ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তা পেল না উইন্ডিজ

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দায়িত্বশীল ফিফটিতে দলকে টানলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ঝড়ো ফিফটিতে তাকে সঙ্গ দিলেন হায়দার আলি। শেষটায় ঝড় তুললেন মোহাম্মদ নওয়াজ। রানের পাহাড় গড়া পাকিস্তান পরে বোলারদের নৈপুণ্যে জিতল অনায়াসে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নেমে তেমন লড়াই-ই করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ৬৩ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৭ রানে থমকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ১০ চারে ৫২ বলে ৭৮ রান করেছেন এই সংস্করণে স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটানো রিজওয়ান। চার ছক্কা ও ছয় চারে ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেছেন হায়দার। ১০ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন নওয়াজ। লেগ স্পিনার শাদাব ৩ উইকেট নিয়েছেন ১৭ রানে। সবচেয়ে খরুচে হলেও উইকেট সবার চেয়ে বেশি পেয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৪০ রানে এই পেসার নিয়েছেন চার উইকেট, তার ক্যারিয়ারে প্রথমবার।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবরকে হারায় পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের চমৎকার এক ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন স্বাগতিক অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। তিনটিই দেশে, আগের দুইবারের ভেন্যু ছিল লাহোর। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফখর জামানও। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান ও হায়দারের চমৎকার জুটিতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। দুই ব্যাটসম্যনই খেলেন যার যার সহজাত ক্রিকেট। নিজের জোনে চড়াও হন রিজওয়ান। হায়দার ছিলেন আগ্রাসী। হায়দার ছক্কায় ২৮ বলে ফিফটি করার পরের বলে ছক্কার চেষ্টাতেই ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন রিজওয়ান। ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। দ্রুত ফিরেন আসিফ আলি ও ইফতেখার আহমেদ। শেষের দিকে নওয়াজের ঝড়ে বাড়ে রানের গতি। শেষ ওভারে লং অনে ধরা পড়েন হায়দার। পরের তিন বলে ৯ রান নিয়ে দলকে দুইশ রানে নিয়ে যান নওয়াজ। তার ১০ বলের ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও তিন চারে। শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ কখনও জাগাতে পারেনি জয়ের আশা। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন নওয়াজ।
প্রতিপক্ষের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করার পর ডেভন টমাসকে এলবিডব্লিউ করে দেন ওয়াসিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে লম্বা বিরতিতে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড গড়ার ম্যাচে টমাস করেন কেবল ২। তার দুই ম্যাচের মধ্য ক্যারিবিয়ানরা খেলেছে ১০২ টি-টোয়েন্টি। ৮৫ ম্যাচ ‘মিস’ করে রেকর্ড ছিল ফিদেল এডওয়ার্ডসের। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলে দেন শাদাব। সর্বোচ্চ ৩১ রান করা শেই হোপকে এলবিডব্লিউ করার পর শামার ব্রুকস ও রভম্যান পাওয়েলের উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডিন স্মিথের ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই মাঠে মঙ্গলবার সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০০/৬ (রিজওয়ান ৭৮, বাবর ০, ফখর ১০, হায়দার ৬৮, আসিফ ১, ইফতিখার ৭, নওয়াজ ৩০, শাদাব ০; আকিল ৪-০-১৯-১, ওশেন টমাস ৪-০-৩৮-১, ড্রেকস ৪-০-৪৩-১, শেফার্ড ৪-০-৪৩-২, স্মিথ ৪-০-৫৬-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯ ওভারে ১৩৭ (হোপ ৩১, কিং ১, পুরান ১৮, ডেভন টমাস ২, ব্রুকস ৫, পাওয়েল ২৩, ড্রেকস ৫, শেফার্ড ২১, স্মিথ ২৪, আকিল ১*, ওশেন টমাস ১; আফ্রিদি ৪-০-৩৫-১, নওয়াজ ৪-০-২৪-১, ওয়াসিম ৪-০-৪০-৪, হারিস ৩-০-২১-১, শাদাব ৪-১-১৭-৩)
ফল: পাকিস্তান ৬৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হায়দার আলি
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে পাকিস্তান

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানের বিপক্ষে পাত্তা পেল না উইন্ডিজ

