আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমণ করলে দেশটিকে রক্ষার জন্য সেখানে ব্রিটেন ও তার মিত্রদের সেনা পাঠানোর সম্ভবনা ‘প্রায় নেই’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব বেন ওয়ালেস।
স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়ালেইস বলেন, “কাউকে ভাঁওতা দেওয়া উচিত নয় আমাদের। ইউক্রেইনীয়রা এ বিষয়ে সচেতন।” বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেইন পূর্ব সীমান্তে এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজনা হ্রাসের জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমা শক্তিগুলো । মস্কো ইউক্রেইন আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা করা হচ্ছে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছে।
গত শুক্রবার রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নোটো সামরিক জোটের তৎপরতা কঠোরভাবে সীমিত করার দাবি জানিয়েছে। ইউক্রেইনকে কখনোই নেটোর সদস্যপদ দেওয়া হবে না, তার নিশ্চয়তা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোকে এদিন একটি প্রস্তাবনা পাঠায় রাশিয়া । নেটো মূলত প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে ইউরোপকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্পেক্টেটরকে ওয়ালেস বলেন, ইউক্রেইন নেটোর সদস্য না হওয়ায় ‘রাশিয়ার আক্রমণকে’ চ্যালেঞ্জ করতে জোটভুক্ত কোন দেশেরই ইউক্রেইনে সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা নেই।
“এ জন্যই আমরা পুতিনকে কূটনৈতিকভাবে বলার চেষ্টা করছি এটা না করতে। কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই প্রতিরোধের সবচেয়ে সম্ভাব্য উপায়।” এর আগে ওয়ালেস যুক্তরাজ্য ইউক্রেইনের জনগণের পাশে দাঁড়াবে আর তাদের প্রতি সমর্থন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পুতিনকে ওই অঞ্চলে যেকোন অস্থিতিশীল কার্যক্রমের জন্য ‘চরম ফল’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেন। এদিকে শুক্রবার পাঠানো প্রস্তাবনা অনুযায়ী রাশিয়ার দাবিদাওয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র এ প্রসঙ্গে মিত্রদের সঙ্গে কথা বলবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।
ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা প্রায় নেই: যুক্তরাজ্য
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ






















