ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

১৮৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: রূপালীর ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনসহ ছয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ব্যাংকটির শিল্পঋণ বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাস।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি বন্ধক দেখিয়ে তারা প্রায় ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, শিগগির দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করবেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা মামলাটি দায়ের করেছিলেন। চার্জশিটে অন্য আসামিরা হলেন—রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখাপ্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকী দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রাখেন। যার বিপরীতে ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগ থেকে দুই দফায় মঞ্জুরি করা মোট ৯৬ কোটি টাকার মধ্যে ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা ছাড় করা হয়। এই ঋণে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

১৮৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: রূপালীর ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেট সময় : ০১:৩১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম ফরিদ উদ্দিনসহ ছয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তিন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ব্যাংকটির শিল্পঋণ বিভাগের এজিএম মনোরঞ্জন দাস।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি বন্ধক দেখিয়ে তারা প্রায় ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় কমিশন।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, শিগগির দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করবেন। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা মামলাটি দায়ের করেছিলেন। চার্জশিটে অন্য আসামিরা হলেন—রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখাপ্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহিন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকী দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রাখেন। যার বিপরীতে ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগ থেকে দুই দফায় মঞ্জুরি করা মোট ৯৬ কোটি টাকার মধ্যে ৯৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা ছাড় করা হয়। এই ঋণে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ১৮৪ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।