ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নতুন প্রজন্ম প্রস্তুত হচ্ছে, আর দুশ্চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে যারা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাবে, সেই নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত করে তুলতে পারছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ উদযাপন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ রূপকল্প ২০২১ এর যে চিন্তা চেতনাগুলো ছিল, লক্ষ্যগুলো ছিল সে লক্ষ্যটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম, তাদেরকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।”
পুরস্কারজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার মনটা ভরে গেলৃ ২০৪১ সালের বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে; যাদের দিয়ে সেই বাংলাদেশটা হবে, আজকে এই পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়েৃ তাদের মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হল, আমার এখন আর কোনো দুশ্চিন্তা নাই।”
“আমি আজ থেকে বলতে পারি, আর কোনো দুশ্চিন্তা নাইৃ বাংলাদেশ যে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে, সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে দেখে নিজের আনন্দের কথা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও কিন্তু তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু তারা আজকে তৈরি করছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবাটা পাবে, পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে।
“আর এই যে আমাদের ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে তাদের যে মেধা, তাদের যে মনন, এটা বিকশিত হবার সুযোগ- এটা এই ডিজিটাল বাংলাদেশ না করলে এটা বোধ হয় কখনো সম্ভব হত না, বা তাদের ভেতরে এই যে মেধাটা রয়ে গেছে, সেটাকে বের করে নিয়ে আসা এবং সেটাকে দেশের কাজে লাগানো, এটাই ছিল সব থেকে বড় লক্ষ্য। আমি মনে করি, সেখান থেকে আমরা সত্যিই অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।”
তথ্য-প্রযুক্তি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেমন পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়, ভবিষ্যতে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয়ের ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য’ নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে। “আমার মনে হয়, এটা সকল খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। এই ডিজিটাল ডিভাইস আমরা রপ্তানি করতে পারি। আর তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এই ডিজিটাল ডিভাইস খাতে রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।”
এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক; বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন ও আইটি বিজনেস সেন্টার, সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক; খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি; ইনফো সরকার তৃতীয় পর্যয়ের প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সরকার প্রধান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন প্রজন্ম প্রস্তুত হচ্ছে, আর দুশ্চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে যারা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাবে, সেই নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত করে তুলতে পারছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১ উদযাপন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, “আজকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ রূপকল্প ২০২১ এর যে চিন্তা চেতনাগুলো ছিল, লক্ষ্যগুলো ছিল সে লক্ষ্যটা আমরা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে। আর সেই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যারা নতুন প্রজন্ম, তাদেরকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।”
পুরস্কারজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমার মনটা ভরে গেলৃ ২০৪১ সালের বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে; যাদের দিয়ে সেই বাংলাদেশটা হবে, আজকে এই পুরস্কার দেওয়ার মধ্য দিয়েৃ তাদের মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হল, আমার এখন আর কোনো দুশ্চিন্তা নাই।”
“আমি আজ থেকে বলতে পারি, আর কোনো দুশ্চিন্তা নাইৃ বাংলাদেশ যে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে, সেই উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সৈনিকরা প্রস্তুত হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।”
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে দেখে নিজের আনন্দের কথা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও কিন্তু তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে অনেক কিছু তারা আজকে তৈরি করছে। বাংলাদেশের জনগণ সেই সেবাটা পাবে, পাচ্ছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে।
“আর এই যে আমাদের ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে তাদের যে মেধা, তাদের যে মনন, এটা বিকশিত হবার সুযোগ- এটা এই ডিজিটাল বাংলাদেশ না করলে এটা বোধ হয় কখনো সম্ভব হত না, বা তাদের ভেতরে এই যে মেধাটা রয়ে গেছে, সেটাকে বের করে নিয়ে আসা এবং সেটাকে দেশের কাজে লাগানো, এটাই ছিল সব থেকে বড় লক্ষ্য। আমি মনে করি, সেখান থেকে আমরা সত্যিই অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি।”
তথ্য-প্রযুক্তি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখন যেমন পোশাক রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয় হয়, ভবিষ্যতে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয়ের ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য’ নিয়ে সরকার অগ্রসর হচ্ছে। “আমার মনে হয়, এটা সকল খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। এই ডিজিটাল ডিভাইস আমরা রপ্তানি করতে পারি। আর তার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এই ডিজিটাল ডিভাইস খাতে রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।”
এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক; বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন ও আইটি বিজনেস সেন্টার, সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক; খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি; ইনফো সরকার তৃতীয় পর্যয়ের প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সরকার প্রধান।