ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশটাই সেরা

  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

গাজী আরিফ মান্নান : আমি দেখেছি ঢেউ খেলিতে সাগর নোনাজলে,
আমি দেখেছি শিশির বিন্দু ফুল-পাতায় আর ডালে।

আমি দেখেছি গুল্ম-লতা গাছ-গাছালির ফাঁকে,
আমি দেখেছি মাছ ধরিতে ভরানদীর বাঁকে।

আমি দেখেছি মায়ের কোলে শিশুর মুখের হাঁসি,
আমি দেখেছি মাঠে বাজায় রাখালিয়া বাঁশি।
আমি দেখেছি নতুন বধু পালকিতে যায় চড়ে,
আমি দেখেছি ঘর ভাঁঙ্গিতে কালবৈশাখী ঝড়ে।

আমি দেখেছি পাখ-পাখালি আকাশেতে উড়ে,
আমি দেখেছি সোনালী ফসল বাংলার জমিন জুড়ে।

আমি দেখেছি সন্ধ্যাতারা নিভে আর জ্বলে,
আমি দেখেছি শাপলা ফোঁটে ডোবা-নালার জলে।

আমি দেখেছি গাঁয়ের বধুর দীঘলকালো চুল,
আমি দেখেছি কিশোরীরা খোঁপায় দিতে ফুল।

আমি দেখেছি বাগানেতে ভরে গেছে ফলে,
আমি দেখেছি মৌমাছি সব ছুটছে দলে দলে।

আমি দেখেছি করতে সদাই নারী-পুরুষ হাঁটে,
আমি দেখেছি স্নান করিতে পুকুর-নদীর ঘাঁটে।

আমি দেখেছি উল্লাস করে শিশুরা নানান খেলায়,
আমি দেখেছি রান্না করে মায়েরা মাটির চুলায়।

আমি দেখেছি সুরে সুরে জারী-সারি গান গায়,
আমি দেখেছি নৌকার মাঝি বৈঠাখানি যে বায়।

আমি দেখেছি কোকিল পাখি কুহু কুহু ডাকে,
আমি দেখেছি রং তুলিতে ইচ্ছেমত আঁকে।

আমি দেখেছি পদ্মা নদীর চাঁদ রূঁপালি ইলিশ,
আমি দেখেছি পা ভাঁঙ্গিলে করিতে মালিশ।

আমি দেখেছি ছোটবেলায় বোঝাই গরুর গাড়ী,
আমি দেখেছি খেঁজুর গাছে মিষ্টি রসের হাঁড়ি।

আমি দেখেছি ভালোবাসায় স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা,
আমি দেখেছি রূপে-গুনে বাংলাদেশটাই সেরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশটাই সেরা

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২

গাজী আরিফ মান্নান : আমি দেখেছি ঢেউ খেলিতে সাগর নোনাজলে,
আমি দেখেছি শিশির বিন্দু ফুল-পাতায় আর ডালে।

আমি দেখেছি গুল্ম-লতা গাছ-গাছালির ফাঁকে,
আমি দেখেছি মাছ ধরিতে ভরানদীর বাঁকে।

আমি দেখেছি মায়ের কোলে শিশুর মুখের হাঁসি,
আমি দেখেছি মাঠে বাজায় রাখালিয়া বাঁশি।
আমি দেখেছি নতুন বধু পালকিতে যায় চড়ে,
আমি দেখেছি ঘর ভাঁঙ্গিতে কালবৈশাখী ঝড়ে।

আমি দেখেছি পাখ-পাখালি আকাশেতে উড়ে,
আমি দেখেছি সোনালী ফসল বাংলার জমিন জুড়ে।

আমি দেখেছি সন্ধ্যাতারা নিভে আর জ্বলে,
আমি দেখেছি শাপলা ফোঁটে ডোবা-নালার জলে।

আমি দেখেছি গাঁয়ের বধুর দীঘলকালো চুল,
আমি দেখেছি কিশোরীরা খোঁপায় দিতে ফুল।

আমি দেখেছি বাগানেতে ভরে গেছে ফলে,
আমি দেখেছি মৌমাছি সব ছুটছে দলে দলে।

আমি দেখেছি করতে সদাই নারী-পুরুষ হাঁটে,
আমি দেখেছি স্নান করিতে পুকুর-নদীর ঘাঁটে।

আমি দেখেছি উল্লাস করে শিশুরা নানান খেলায়,
আমি দেখেছি রান্না করে মায়েরা মাটির চুলায়।

আমি দেখেছি সুরে সুরে জারী-সারি গান গায়,
আমি দেখেছি নৌকার মাঝি বৈঠাখানি যে বায়।

আমি দেখেছি কোকিল পাখি কুহু কুহু ডাকে,
আমি দেখেছি রং তুলিতে ইচ্ছেমত আঁকে।

আমি দেখেছি পদ্মা নদীর চাঁদ রূঁপালি ইলিশ,
আমি দেখেছি পা ভাঁঙ্গিলে করিতে মালিশ।

আমি দেখেছি ছোটবেলায় বোঝাই গরুর গাড়ী,
আমি দেখেছি খেঁজুর গাছে মিষ্টি রসের হাঁড়ি।

আমি দেখেছি ভালোবাসায় স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা,
আমি দেখেছি রূপে-গুনে বাংলাদেশটাই সেরা।