ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সু চির বিরুদ্ধে দুই মামলার রায় পেছাল

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জান্তা-শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার রায় ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা। দুটির মধ্যে একটি লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা। দুই মামলার রায় আজ দেওয়ার কথা ছিল আদালতের। সু চির বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার মামলা। সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যতগুলো অভিযোগ এনেছে, তার সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সম্মিলিতভাবে ১০০ বছরের বেশি কারাদ- হতে পারে। সু চি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির (৭৬) সমর্থকেরা বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় থাকার পথ কণ্টকমুক্ত করতেই সু চির বিরুদ্ধে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে উসকানি ও করোনোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষিত হয়। এই রায়ে সু চি দোষী সাব্যস্ত হন। তিনি একটি অজ্ঞাত স্থানে দুই বছরের সাজা ভোগ করছেন। মিয়ানমারের স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়কের মেয়ে সু চি। তিনি দেশ-বিদেশে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সু চি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেন। জান্তা শাসনের বিরোধিতা করার জন্য তাঁকে বছরের পর বছর গৃহবন্দী থাকতে হয়।
২০১০ সালে সু চি মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পায়। তাঁর দল সরকার গঠন করে। গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সু চির দল আবার বড় জয় পায়। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা সু চির বেসামরিক সরকার উৎখাত করে। দেশটিতে জারি করে জরুরি অবস্থা। একই সঙ্গে সামরিক জান্তা সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী জনতা। এই বিক্ষোভে জান্তার হাতে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

সালমানের জন্মদিনে উপস্থিত ঐশ্বর্য ও ক্যাটরিনা, গিটার বাজিয়ে গান শোনালেন অরিজিৎ!

সু চির বিরুদ্ধে দুই মামলার রায় পেছাল

আপডেট সময় : ০১:২৮:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : জান্তা-শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুটি মামলার রায় ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা। দুটির মধ্যে একটি লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা। দুই মামলার রায় আজ দেওয়ার কথা ছিল আদালতের। সু চির বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করেছে দেশটির জান্তা সরকার। তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো লাইসেন্সবিহীন ওয়াকিটকি রাখার মামলা। সু চির বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জান্তা সরকার যতগুলো অভিযোগ এনেছে, তার সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সম্মিলিতভাবে ১০০ বছরের বেশি কারাদ- হতে পারে। সু চি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির (৭৬) সমর্থকেরা বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর ক্ষমতায় থাকার পথ কণ্টকমুক্ত করতেই সু চির বিরুদ্ধে মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে উসকানি ও করোনোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষিত হয়। এই রায়ে সু চি দোষী সাব্যস্ত হন। তিনি একটি অজ্ঞাত স্থানে দুই বছরের সাজা ভোগ করছেন। মিয়ানমারের স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়কের মেয়ে সু চি। তিনি দেশ-বিদেশে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সু চি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেন। জান্তা শাসনের বিরোধিতা করার জন্য তাঁকে বছরের পর বছর গৃহবন্দী থাকতে হয়।
২০১০ সালে সু চি মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পায়। তাঁর দল সরকার গঠন করে। গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সু চির দল আবার বড় জয় পায়। কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা সু চির বেসামরিক সরকার উৎখাত করে। দেশটিতে জারি করে জরুরি অবস্থা। একই সঙ্গে সামরিক জান্তা সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী জনতা। এই বিক্ষোভে জান্তার হাতে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে।