
পুলিশ বলছে, অ্যাপ ছাড়া মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএও বলছে, এটি বৈধ নয়। এ নিয়ে অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সমঝোতায় হচ্ছে বলে অপরাধী চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
নগরীর সড়ক মোড়গুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি মোড়েই বিপুল সংখ্যক চালক মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। রিকশা-সিএনজিসহ অন্যান্য পরিবহনের মতো ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে অনেককে। এতে মোড়গুলোতে জটলা লেগেই থাকে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা এ চালকদের নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত। মামলা দিয়েও লাভ হচ্ছে না বলে জানান তারা।
সকালে নগরীর বাংলামোটর মোড়ে দেখা গেছে, রাশেদ খান মেনন রোড তথা মগবাজার সড়কের এক কোণে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে আছে। কোনও রাইডারই অ্যাপে যেতে রাজি হচ্ছেন না। এতে চালকরা কিছুটা লাভবান হলেও দেখা দিচ্ছে নিরাপত্তার প্রশ্ন।
এদিকে অ্যাপ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যাত্রীকেও পড়তে হবে শাস্তির মুখে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তবে সড়কে পুলিশের সেই হুঁশিয়ারির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না সড়কে।
নগরীর পল্টন মোড়ে যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মোটরসাইকেল চালক আরাফাত হোসেন। জানতে চাইলে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অ্যাপে গাড়ি চালালে আমাদের লস হয়। রাস্তায় অনেক যানজট। তাছাড়া কোনও পুঁজি ছাড়াই ২৫ শতাংশ টাকা রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো নিয়ে যাচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম কমিশনের পরিমাণ কমানো হোক। কিন্তু তারা দাবি মানেনি। বাধ্য হয়েই আমরা চুক্তিতে যাত্রী নিচ্ছি।’
নিয়মিত অ্যাপের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপে এখন সাড়া পাওয়া যায় না। রাস্তায় নামলেই বাইক চালকদের পাওয়া যায়। সে কারণে অ্যাপে ডাকাও হয় না। দরদাম করেই মোটরসাইকেলে চড়ি।’ এ প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘অ্যাপ ছাড়া যাত্রী পরিবহনের অনুমতি নেই। এতে যাত্রীরা নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে। আমাদের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। যাত্রীদেরও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেলে চুক্তিতে যাত্রীবহন

আপডেট সময় : ১১:০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

মহানগর প্রতিবেদন : রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি থাকলেও তা করছেন না বেশিরভাগ চালক। চুক্তিতে যাত্রী নিচ্ছেন তারা। এজন্য নগরীর মোড়ে মোড়ে দেখা যায় মোটরসাইকেলের জটলা। যানজটও লেগে যায় অনেক সময়।
পুলিশ বলছে, অ্যাপ ছাড়া মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএও বলছে, এটি বৈধ নয়। এ নিয়ে অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি দুই পক্ষের সমঝোতায় হচ্ছে বলে অপরাধী চিহ্নিত করা যাচ্ছে না।
নগরীর সড়ক মোড়গুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি মোড়েই বিপুল সংখ্যক চালক মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। রিকশা-সিএনজিসহ অন্যান্য পরিবহনের মতো ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে অনেককে। এতে মোড়গুলোতে জটলা লেগেই থাকে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা এ চালকদের নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত। মামলা দিয়েও লাভ হচ্ছে না বলে জানান তারা।
সকালে নগরীর বাংলামোটর মোড়ে দেখা গেছে, রাশেদ খান মেনন রোড তথা মগবাজার সড়কের এক কোণে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে আছে। কোনও রাইডারই অ্যাপে যেতে রাজি হচ্ছেন না। এতে চালকরা কিছুটা লাভবান হলেও দেখা দিচ্ছে নিরাপত্তার প্রশ্ন।
এদিকে অ্যাপ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। যাত্রীকেও পড়তে হবে শাস্তির মুখে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তবে সড়কে পুলিশের সেই হুঁশিয়ারির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না সড়কে।
নগরীর পল্টন মোড়ে যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে ছিলেন মোটরসাইকেল চালক আরাফাত হোসেন। জানতে চাইলে তিনি একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অ্যাপে গাড়ি চালালে আমাদের লস হয়। রাস্তায় অনেক যানজট। তাছাড়া কোনও পুঁজি ছাড়াই ২৫ শতাংশ টাকা রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো নিয়ে যাচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম কমিশনের পরিমাণ কমানো হোক। কিন্তু তারা দাবি মানেনি। বাধ্য হয়েই আমরা চুক্তিতে যাত্রী নিচ্ছি।’
নিয়মিত অ্যাপের মাধ্যমে যাতায়াত করেন বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অ্যাপে এখন সাড়া পাওয়া যায় না। রাস্তায় নামলেই বাইক চালকদের পাওয়া যায়। সে কারণে অ্যাপে ডাকাও হয় না। দরদাম করেই মোটরসাইকেলে চড়ি।’ এ প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘অ্যাপ ছাড়া যাত্রী পরিবহনের অনুমতি নেই। এতে যাত্রীরা নিরাপত্তা হুমকিতে থাকে। আমাদের নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। যাত্রীদেরও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছি।’