আপডেট সময় : ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : দায়িত্বশীল ফিফটিতে দলকে টানলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ঝড়ো ফিফটিতে তাকে সঙ্গ দিলেন হায়দার আলি। শেষটায় ঝড় তুললেন মোহাম্মদ নওয়াজ। রানের পাহাড় গড়া পাকিস্তান পরে বোলারদের নৈপুণ্যে জিতল অনায়াসে। গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলোয়াড়কে ছাড়া খেলতে নেমে তেমন লড়াই-ই করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সোমবার ৬৩ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৭ রানে থমকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ১০ চারে ৫২ বলে ৭৮ রান করেছেন এই সংস্করণে স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটানো রিজওয়ান। চার ছক্কা ও ছয় চারে ৩৯ বলে ৬৮ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেছেন হায়দার। ১০ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন নওয়াজ। লেগ স্পিনার শাদাব ৩ উইকেট নিয়েছেন ১৭ রানে। সবচেয়ে খরুচে হলেও উইকেট সবার চেয়ে বেশি পেয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৪০ রানে এই পেসার নিয়েছেন চার উইকেট, তার ক্যারিয়ারে প্রথমবার।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবরকে হারায় পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনের চমৎকার এক ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হন স্বাগতিক অধিনায়ক। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। তিনটিই দেশে, আগের দুইবারের ভেন্যু ছিল লাহোর। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ফখর জামানও। তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ান ও হায়দারের চমৎকার জুটিতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। দুই ব্যাটসম্যনই খেলেন যার যার সহজাত ক্রিকেট। নিজের জোনে চড়াও হন রিজওয়ান। হায়দার ছিলেন আগ্রাসী। হায়দার ছক্কায় ২৮ বলে ফিফটি করার পরের বলে ছক্কার চেষ্টাতেই ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন রিজওয়ান। ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। দ্রুত ফিরেন আসিফ আলি ও ইফতেখার আহমেদ। শেষের দিকে নওয়াজের ঝড়ে বাড়ে রানের গতি। শেষ ওভারে লং অনে ধরা পড়েন হায়দার। পরের তিন বলে ৯ রান নিয়ে দলকে দুইশ রানে নিয়ে যান নওয়াজ। তার ১০ বলের ইনিংস গড়া দুই ছক্কা ও তিন চারে। শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ কখনও জাগাতে পারেনি জয়ের আশা। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ব্র্যান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন নওয়াজ।
প্রতিপক্ষের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে বোল্ড করার পর ডেভন টমাসকে এলবিডব্লিউ করে দেন ওয়াসিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে লম্বা বিরতিতে টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড গড়ার ম্যাচে টমাস করেন কেবল ২। তার দুই ম্যাচের মধ্য ক্যারিবিয়ানরা খেলেছে ১০২ টি-টোয়েন্টি। ৮৫ ম্যাচ ‘মিস’ করে রেকর্ড ছিল ফিদেল এডওয়ার্ডসের। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলে দেন শাদাব। সর্বোচ্চ ৩১ রান করা শেই হোপকে এলবিডব্লিউ করার পর শামার ব্রুকস ও রভম্যান পাওয়েলের উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ড ও ওডিন স্মিথের ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই মাঠে মঙ্গলবার সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াইয়ে নামবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০০/৬ (রিজওয়ান ৭৮, বাবর ০, ফখর ১০, হায়দার ৬৮, আসিফ ১, ইফতিখার ৭, নওয়াজ ৩০, শাদাব ০; আকিল ৪-০-১৯-১, ওশেন টমাস ৪-০-৩৮-১, ড্রেকস ৪-০-৪৩-১, শেফার্ড ৪-০-৪৩-২, স্মিথ ৪-০-৫৬-১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯ ওভারে ১৩৭ (হোপ ৩১, কিং ১, পুরান ১৮, ডেভন টমাস ২, ব্রুকস ৫, পাওয়েল ২৩, ড্রেকস ৫, শেফার্ড ২১, স্মিথ ২৪, আকিল ১*, ওশেন টমাস ১; আফ্রিদি ৪-০-৩৫-১, নওয়াজ ৪-০-২৪-১, ওয়াসিম ৪-০-৪০-৪, হারিস ৩-০-২১-১, শাদাব ৪-১-১৭-৩)
ফল: পাকিস্তান ৬৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হায়দার আলি
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে পাকিস্তান