ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

মলনুপিরাভির উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো ফার্মা

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল (এমপিপি) জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির উৎপাদনে এমপিপি’র সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো ফার্মা। ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক অ্যান্ড কোং ইনকরপোরেশন এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বেক্সিমকো জানায়, করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি থেকে যুক্তরাজ্যে শর্তসাপেক্ষ বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেয়েছিল। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল ওষুধটি। সারা বিশ্বে সাশ্রয়ী মূল্যে মলনুপিরাভির পৌঁছে দিতে গত বছর অক্টোবরে এমপিপি এবং এমএসডিন চুক্তি সই করে। সাব-লাইসেন্স চুক্তিটি তারই প্রতিফলন। এই চুক্তির অধীনে এমপিপি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ওষুধটির সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সাব-লাইসেন্স দিতে পারে।
মলনুপিরাভির দেশেই তৈরি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এমপিপি থেকে লাইসেন্সের অধীনে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদনের পর চলতি বছরের শেষ থেকে দেশে বিক্রি এবং রফতানি শুরু করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরইমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে মেধাস্বত্ব মওকুফের অধীনে গত বছরের ৯ নভেম্বর ঘোষণাকৃত মলনুপিরাভির (ইমোরিভির)-এর নিজস্ব জেনেরিক সংস্করণ বিক্রি চালিয়ে যেতে পারবে বেক্সিমকো ফার্মা। বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘মহামারি শুরুর পর থেকে আমরা রোগীদের কোভিড-১৯ চিকিৎসা সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল মলনুপিরাভির উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স দেওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই ধরনের একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার গুণগত মান প্রকাশ পাবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

মলনুপিরাভির উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো ফার্মা

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল (এমপিপি) জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মুখে খাওয়ার ওষুধ মলনুপিরাভির উৎপাদনে এমপিপি’র সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো ফার্মা। ওষুধটি যুক্তরাষ্ট্রের মার্ক অ্যান্ড কোং ইনকরপোরেশন এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বেক্সিমকো জানায়, করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধটি ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি থেকে যুক্তরাজ্যে শর্তসাপেক্ষ বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেয়েছিল। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন থেকে যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছিল ওষুধটি। সারা বিশ্বে সাশ্রয়ী মূল্যে মলনুপিরাভির পৌঁছে দিতে গত বছর অক্টোবরে এমপিপি এবং এমএসডিন চুক্তি সই করে। সাব-লাইসেন্স চুক্তিটি তারই প্রতিফলন। এই চুক্তির অধীনে এমপিপি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ওষুধটির সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সাব-লাইসেন্স দিতে পারে।
মলনুপিরাভির দেশেই তৈরি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এমপিপি থেকে লাইসেন্সের অধীনে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদনের পর চলতি বছরের শেষ থেকে দেশে বিক্রি এবং রফতানি শুরু করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরইমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে মেধাস্বত্ব মওকুফের অধীনে গত বছরের ৯ নভেম্বর ঘোষণাকৃত মলনুপিরাভির (ইমোরিভির)-এর নিজস্ব জেনেরিক সংস্করণ বিক্রি চালিয়ে যেতে পারবে বেক্সিমকো ফার্মা। বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘মহামারি শুরুর পর থেকে আমরা রোগীদের কোভিড-১৯ চিকিৎসা সহজলভ্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের মেডিসিন পেটেন্ট পুল মলনুপিরাভির উৎপাদনের সাব-লাইসেন্স দেওয়ায় আমরা আনন্দিত। এই ধরনের একটি মর্যাদাপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতার গুণগত মান প্রকাশ পাবে।’