ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

৩ সন্তান নিতে পারবেন চীনা দম্পতিরা

  • আপডেট সময় : ১২:০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীন এক ঘোষণায় আগের নীতি থেকে সরে এসে প্রত্যেক দম্পতিকে তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির কঠোর দুই সন্তান নীতির অবসান ঘটল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটিতে এক দশকের মধ্যে একবার হওয়া আদশুমারির সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে জন্মহার অনেক কমে গেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় দম্পতিদের আরও বেশি সন্তান নেওয়ার অনুমতির পথে এগোল চীন। চলতি মাসের প্রথমদিকে চীনের আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, গত বছর দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে আর ২০১৬ সালে জন্ম হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ শিশুর। ১৯৬০ এর দশকের পর থেকে চীনে শিশু জন্মের এবারের হার সবচেয়ে কম। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল চীন তাদের পরিবার পরিকল্পনা নীতি আরও শিথিল করতে পারে। ২০১৬ সালে দেশটির সরকার তাদের এক সন্তান নীতি থেকে সরে দম্পতিদের দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তারপর পরপর দুই বছর জন্মহার বাড়লেও পরে ফের কমতে শুরু করায় জন্মহার হ্রাস করা ঠেকাতে সরকারের নেওয়ার পদক্ষেপের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করা হয়েছিল। তারপর থেকে এই নীতি লঙ্ঘন করা পরিবারগুলোকে জরিমানা, চাকরি হারানো এবং কখনো কখনো জোরপূর্বক গর্ভপাতের শিকারও হতে হয়েছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৩ সন্তান নিতে পারবেন চীনা দম্পতিরা

আপডেট সময় : ১২:০৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : চীন এক ঘোষণায় আগের নীতি থেকে সরে এসে প্রত্যেক দম্পতিকে তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটির কঠোর দুই সন্তান নীতির অবসান ঘটল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই পরিবর্তন অনুমোদন করেছেন বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দেশটিতে এক দশকের মধ্যে একবার হওয়া আদশুমারির সম্প্রতি প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে জন্মহার অনেক কমে গেছে। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে জনসংখ্যা হ্রাস পেতে পারে, এমন আশঙ্কায় দম্পতিদের আরও বেশি সন্তান নেওয়ার অনুমতির পথে এগোল চীন। চলতি মাসের প্রথমদিকে চীনের আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, গত বছর দেশটিতে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছে আর ২০১৬ সালে জন্ম হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ শিশুর। ১৯৬০ এর দশকের পর থেকে চীনে শিশু জন্মের এবারের হার সবচেয়ে কম। এ থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল চীন তাদের পরিবার পরিকল্পনা নীতি আরও শিথিল করতে পারে। ২০১৬ সালে দেশটির সরকার তাদের এক সন্তান নীতি থেকে সরে দম্পতিদের দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তারপর পরপর দুই বছর জন্মহার বাড়লেও পরে ফের কমতে শুরু করায় জন্মহার হ্রাস করা ঠেকাতে সরকারের নেওয়ার পদক্ষেপের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়। ১৯৭৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে চীনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করা হয়েছিল। তারপর থেকে এই নীতি লঙ্ঘন করা পরিবারগুলোকে জরিমানা, চাকরি হারানো এবং কখনো কখনো জোরপূর্বক গর্ভপাতের শিকারও হতে হয়েছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।