ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সব খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা

  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশিদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। গতকাল রোববার দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউতে) সই হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, মালয়েশিয়া প্রান্তে বাংলাদেশি কর্মীদের মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসাসহ সব খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি। মালয়েশিয়া সফররত প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি মুরুগান সারাভানান ওই সমঝোতা স্মারকে (এমওইউতে) সই করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন: রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।
এতে আরও জানানো হয়, ‘মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা/কোম্পানি বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবে। ফলে আশা করা যায় কর্মীর অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে।’
২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় মালয়েশিয়াপ্রবাসী যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন পরে তাদের জন্যও দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। গত তিন বছরে কয়েকবার মালয়েশিয়ার বাজার খোলার খবর শোনা গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনা হয়। সেখানে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে সব পেশার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া সরকার। আর আজ সমঝোতা স্মারকে সই হলো। গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সব খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশিদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। গতকাল রোববার দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউতে) সই হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, মালয়েশিয়া প্রান্তে বাংলাদেশি কর্মীদের মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসাসহ সব খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি। মালয়েশিয়া সফররত প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি মুরুগান সারাভানান ওই সমঝোতা স্মারকে (এমওইউতে) সই করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন: রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।
এতে আরও জানানো হয়, ‘মালয়েশিয়ায় আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা/কোম্পানি বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবে। ফলে আশা করা যায় কর্মীর অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে।’
২০১৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমিক নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় মালয়েশিয়াপ্রবাসী যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন পরে তাদের জন্যও দেশটিতে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। গত তিন বছরে কয়েকবার মালয়েশিয়ার বাজার খোলার খবর শোনা গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আলোচনা হয়। সেখানে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে সব পেশার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া সরকার। আর আজ সমঝোতা স্মারকে সই হলো। গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।