ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

কুষ্টিয়া সদরে জামানত হারালেন ৩ আ. লীগ প্রার্থী

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ১১টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০টিতেই হেরেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এরমধ্যে জামানত হারিয়েছেন নৌকার ৩ প্রার্থী। বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের মোট ভোটার ২২ হাজার ৪৬৭। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ১৭৭ ভোট। বটতৈল ইউনিয়নের মোট ভোটার ২৬ হাজার ৪৭০। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী এম এ মোমিন ম-ল পেয়েছেন ১১৪ ভোট। একই চিত্র ছিল হাটশহরিপুর ইউনিয়নেও। সেখানে ২৩ হাজার ১৭ ভোটের মধ্যে নৌকার প্রার্থী সম্পা মাহমুদ পেয়েছেন মাত্র ২৩২টি ভোট। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, জামানত রক্ষা করতে হলে মোট ভোটের অন্তত ৮ ভাগ ভোট পেতে হবে প্রার্থীকে। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশন বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী লাল্টু রহমান ৯ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ১২৯ ভোট। উজানগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৬ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৬৬ ভোট। মনোহরদিয়ায় জহিরুল ইসলাম ৩ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট। হরিনারায়ণপুরে বিজয়ী মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৭ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩২ ভোট। আইলচারায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সিদ্দিকুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতালেব হোসেন পান ৬ হাজার ৫১৭ ভোট। হাটশ হরিপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মুশতাক হোসেন ৮ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রশিদ পান ৮ হাজার ২৯৬ ভোট। ঝাউদিয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মেহেদি হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম পান ৪ হাজার ৬২৪ ভোট। আলামপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান বিশ্বাস ৯ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদ হোসেন পান ৫ হাজার ৭৭৪ ভোট। বটতৈলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির ৮ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মজিদ পান ৬ হাজার ৩২ ভোট। আবদালপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী হায়দার ৫ হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী গোলাম মোস্তফা পান ৪ হাজার ৯২০ ভোট। পাটিকাবাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ রেজভি উজ্জামান ৪ হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সাইদুর রহমান পান ৩ হাজার ৭২৩ ভোট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কুষ্টিয়া সদরে জামানত হারালেন ৩ আ. লীগ প্রার্থী

আপডেট সময় : ০১:১৪:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : দশম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ১১টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে ১০টিতেই হেরেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এরমধ্যে জামানত হারিয়েছেন নৌকার ৩ প্রার্থী। বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের মোট ভোটার ২২ হাজার ৪৬৭। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী মো. আব্দুল হান্নান পেয়েছেন ১৭৭ ভোট। বটতৈল ইউনিয়নের মোট ভোটার ২৬ হাজার ৪৭০। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী এম এ মোমিন ম-ল পেয়েছেন ১১৪ ভোট। একই চিত্র ছিল হাটশহরিপুর ইউনিয়নেও। সেখানে ২৩ হাজার ১৭ ভোটের মধ্যে নৌকার প্রার্থী সম্পা মাহমুদ পেয়েছেন মাত্র ২৩২টি ভোট। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী, জামানত রক্ষা করতে হলে মোট ভোটের অন্তত ৮ ভাগ ভোট পেতে হবে প্রার্থীকে। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচন কমিশন বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী লাল্টু রহমান ৯ হাজার ৪০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর উল্লাহ পেয়েছেন ২ হাজার ১২৯ ভোট। উজানগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৬ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন বিশ্বাসের প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৬৬ ভোট। মনোহরদিয়ায় জহিরুল ইসলাম ৩ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৫ ভোট। হরিনারায়ণপুরে বিজয়ী মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৭ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৩২ ভোট। আইলচারায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সিদ্দিকুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতালেব হোসেন পান ৬ হাজার ৫১৭ ভোট। হাটশ হরিপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম মুশতাক হোসেন ৮ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রশিদ পান ৮ হাজার ২৯৬ ভোট। ঝাউদিয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মেহেদি হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম পান ৪ হাজার ৬২৪ ভোট। আলামপুরে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান বিশ্বাস ৯ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদ হোসেন পান ৫ হাজার ৭৭৪ ভোট। বটতৈলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টু ফকির ৮ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মজিদ পান ৬ হাজার ৩২ ভোট। আবদালপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলী হায়দার ৫ হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী গোলাম মোস্তফা পান ৪ হাজার ৯২০ ভোট। পাটিকাবাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ রেজভি উজ্জামান ৪ হাজার ৯৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ সাইদুর রহমান পান ৩ হাজার ৭২৩ ভোট।