ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ওমানে দুর্ঘটনায় আহত খিজমত পেলেন কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কর্মক্ষমতা হারান ঠাকুরগাঁওয়ের খিজমত আলী। ২০১৭ সালে ওই দুর্ঘটনায় ছয়মাস আইসিইউতে থাকার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে। তবে খিজমত আলীর দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি পথ বেছে নেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চার বছর শুনানির পর খিজমত আলীকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় ওমানের আদালত। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ভবনে মন্ত্রী ইমরান আহমদ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকার একটি চেক খিজমত আলীর হাতে প্রদান করেন।
এসময় ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের দেশের কোনো প্রবাসী কর্মী বিদেশে যদি তার অর্থ পাওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকে ইনসুরেন্স অথবা ব্যাকপে অনেকের বকেয়া বেতন তখন আমরা চেষ্টা করি সেগুলো আদায় করে আনতে। আমাদের লেবার গোয়িং যেগুলো আছে এটা কিন্তু মূলত তাদের কাজ; ওয়েলফেয়ার কাজ তারাই করে ওটার প্রেক্ষিতে আমরা কাজ করি।’
ওমানে খিজমতের দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকা আহত খিজমত আলী পেয়েছেন তার কর্মস্থলের মাধ্যমে।’ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সেখানে আদালতে বিষয়টা সুরাহা হয়েছে। এর জন্য প্রায় চার বছর সময় লেগে গেছে। গত নভেম্বরে এই অর্থ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসে। খিজমত আলীর ছোট ছেলে আমির হোসেন জানান, তার বাবা ২০১২ সালে ওমানে যান। সেখানে ফল প্যাকেজিং কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন। তবে কর্মস্থল থেকে চা খেতে গেলে রাস্তায় একটি গাড়ি এসে তার বাবাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। আমির হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় আব্বু আমার মায়ের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। আর ওইসময় আব্বু দুর্ঘটনা করেন। পরে যিনি আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি আমাদের ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানান।’ এরপর টানা তার বাবার সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারেননি জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আব্বু ছয় মাস হাসপাতালে আইসিইউতে ছিল; ছয় মাস পরে তার জ্ঞান ফিরেছিল। তারপর আমরা আব্বুকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে এনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করায়।’
আমির জানান, তার বাবাকে এখনো বিভিন্ন থেরাপি ও ম্যাসাজ দেয়া লাগে। টাকার অভাবে তাকে ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারবেন। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমেদ এবং খিজমত আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওমানে দুর্ঘটনায় আহত খিজমত পেলেন কোটি টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কর্মক্ষমতা হারান ঠাকুরগাঁওয়ের খিজমত আলী। ২০১৭ সালে ওই দুর্ঘটনায় ছয়মাস আইসিইউতে থাকার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয় দেশে। তবে খিজমত আলীর দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি পথ বেছে নেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়। চার বছর শুনানির পর খিজমত আলীকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় ওমানের আদালত। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ভবনে মন্ত্রী ইমরান আহমদ গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতিপূরণের ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকার একটি চেক খিজমত আলীর হাতে প্রদান করেন।
এসময় ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমাদের দেশের কোনো প্রবাসী কর্মী বিদেশে যদি তার অর্থ পাওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকে ইনসুরেন্স অথবা ব্যাকপে অনেকের বকেয়া বেতন তখন আমরা চেষ্টা করি সেগুলো আদায় করে আনতে। আমাদের লেবার গোয়িং যেগুলো আছে এটা কিন্তু মূলত তাদের কাজ; ওয়েলফেয়ার কাজ তারাই করে ওটার প্রেক্ষিতে আমরা কাজ করি।’
ওমানে খিজমতের দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ১৪ লাখ ১০ হাজার ৯২২ টাকা আহত খিজমত আলী পেয়েছেন তার কর্মস্থলের মাধ্যমে।’ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সেখানে আদালতে বিষয়টা সুরাহা হয়েছে। এর জন্য প্রায় চার বছর সময় লেগে গেছে। গত নভেম্বরে এই অর্থ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আসে। খিজমত আলীর ছোট ছেলে আমির হোসেন জানান, তার বাবা ২০১২ সালে ওমানে যান। সেখানে ফল প্যাকেজিং কাজের পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন। তবে কর্মস্থল থেকে চা খেতে গেলে রাস্তায় একটি গাড়ি এসে তার বাবাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। আমির হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় আব্বু আমার মায়ের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা বলছিলেন। আর ওইসময় আব্বু দুর্ঘটনা করেন। পরে যিনি আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি আমাদের ফোন করে দুর্ঘটনার খবর জানান।’ এরপর টানা তার বাবার সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারেননি জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, ‘আব্বু ছয় মাস হাসপাতালে আইসিইউতে ছিল; ছয় মাস পরে তার জ্ঞান ফিরেছিল। তারপর আমরা আব্বুকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশে এনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি করায়।’
আমির জানান, তার বাবাকে এখনো বিভিন্ন থেরাপি ও ম্যাসাজ দেয়া লাগে। টাকার অভাবে তাকে ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারবেন। চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমেদ এবং খিজমত আলীর স্ত্রী ও দুই সন্তান উপস্থিত ছিলেন।