ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

আর আকুতি নয়, ধাক্কা দিতে হবে : গয়েশ্বর

  • আপডেট সময় : ০৯:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আর ‘আকুতি না করে সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর একটি মাত্র বাধা শেখ হাসিনা। তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে এই প্র্রলাপ এই বিলাপ করে লাভ নাই। “অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আকুতি না করে আমরা যদি সরকারকে ধাক্কা দিই, তখন হয়ত বেসামাল হয়ে বলতে পারে- না না না ভাই, মাফ করো, ছাইড়া দিলাম, ম্যাডাম যাক। আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আমার মনে হচ্ছে তাই।” ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ নিতে চাইলেও সরকার তাতে সায় দেয়নি। গয়েশ্বর বলেন, “১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবের মুক্তির আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে যখন একটা আন্দোলন চলছে ছাত্রদেরৃ, তখন আইয়ুবের মত লৌহমানব শেখ মুজিবের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিলৃ। হয়ত আওয়ামী লীগের নেতারা প্যারোলে সেই আলোচনার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তত ছিল। মাওলানা ভাসানী বললেন খামোশ- বন্দি মুজিবুর প্যারোলে সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।” পরে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির কথা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সেজন্য বলব, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে- আমরা বলি। অর্থাৎ, দেশে আগুন জ্বলবে।
“তাহলে আপসহীন নেত্রীর আপসহীন কর্মীর পরিচয় আমাদেরকে দিতে হবে, আমাদের জয় করতে হবে, স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া আপসহীন থেকে স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করেছেন। একমাত্র বিএনপিরই দায়িত্ব স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে দেশকে ফিরিয়ে আনা।” এবারের ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ‘ভরাডুবি’ হচ্ছে দাবি করে ভোট বর্জন করা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, “আপনারা অনেকে বলেছেন, ঝিনাইদহে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তৃতীয় লিঙ্গের, আমরা যাকে হিজড়া বলি, তার কাছে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে, তার কোনো জামানত ছিল না। দিস ইজ দি রিয়েল পিকচার অব দি কান্ট্রি।” বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেসারুল হক আলোচনায় অংশ নেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর আকুতি নয়, ধাক্কা দিতে হবে : গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৯:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আর ‘আকুতি না করে সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর একটি মাত্র বাধা শেখ হাসিনা। তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে এই প্র্রলাপ এই বিলাপ করে লাভ নাই। “অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আকুতি না করে আমরা যদি সরকারকে ধাক্কা দিই, তখন হয়ত বেসামাল হয়ে বলতে পারে- না না না ভাই, মাফ করো, ছাইড়া দিলাম, ম্যাডাম যাক। আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আমার মনে হচ্ছে তাই।” ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দুর্নীতির দুই মামলায় দ-িত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত আছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ নিতে চাইলেও সরকার তাতে সায় দেয়নি। গয়েশ্বর বলেন, “১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবের মুক্তির আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে যখন একটা আন্দোলন চলছে ছাত্রদেরৃ, তখন আইয়ুবের মত লৌহমানব শেখ মুজিবের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিলৃ। হয়ত আওয়ামী লীগের নেতারা প্যারোলে সেই আলোচনার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তত ছিল। মাওলানা ভাসানী বললেন খামোশ- বন্দি মুজিবুর প্যারোলে সেই আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।” পরে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির কথা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সেজন্য বলব, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে- আমরা বলি। অর্থাৎ, দেশে আগুন জ্বলবে।
“তাহলে আপসহীন নেত্রীর আপসহীন কর্মীর পরিচয় আমাদেরকে দিতে হবে, আমাদের জয় করতে হবে, স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া আপসহীন থেকে স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করেছেন। একমাত্র বিএনপিরই দায়িত্ব স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে দেশকে ফিরিয়ে আনা।” এবারের ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ‘ভরাডুবি’ হচ্ছে দাবি করে ভোট বর্জন করা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, “আপনারা অনেকে বলেছেন, ঝিনাইদহে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তৃতীয় লিঙ্গের, আমরা যাকে হিজড়া বলি, তার কাছে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে, তার কোনো জামানত ছিল না। দিস ইজ দি রিয়েল পিকচার অব দি কান্ট্রি।” বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেসারুল হক আলোচনায় অংশ নেন।