ঢাকা ০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

আ.লীগের দুর্গে যেন কাউয়া ঢুকতে না পারে: মেয়র তাপস

  • আপডেট সময় : ০১:২৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগকে একটি দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, এই দুর্গে যেন কোনো কাউয়া এসে ফাটল না ধরাতে পারে এ ব্যাপারে আপনাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে ১৯নং ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র তাপস বলেন, ‘এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্গ তুলতে চাই। কিন্তু সেই দুর্গে যেন কোনো কাউয়া এসে ফাটল ধরাতে না পারে। এই দুর্গে যেন কোনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ জায়গা করে নিতে না পারে। আপনাদের সতর্ক হতে হবে এবং যদি এমন কোনো পাঁয়তারা হয় তাহলে আপনাদের সোচ্চার কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করতে হবে।’
শেখ তাপস বলেন, ‘যে যে এলাকায় বসবাস করেন, যে এলাকার ভোটার, সেই এলাকার ইউনিটে তারা নেতৃত্ব দেবেন। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় এসে মাতব্বরি করা যাবে না। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রভিত্তিক এলাকা নির্ধারণ করে ইউনিট সাজানো হয়েছে। শুধু সেটাকে বিবেচনায় রেখে আমাদের এই সম্মেলনের মাধ্যমে পরিস্থিতি অনুযায়ী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের বিরোধী শক্তি তারা কথায় কথায় আমাদের জ্ঞান দেয়। আমি তাদেরকে বলি, একটু নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নিন ভালো করে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই একজন দ-প্রাপ্ত কারাদ-প্রাপ্ত আসামি কারাগারের বাইরে বাংলাদেশের মানসম্পন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। ওরা আমাদের শিক্ষা দেয়, বলে এটা নাকি আমাদের মানবতা না। তাহলে আমি প্রশ্ন করি, আজকে সারাদেশের অন্য কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি কি কারাগারের বাইরে গিয়ে এই সুচিকিৎসা নিতে পারবে। তাহলে এক দেশে দুই আইন উনার (খালেদা জিয়া) জন্য, উনি মুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসা নেবেন আর অন্য কারো দ-প্রাপ্ত আসামির কারাদ-ে থাকবে, তাহলে কি দুই আইন হলো না?’
তাপস বলেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী, তিনি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী নেত্রীকে এই চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন। এটা যদি মানবতা না হয় আপনাদের কাছে কোনোটাই মানবতা হবে না। আপনাদের মানবতা হলো একুশে আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী আইভি রহমানকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দেননি। অত্যাচার, নির্যাতন করেছেন। সেই অত্যাচারের গ্রেনেড হামলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়েছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী। এই হলো আপনাদের মানবতা। আপনাদের মানবতা হলো ২০০১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আটটা মিথ্যা মামলা করেছিলেন। এমনকি লগি-বৈঠা আন্দোলনের কারণে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলারও অভিযোগ করেছিলেন। এই হলো আপনাদের মানবতা। সুতরাং আপনাদের মানবতার গণতন্ত্রের শিক্ষা আমাদের দেওয়া দরকার নেই।’
ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টা হতাশ-ক্ষুব্ধ, ‘পদত্যাগ’ নিয়ে আলোচনা

আ.লীগের দুর্গে যেন কাউয়া ঢুকতে না পারে: মেয়র তাপস

আপডেট সময় : ০১:২৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগকে একটি দুর্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, এই দুর্গে যেন কোনো কাউয়া এসে ফাটল না ধরাতে পারে এ ব্যাপারে আপনাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে ১৯নং ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র তাপস বলেন, ‘এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্গ তুলতে চাই। কিন্তু সেই দুর্গে যেন কোনো কাউয়া এসে ফাটল ধরাতে না পারে। এই দুর্গে যেন কোনো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ জায়গা করে নিতে না পারে। আপনাদের সতর্ক হতে হবে এবং যদি এমন কোনো পাঁয়তারা হয় তাহলে আপনাদের সোচ্চার কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করতে হবে।’
শেখ তাপস বলেন, ‘যে যে এলাকায় বসবাস করেন, যে এলাকার ভোটার, সেই এলাকার ইউনিটে তারা নেতৃত্ব দেবেন। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় এসে মাতব্বরি করা যাবে না। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রভিত্তিক এলাকা নির্ধারণ করে ইউনিট সাজানো হয়েছে। শুধু সেটাকে বিবেচনায় রেখে আমাদের এই সম্মেলনের মাধ্যমে পরিস্থিতি অনুযায়ী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
বিএনপির সমালোচনা করে মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের বিরোধী শক্তি তারা কথায় কথায় আমাদের জ্ঞান দেয়। আমি তাদেরকে বলি, একটু নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নিন ভালো করে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই একজন দ-প্রাপ্ত কারাদ-প্রাপ্ত আসামি কারাগারের বাইরে বাংলাদেশের মানসম্পন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন। ওরা আমাদের শিক্ষা দেয়, বলে এটা নাকি আমাদের মানবতা না। তাহলে আমি প্রশ্ন করি, আজকে সারাদেশের অন্য কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি কি কারাগারের বাইরে গিয়ে এই সুচিকিৎসা নিতে পারবে। তাহলে এক দেশে দুই আইন উনার (খালেদা জিয়া) জন্য, উনি মুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসা নেবেন আর অন্য কারো দ-প্রাপ্ত আসামির কারাদ-ে থাকবে, তাহলে কি দুই আইন হলো না?’
তাপস বলেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী, তিনি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী নেত্রীকে এই চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছেন। এটা যদি মানবতা না হয় আপনাদের কাছে কোনোটাই মানবতা হবে না। আপনাদের মানবতা হলো একুশে আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী আইভি রহমানকেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দেননি। অত্যাচার, নির্যাতন করেছেন। সেই অত্যাচারের গ্রেনেড হামলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়েছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী। এই হলো আপনাদের মানবতা। আপনাদের মানবতা হলো ২০০১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আটটা মিথ্যা মামলা করেছিলেন। এমনকি লগি-বৈঠা আন্দোলনের কারণে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলারও অভিযোগ করেছিলেন। এই হলো আপনাদের মানবতা। সুতরাং আপনাদের মানবতার গণতন্ত্রের শিক্ষা আমাদের দেওয়া দরকার নেই।’
ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।