ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংলাপ না সংঘাত, একটি বেছে নিন: পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান তুলে ধরল যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, সংলাপ বা সংঘাত—এই দুইয়ের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। ইউক্রেন নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এ সময়ে কথাগুলো বলল যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সেনা কমর্র্কতারা গত রোববার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নৈশভোজে বসেছিলেন। গতকাল সোমবারের আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে এ নৈশভোজ ছিল। মস্কোর দাবিনামা নিয়েই হবে এ আলোচনা। গত মাসে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ খসড়া চুক্তি হয়। এর অনেকগুলোই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। কারণ, এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না।
এ আলোচনায় রাশিয়ার দলটির প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। জেনেভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ নৈশভোজ হয়। রিয়াবকভ বলেন, ‘আলোচনা জটিল ছিল। কিন্তু এটা কাযর্কর হয়েছে। আগামীতে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হবে, আমরা তার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। আমি মনে করি, আমরা সময় নষ্ট করব না। আমি কখনো আশা ছাড়ি না। আমি সব সময় আশা নিয়েই থাকি।’
আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েনডি শেরম্যান সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখ-তা এবং সার্বভৌম দেশগুলোর জোটসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর জোর দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। দ্রুত নোটিশে আরও লাখখানেক সৈন্য জড়ো করার প্রস্তুতি নিয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, চলতি সপ্তাহের কূটনীতিক আলোচনা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। ব্লিঙ্কেনের কথা, ‘আমাদের সামনে দুটো পথ আছে। একটি পথ হলো আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে বিদ্যমান ভিন্নতা সমাধানের চেষ্টা এবং সংঘাত এড়ানো। আরেকটি পথ হচ্ছে সংঘাত। যদি রাশিয়া ইউক্রেনে আবার আগ্রাসন চালাতে চায়, তবে এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’
কোনো সার্বভৌম দেশের ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়ার বিষয় কোনো দেনদরবারের বিষয় হতে পারে না বলে মনে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এর চেয়ে বরং অন্য নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে। যেমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সীমা কিংবা সামরিক মহড়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চায় তারা।
এবিসির সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দিস উইক’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা এ সপ্তাহে দেখব প্রেসিডেন্ট পুতিন কোন পথ নিতে চান। এখন সত্যি এ প্রশ্নই আসছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন কূটনীতি বা আলোচনার পথ নেবেন না সংঘাত চাইবেন।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংলাপ না সংঘাত, একটি বেছে নিন: পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান তুলে ধরল যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, সংলাপ বা সংঘাত—এই দুইয়ের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। ইউক্রেন নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এ সময়ে কথাগুলো বলল যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এবং সেনা কমর্র্কতারা গত রোববার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় নৈশভোজে বসেছিলেন। গতকাল সোমবারের আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে এ নৈশভোজ ছিল। মস্কোর দাবিনামা নিয়েই হবে এ আলোচনা। গত মাসে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ খসড়া চুক্তি হয়। এর অনেকগুলোই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। কারণ, এর মধ্যে একটি হলো ইউক্রেনকে কখনোই ন্যাটোর সদস্য করা যাবে না।
এ আলোচনায় রাশিয়ার দলটির প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ নৈশভোজকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। জেনেভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ নৈশভোজ হয়। রিয়াবকভ বলেন, ‘আলোচনা জটিল ছিল। কিন্তু এটা কাযর্কর হয়েছে। আগামীতে যেসব বিষয় নিয়ে কথা হবে, আমরা তার দিকে দৃষ্টিপাত করেছি। আমি মনে করি, আমরা সময় নষ্ট করব না। আমি কখনো আশা ছাড়ি না। আমি সব সময় আশা নিয়েই থাকি।’
আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েনডি শেরম্যান সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখ-তা এবং সার্বভৌম দেশগুলোর জোটসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর জোর দেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটিয়েছে। দ্রুত নোটিশে আরও লাখখানেক সৈন্য জড়ো করার প্রস্তুতি নিয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, চলতি সপ্তাহের কূটনীতিক আলোচনা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। ব্লিঙ্কেনের কথা, ‘আমাদের সামনে দুটো পথ আছে। একটি পথ হলো আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে বিদ্যমান ভিন্নতা সমাধানের চেষ্টা এবং সংঘাত এড়ানো। আরেকটি পথ হচ্ছে সংঘাত। যদি রাশিয়া ইউক্রেনে আবার আগ্রাসন চালাতে চায়, তবে এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।’
কোনো সার্বভৌম দেশের ন্যাটোর সদস্য হতে চাওয়ার বিষয় কোনো দেনদরবারের বিষয় হতে পারে না বলে মনে করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এর চেয়ে বরং অন্য নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে। যেমন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সীমা কিংবা সামরিক মহড়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চায় তারা।
এবিসির সংবাদবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দিস উইক’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা এ সপ্তাহে দেখব প্রেসিডেন্ট পুতিন কোন পথ নিতে চান। এখন সত্যি এ প্রশ্নই আসছে যে প্রেসিডেন্ট পুতিন কূটনীতি বা আলোচনার পথ নেবেন না সংঘাত চাইবেন।’