ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘একটা খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আটকে রেখেছে (আশ্রয় দিয়েছে), তারাই আবার আইনের কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করলো, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেললো, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি
সম্প্রতি এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ঢাকা। এ নিয়ে এক পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপও হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গটি আসে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা (দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করবো। আরেকটা সমস্যা হলো রাশেদ চৌধুরীকে তো আটকে রেখেছে তারা, দেয় না।’
র‌্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে— তোমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও; র‌্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি।
র‌্যাবের প্রতি মানুষের একটা আস্থা আছে বলেও মনে করেন এ কে আব্দুল মোমেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের) এরকম (নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে এমন রিপোর্ট করতে। উনি (অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, আমরা আলোচনা করবো। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে— আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনই পাল্টা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বরং বলছি যে, ভালো কাজ করছি। তোমরা আমাদের সঙ্গে কাজ করো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। দোষারোপের মানসিকতা আমাদের নেই।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদের দাবি

বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আশ্রয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানবতার কথা বলে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘একটা খুনিকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আটকে রেখেছে (আশ্রয় দিয়েছে), তারাই আবার আইনের কথা বলে। যে ব্যক্তি (রাশেদ চৌধুরী) মানবতা ভঙ্গ করলো, এতগুলো মানুষকে মেরে ফেললো, তাকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি
সম্প্রতি এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে ঢাকা। এ নিয়ে এক পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপও হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রসঙ্গটি আসে। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা (দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) নিজেরা আলাপ করছি। সময় এখন একটা সমস্যা, আমরা বসে আলাপ করবো। আরেকটা সমস্যা হলো রাশেদ চৌধুরীকে তো আটকে রেখেছে তারা, দেয় না।’
র‌্যাবের কারণে দেশে সন্ত্রাসী কমেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি যে— তোমরা জঙ্গিবাদ দমন করতে চাও, বৈশ্বিক মাদক কমাতে চাও, মানবপাচার বন্ধ করতে চাও; র‌্যাব এসব কাজই করছে। তারা শুদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। তোমাদের এটা (নিষেধাজ্ঞা) দেশবাসী গ্রহণ করেনি।
র‌্যাবের প্রতি মানুষের একটা আস্থা আছে বলেও মনে করেন এ কে আব্দুল মোমেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তারা সহজে পয়সায় বিক্রি হয় না। এরকম একটা প্রতিষ্ঠান নিয়ে (যুক্তরাষ্ট্রের) এরকম (নিষেধাজ্ঞা) করা ঠিক হয়নি। এখন যাই হোক, তারা নিজেদের রিপোর্ট বের করেছে। ওনাদের কংগ্রেস অনেকটা বাধ্য করেছে এমন রিপোর্ট করতে। উনি (অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন) বলেছেন, আমরা আলোচনা করবো। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনার সুযোগ আছে— আমার এটা ভালো লেগেছে। তিনি বুঝেছেন যে, আমরা এতে অসন্তুষ্ট হয়েছি। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনই পাল্টা কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বরং বলছি যে, ভালো কাজ করছি। তোমরা আমাদের সঙ্গে কাজ করো। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। দোষারোপের মানসিকতা আমাদের নেই।’