ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

হালদা থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার

  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে হালদা নদী থেকে মৃত অবস্থায় একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ পচে যাওয়ায় এর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া এলাকা থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা মৃত ডলফিনটি ভাসতে দেখে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের খবর দেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ডলফিনটি একেবারে পচে গেছে। কয়েকদিন আগেই এর মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। নৌপুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা নদী থেকে সেটি উদ্ধার করেন। পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধে আমরা কাছে যেতে পারিনি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারিনি। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৫ কেজি।‘ ডলফিনটির মৃতদেহ হাটহাজারীর রামদাস মুন্সির হাট এলাকায় হালদার পাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে মনজুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন। গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিরে বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়। গত চারবছরে হালদা নদী থেকে ৩৩টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০২১ সালে এ পর্যন্ত পাঁচটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুইটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হালদা থেকে মৃত ডলফিন উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে হালদা নদী থেকে মৃত অবস্থায় একটি ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ পচে যাওয়ায় এর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আকবরিয়া এলাকা থেকে ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা মৃত ডলফিনটি ভাসতে দেখে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের খবর দেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘ডলফিনটি একেবারে পচে গেছে। কয়েকদিন আগেই এর মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। নৌপুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা নদী থেকে সেটি উদ্ধার করেন। পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধে আমরা কাছে যেতে পারিনি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারিনি। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৫ কেজি।‘ ডলফিনটির মৃতদেহ হাটহাজারীর রামদাস মুন্সির হাট এলাকায় হালদার পাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে মনজুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন। গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিরে বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়। গত চারবছরে হালদা নদী থেকে ৩৩টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০২১ সালে এ পর্যন্ত পাঁচটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুইটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।