ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম সেটে বিবর্ণ বাংলাদেশ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল পরের দুই সেটে। কিন্তু চতুর্থ সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হেরে যাওয়ায় ফের উঁকি দিল শঙ্কা। তবে পঞ্চম সেটে দারুণ জয় তুলে নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে বঙ্গমাতা ভলিবলের চলতি আসরে প্রথম জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসল বাংলাদেশের মেয়েরা। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সোমবার বঙ্গমাতা এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন উইমেন্স ভলিবল চ্যালেঞ্জ কাপে মালদ্বীপকে ৩-২ সেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেটে বাংলাদেশ হেরে বসে ২৫-১৭ পয়েন্টে। পরের দুই সেটে জমজমাট লড়াইয়ের পর ২৫-২৩ ও ২৫-১৮ ব্যবধানে জিতে এগিয়ে যায় দল। কিন্তু চতুর্থ সেটে ২৩-২৫ পয়েন্টে হারে শঙ্কা জাগে আরেকটি পরাজয়ের।
পঞ্চম সেটের হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ে এক পর্যায়ে ১২-১২ সমতা। এরপর আরও দুই পয়েন্টে নিয়ে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় দল। কিন্তু তিন পয়েন্ট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর এক পয়েন্ট তুলে নিয়ে ১৫-১৫ সমতায় ফেরে। স্নায়ুর চাপ সামলে পরের দুই পয়েন্ট তুলে জয়ের উৎসবে মাতে দল। আগের চার ম্যাচে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার কাছে সরাসরি সেটে হেরেছিল ক্রিকেটার, রক বল, সাঁতারু নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে গড়া বাংলাদেশ নারী ভলিবল দল। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পেরে দারুণ খুশি কোচ মফিজুল ইসলাম। তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন অনুশীলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দিকে। “আমরা অনুশীলনে খুব মনোযোগী ছিলাম। মেয়েরা তাদের সেরাটা দিয়েছে। তাদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। এখন সামনের দিনগুলোতে এই অনুশীলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে আমাদের।” অধিনায়ক সাবিনা ইয়াসমিন জানালেন পঞ্চম সেটে স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসেছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত চাপ উড়িয়ে দিতে পারার তৃপ্তি ঝরল তার কণ্ঠে। “আমরা মালদ্বীপের বিপক্ষে এই প্রথম জয় পেয়েছি। এটা দলীয় সমন্বয়ের ফলেই পেয়েছি। এই জয়কে ধরে রাখতে হলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং দরকার। পঞ্চম সেটে আমরা কিছুটা স্নায়ুর চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলাতে পেরেছি।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশের মেয়েরা

আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম সেটে বিবর্ণ বাংলাদেশ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল পরের দুই সেটে। কিন্তু চতুর্থ সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হেরে যাওয়ায় ফের উঁকি দিল শঙ্কা। তবে পঞ্চম সেটে দারুণ জয় তুলে নিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে বঙ্গমাতা ভলিবলের চলতি আসরে প্রথম জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসল বাংলাদেশের মেয়েরা। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সোমবার বঙ্গমাতা এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন উইমেন্স ভলিবল চ্যালেঞ্জ কাপে মালদ্বীপকে ৩-২ সেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেটে বাংলাদেশ হেরে বসে ২৫-১৭ পয়েন্টে। পরের দুই সেটে জমজমাট লড়াইয়ের পর ২৫-২৩ ও ২৫-১৮ ব্যবধানে জিতে এগিয়ে যায় দল। কিন্তু চতুর্থ সেটে ২৩-২৫ পয়েন্টে হারে শঙ্কা জাগে আরেকটি পরাজয়ের।
পঞ্চম সেটের হাড্ডাহাড্ডি লাড়াইয়ে এক পর্যায়ে ১২-১২ সমতা। এরপর আরও দুই পয়েন্টে নিয়ে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় দল। কিন্তু তিন পয়েন্ট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর এক পয়েন্ট তুলে নিয়ে ১৫-১৫ সমতায় ফেরে। স্নায়ুর চাপ সামলে পরের দুই পয়েন্ট তুলে জয়ের উৎসবে মাতে দল। আগের চার ম্যাচে কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার কাছে সরাসরি সেটে হেরেছিল ক্রিকেটার, রক বল, সাঁতারু নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে গড়া বাংলাদেশ নারী ভলিবল দল। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পেরে দারুণ খুশি কোচ মফিজুল ইসলাম। তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন অনুশীলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দিকে। “আমরা অনুশীলনে খুব মনোযোগী ছিলাম। মেয়েরা তাদের সেরাটা দিয়েছে। তাদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। এখন সামনের দিনগুলোতে এই অনুশীলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে আমাদের।” অধিনায়ক সাবিনা ইয়াসমিন জানালেন পঞ্চম সেটে স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসেছিল তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত চাপ উড়িয়ে দিতে পারার তৃপ্তি ঝরল তার কণ্ঠে। “আমরা মালদ্বীপের বিপক্ষে এই প্রথম জয় পেয়েছি। এটা দলীয় সমন্বয়ের ফলেই পেয়েছি। এই জয়কে ধরে রাখতে হলে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং দরকার। পঞ্চম সেটে আমরা কিছুটা স্নায়ুর চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলাতে পেরেছি।”