ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

চলছে বিধিনিষেধ, জানেন না রাজধানীবাসী

  • আপডেট সময় : ০২:১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

??????

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজধানীসহ সারা দেশে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। কিন্তু রাজধানীবাসীর অনেকেই জানেন না এই বিধিনিষেধের কথা। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছেন। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গতকাল থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, অফিস-আদালতসহ দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। অথচ রাজধানীতে দেখা গেছে বিধিনিষেধ না মানার চরম উদাসীনতা। বিধিনিষেধ মানাতে দেখা যায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিও।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার হোটেলগুলোতে দেখা যায় আগের মত যত্রতত্র প্রবেশ। করোনা টিকার সনদ চেক করে প্রবেশ করানোর কথা বলা হলেও তার কোন বালাই নেই। টিকার সনদ দেখে যারা প্রবেশ করাবে সেই হোটেলের কর্মচারীদেরও অনেকের মুখে নেই মাস্ক! একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারীর সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, এরকম হলে তো আমার নিজেরই চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। আমারই তো টিকার সনদ নেই। কাস্টমাররা যদি উল্টো আমার কাছে সনদ দেখতে চায়, আমি কি দেখাবো! কাওরান বাজারের কাঁচা বাজারে গিয়েও দেখা যায় একইরকম চিত্র। অনেকে জানেই না বিধিনিষেধের কথা। দশজন একসঙ্গে থাকলে মাস্ক দেখা যায় মাত্র ২-৩ জনের মুখে। সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, আমি দু’ডোজ টিকা নিয়েছি, এখন আর করোনা নাই। টিকা দেওয়ার পরেও যদি মাস্ক ব্যবহার করতে হয় তাহলে কিসের টিকা দিলাম! আমি এই জন্য মাস্ক পরি না। কামরুল নামে আরেকজন সবজি বিক্রেতা বলেন, আমি সব সময় মাস্ক না পরলেও সঙ্গে রাখি। আসলে আমি করোনাকে ভয় করি না, আর করোনার জন্য মাস্ক পরিও না। মাস্ক না পরলে মাঝে মাঝে পুলিশ সমস্যা করে বিধায় মাস্ক সঙ্গে রাখি, আর সময় সুযোগ পেলে পরি।
শুধু তাই না, অনেক শিক্ষিত লোকের মুখেও দেখা মেলেনি মাস্ক। বাসগুলোতে রয়েছে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী। বাড্ডা থেকে ছেড়ে যাওয়া দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে দেখা যায় ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি যাত্রী। এই বাসের ড্রাইভার, হেলপার-কন্ট্রাক্টর কারও মুখে মাস্ক নেই। হেলপারকে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্রই তো বিধিনিষেধ শুরু হলো, আরেকটু বাড়ুক তখন আবার নিয়মিত মাস্ক পরবো। মাস্ক পরে কথা বলা যায় না! এছাড়া বাসে এত যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো প্রতিদিনই এমন যাত্রী বহন করি। তাছাড়া শনিবার থেকে নাকি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে, তাই এই কয়দিন একটু বেশি যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করছি। এমনই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীজুড়ে। সবারই বিধিনিষেধ মানায় অনীহা। অথচ প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এদিকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কিছুটা হয়েছে। এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। কাজেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে অমি মনে করি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

চলছে বিধিনিষেধ, জানেন না রাজধানীবাসী

আপডেট সময় : ০২:১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলায় রাজধানীসহ সারা দেশে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। কিন্তু রাজধানীবাসীর অনেকেই জানেন না এই বিধিনিষেধের কথা। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মহাখালী, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হয়েছেন। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। গতকাল থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, অফিস-আদালতসহ দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। অথচ রাজধানীতে দেখা গেছে বিধিনিষেধ না মানার চরম উদাসীনতা। বিধিনিষেধ মানাতে দেখা যায়নি ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিও।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার হোটেলগুলোতে দেখা যায় আগের মত যত্রতত্র প্রবেশ। করোনা টিকার সনদ চেক করে প্রবেশ করানোর কথা বলা হলেও তার কোন বালাই নেই। টিকার সনদ দেখে যারা প্রবেশ করাবে সেই হোটেলের কর্মচারীদেরও অনেকের মুখে নেই মাস্ক! একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারীর সঙ্গে কথা হলে, তিনি জানান, এরকম হলে তো আমার নিজেরই চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। আমারই তো টিকার সনদ নেই। কাস্টমাররা যদি উল্টো আমার কাছে সনদ দেখতে চায়, আমি কি দেখাবো! কাওরান বাজারের কাঁচা বাজারে গিয়েও দেখা যায় একইরকম চিত্র। অনেকে জানেই না বিধিনিষেধের কথা। দশজন একসঙ্গে থাকলে মাস্ক দেখা যায় মাত্র ২-৩ জনের মুখে। সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, আমি দু’ডোজ টিকা নিয়েছি, এখন আর করোনা নাই। টিকা দেওয়ার পরেও যদি মাস্ক ব্যবহার করতে হয় তাহলে কিসের টিকা দিলাম! আমি এই জন্য মাস্ক পরি না। কামরুল নামে আরেকজন সবজি বিক্রেতা বলেন, আমি সব সময় মাস্ক না পরলেও সঙ্গে রাখি। আসলে আমি করোনাকে ভয় করি না, আর করোনার জন্য মাস্ক পরিও না। মাস্ক না পরলে মাঝে মাঝে পুলিশ সমস্যা করে বিধায় মাস্ক সঙ্গে রাখি, আর সময় সুযোগ পেলে পরি।
শুধু তাই না, অনেক শিক্ষিত লোকের মুখেও দেখা মেলেনি মাস্ক। বাসগুলোতে রয়েছে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী। বাড্ডা থেকে ছেড়ে যাওয়া দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে দেখা যায় ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি যাত্রী। এই বাসের ড্রাইভার, হেলপার-কন্ট্রাক্টর কারও মুখে মাস্ক নেই। হেলপারকে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্রই তো বিধিনিষেধ শুরু হলো, আরেকটু বাড়ুক তখন আবার নিয়মিত মাস্ক পরবো। মাস্ক পরে কথা বলা যায় না! এছাড়া বাসে এত যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো প্রতিদিনই এমন যাত্রী বহন করি। তাছাড়া শনিবার থেকে নাকি অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে, তাই এই কয়দিন একটু বেশি যাত্রী নেওয়ার চেষ্টা করছি। এমনই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীজুড়ে। সবারই বিধিনিষেধ মানায় অনীহা। অথচ প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এদিকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কিছুটা হয়েছে। এখন যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ১৫ থেকে ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। কাজেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলে অমি মনে করি।