ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

মানুষের মুখের নতুন পেশী আবিষ্কার

  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানব শরীরের বাহ্যিক অঙ্গগুলো আমাদের সকলের যেমন জানা, তেমনি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো সম্পর্কে জানা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু মানবদেহের রহস্যের যেন শেষ নেই। বহু বছর ধরেই সিটি স্ক্যান, এমআরআই কিংবা আলট্রাসোনোগ্রাফির মতো উচ্চ প্রযুক্তির বদৌলতে মানবদেহের কোথায় কী রয়েছে তা খুব সহজেই চাক্ষুষ করা যায়। কিন্তু এতকিছুর পরও অজানার সীমানা কী সম্পূর্ণভাবে পেরিয়ে যাওয়া যায়? বোধহয় না। অন্তত সাম্প্রতিক আবিষ্কারের কথা শুনলে তেমনটাই মনে হওয়ার কথা। এবার মানবদেহের নতুন একটি পেশীর খোঁজ দিলেন গবেষকরা। সুইজারল্যান্ডের বাসেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মানুষের মুখম-লে লুকিয়ে থাকা ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কোরোনিডিয়া’ নামক নতুন পেশী কলা (মাসল) আবিষ্কার করেছেন। মানবদেহের নতুন অংশ আবিষ্কার করতে পেরে উচ্ছ্বসিত গবেষকরা। গবেষণাপত্রটি অ্যানালস অব অ্যানাটমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
খাবার চিবানোর জন্য যে ম্যাসেটার মাসল ব্যবহৃত হয়, সেই মাসলের তৃতীয় স্তর হলো ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কেরোনিডিয়া’। এটি একটি ডিপ লেয়ার মাসল। দুটি পেশির স্তরের নিচে এর অবস্থান। আর সেই কারণেই এর অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসতে এত দেরি হলো।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আধুনিক শারীরবিদ্যা বইয়ে ম্যাসেটারের মাত্র দুটি স্তর উল্লেখ রয়েছে। তবে কিছু ঐতিহাসিক বইয়ে তৃতীয় স্তরের সম্ভাব্য অস্তিত্বে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সঠিক অবস্থানের সঙ্গে খুবই অসঙ্গতিপূর্ণ।’
গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা ফরমালডিহাইডে সংরক্ষিত ১২টি মৃতদেহের মাথা ব্যবচ্ছেদ করেন এবং ১৬টি তাজা মৃতদেহের সিটি স্ক্যান করেন এবং জীবিত মানুষের এমআরআই স্ক্যানও পর্যালোচনা করেন। এর মাধ্যমেই ম্যাসেটার মাসলের তৃতীয় স্তর চিহ্নিত করতে পেরেছেন। গবেষণাপত্রে প্রধান গবেষক জেনস ক্রিস্টোফ টার্প বলেছেন, ‘ম্যাসেটার পেশীর এই গভীর অংশটি তার কোর্স এবং কার্যকারিতার দিক থেকে অন্য দুটি স্তর থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যায়। সাধারণত মনে করা হয় যে, গত ১০০ বছরে শারীরবৃত্তীয় গবেষণায় কোনো কসরত অবশিষ্ট নেই, কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান অনেকটা প্রাণিবিদদের মেরুদ-ের একটি নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের মতো।’ ম্যাসেটার পেশীর কোরোনয়েডের আড়ালে লুকিয়ে থাকার কারণেই নতুন এই পেশীর নামকরণ করা হয়েছে ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কোরোনিডিয়া’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মানুষের মুখের নতুন পেশী আবিষ্কার

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : মানব শরীরের বাহ্যিক অঙ্গগুলো আমাদের সকলের যেমন জানা, তেমনি অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো সম্পর্কে জানা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু মানবদেহের রহস্যের যেন শেষ নেই। বহু বছর ধরেই সিটি স্ক্যান, এমআরআই কিংবা আলট্রাসোনোগ্রাফির মতো উচ্চ প্রযুক্তির বদৌলতে মানবদেহের কোথায় কী রয়েছে তা খুব সহজেই চাক্ষুষ করা যায়। কিন্তু এতকিছুর পরও অজানার সীমানা কী সম্পূর্ণভাবে পেরিয়ে যাওয়া যায়? বোধহয় না। অন্তত সাম্প্রতিক আবিষ্কারের কথা শুনলে তেমনটাই মনে হওয়ার কথা। এবার মানবদেহের নতুন একটি পেশীর খোঁজ দিলেন গবেষকরা। সুইজারল্যান্ডের বাসেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মানুষের মুখম-লে লুকিয়ে থাকা ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কোরোনিডিয়া’ নামক নতুন পেশী কলা (মাসল) আবিষ্কার করেছেন। মানবদেহের নতুন অংশ আবিষ্কার করতে পেরে উচ্ছ্বসিত গবেষকরা। গবেষণাপত্রটি অ্যানালস অব অ্যানাটমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
খাবার চিবানোর জন্য যে ম্যাসেটার মাসল ব্যবহৃত হয়, সেই মাসলের তৃতীয় স্তর হলো ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কেরোনিডিয়া’। এটি একটি ডিপ লেয়ার মাসল। দুটি পেশির স্তরের নিচে এর অবস্থান। আর সেই কারণেই এর অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসতে এত দেরি হলো।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘আধুনিক শারীরবিদ্যা বইয়ে ম্যাসেটারের মাত্র দুটি স্তর উল্লেখ রয়েছে। তবে কিছু ঐতিহাসিক বইয়ে তৃতীয় স্তরের সম্ভাব্য অস্তিত্বে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু সেগুলো সঠিক অবস্থানের সঙ্গে খুবই অসঙ্গতিপূর্ণ।’
গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা ফরমালডিহাইডে সংরক্ষিত ১২টি মৃতদেহের মাথা ব্যবচ্ছেদ করেন এবং ১৬টি তাজা মৃতদেহের সিটি স্ক্যান করেন এবং জীবিত মানুষের এমআরআই স্ক্যানও পর্যালোচনা করেন। এর মাধ্যমেই ম্যাসেটার মাসলের তৃতীয় স্তর চিহ্নিত করতে পেরেছেন। গবেষণাপত্রে প্রধান গবেষক জেনস ক্রিস্টোফ টার্প বলেছেন, ‘ম্যাসেটার পেশীর এই গভীর অংশটি তার কোর্স এবং কার্যকারিতার দিক থেকে অন্য দুটি স্তর থেকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যায়। সাধারণত মনে করা হয় যে, গত ১০০ বছরে শারীরবৃত্তীয় গবেষণায় কোনো কসরত অবশিষ্ট নেই, কিন্তু আমাদের অনুসন্ধান অনেকটা প্রাণিবিদদের মেরুদ-ের একটি নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের মতো।’ ম্যাসেটার পেশীর কোরোনয়েডের আড়ালে লুকিয়ে থাকার কারণেই নতুন এই পেশীর নামকরণ করা হয়েছে ‘মাসকুলাস ম্যাসেটার পারস কোরোনিডিয়া’।