ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

সিনহার মামলায় দুই ‘সহযোগীর’ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল

  • আপডেট সময় : ০১:৪০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ আত্মসাৎ ও পাচারের যে মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দ- হয়েছে, তাতে সহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কোনো বেঞ্চে আপিলটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান। বলেন, “ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকার ঋণ আত্মসাতে এ দুজন হলেন সহযোগী। বিচারিক আদালতে সেটা প্রমাণও হয়েছে। কিন্তু বিচারক বলেছেন, তারা সহযোগীও না, সুবিধাভোগীও না।
“আপিলে আমরা বলেছি, ‘তারা সুবিধাভোগী না’ বিচারকের এই পযবেক্ষণের সাথে আমরা একমত। কিন্তু তারা সহযোগী, তারা ঋণ আবেদন না করলে অপরাধটা ঘটত না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার দিনই তারা ঋণের আবেদনটা করেছিলেন। কাজেই এ দুজনকে খালাস দেওয়াটা ঠিক হয়নি।”
দুদকের এই মামলার দুটি ধারায় গত ৯ নভেম্বর এসকে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম। রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, প্রভাব খাটিয়ে বিধিলঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন করার পর সেই অর্থ যে পাচার হয়েছিল, সেটা মামলায় প্রমাণিত হয়েছে। অপর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দেয় আদালত। যদিও তাদের নামে অ্যাকাউন্ট থেকেই সিনহার অ্যাকাউন্টে খুলেই টাকা সরানো হয়। তাদের খালাসের পেছনে যুক্তি দিয়ে বিচারক বলেন, শাহজাহান ও নিরঞ্জনকে ‘ব্যবহার করে’ এসকে সিনহা ঋণ নেন ও পাচার করেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ আত্মসাতে ‘সহযোগিতার’ জন্য ওই মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদ-। এছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয় তিন বছর করে কারাদ-।
এই ১১ আসামির মধ্যে শুধু বাবুল চিশতী কারাগারে ছিলেন। রায়ের আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শামীম, স্বপন, লুৎফুল হক, সালাহউদ্দিন ছিলেন জামিনে। তারাও রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির ছিলেন। এস কে সিনহার মত সাফিউদ্দিন, রনজিৎ ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সিনহার মামলায় দুই ‘সহযোগীর’ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল

আপডেট সময় : ০১:৪০:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঋণ আত্মসাৎ ও পাচারের যে মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দ- হয়েছে, তাতে সহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন- টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কোনো বেঞ্চে আপিলটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান। বলেন, “ফারমার্স ব্যাংকের চার কোটি টাকার ঋণ আত্মসাতে এ দুজন হলেন সহযোগী। বিচারিক আদালতে সেটা প্রমাণও হয়েছে। কিন্তু বিচারক বলেছেন, তারা সহযোগীও না, সুবিধাভোগীও না।
“আপিলে আমরা বলেছি, ‘তারা সুবিধাভোগী না’ বিচারকের এই পযবেক্ষণের সাথে আমরা একমত। কিন্তু তারা সহযোগী, তারা ঋণ আবেদন না করলে অপরাধটা ঘটত না। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার দিনই তারা ঋণের আবেদনটা করেছিলেন। কাজেই এ দুজনকে খালাস দেওয়াটা ঠিক হয়নি।”
দুদকের এই মামলার দুটি ধারায় গত ৯ নভেম্বর এসকে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম। রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, প্রভাব খাটিয়ে বিধিলঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন করার পর সেই অর্থ যে পাচার হয়েছিল, সেটা মামলায় প্রমাণিত হয়েছে। অপর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দেয় আদালত। যদিও তাদের নামে অ্যাকাউন্ট থেকেই সিনহার অ্যাকাউন্টে খুলেই টাকা সরানো হয়। তাদের খালাসের পেছনে যুক্তি দিয়ে বিচারক বলেন, শাহজাহান ও নিরঞ্জনকে ‘ব্যবহার করে’ এসকে সিনহা ঋণ নেন ও পাচার করেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ আত্মসাতে ‘সহযোগিতার’ জন্য ওই মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদ-। এছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয় তিন বছর করে কারাদ-।
এই ১১ আসামির মধ্যে শুধু বাবুল চিশতী কারাগারে ছিলেন। রায়ের আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শামীম, স্বপন, লুৎফুল হক, সালাহউদ্দিন ছিলেন জামিনে। তারাও রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির ছিলেন। এস কে সিনহার মত সাফিউদ্দিন, রনজিৎ ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে।