ফেনী প্রতিনিধি : পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার মধ্যরাতে শেষ হলো প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ১২ ইউপিতে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ২৪৪ জন। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১১৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ফেনী সদর উপজেলায় ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান পদে বিনাভোটে সাতজন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই বাকি পাঁচ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন মাঠে লড়ছেন। এছাড়া ১২ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৪৫৬ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০২ জন নির্বাচনে লড়ছেন।
নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শর্শদী ইউপিতে জানে আলম ভূঞা, ধর্মপুর ইউপিতে শাহাদাত হোসেন সাকা, কালীদহ ইউপিতে দেলোয়ার হোসেন ডালিম, কাজীরবাগ ইউপিতে কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ, ফাজিলপুর ইউপিতে মজিবুল হক রিপন, মোটবী ইউপিতে হারুন অর রশীদ, বালিগাঁও ইউপিতে মোজাম্মেল হক বাহার।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন জানান, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, সাধারণ সদস্য পদে চারজন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে পাঁচজনকে বিনাপ্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, চেয়ারম্যান পদে সদরের ধলিয়া ইউনিয়ন, পাঁচগাছিয়া ইউপি, লেমুয়া, ফরহাদ নগর ও ছনুয়া ইউনিয়নে। ৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনের দিন মাঠে থাকবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্বে পালন করবেন।
ফেনী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে এক চুল ছাড় দেওয়া হবে না। যিনি ভোটার নিয়ে আসতে পারবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। কোনো ধরনের কম্পোমাইজ হবে না। কোনো প্রভাবশালী মহলকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ভোটে কোনো ধরনের সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না। যেসব চেয়ারম্যান আগে থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেসব চেয়ারম্যানরা ভোট দিয়ে ঘরে ঢুকে যাবেন। মেম্বার প্রার্থীরা ভোট দিয়েই কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যাবেন।’